খুব বিরক্ত লাগছে রাশাদের। করোনার কারণে সে ঘরবন্দী। ঘরের সব বই পড়া শেষ। মাঠে যাওয়ার তো প্রশ্নই আসে না। রাশাদ ভাবে, করোনা দূর হলে আবার বিকেলগুলোতে ফুটবল খেলতে পারবে। কিন্তু করোনা দূর হওয়ার নাম নেই, বরং বেড়েই চলেছে! বাবা দিনরাত টেলিভিশনে করোনার খবর দেখেন। তাঁর জন্য রাশাদ টিভিতে সিনেমাও দেখতে পারে না। এরই মধ্যে একটা
ঘটনা ঘটে গেল।
রাশাদের বড় ভাই এইচএসসি পরীক্ষার্থী। বুকশেলফে তার একটা আলাদা জায়গা আছে। রাশাদ একদিন সেই আলাদা জায়গার বইগুলো ঘাটাঘাটি করছিল। হঠাৎ ওর চোখে একটা পুরোনো ডায়েরি চোখে পড়ল। ডায়েরিটা খুলে দেখল ও। বেশিরভাগ পৃষ্ঠাই সাদা। কোনো কোনো পৃষ্ঠা অর্ধেক পুড়ে গেছে। আবার কোনো কোনো পৃষ্ঠায় দিন, তারিখসহ ব্যক্তিগত জিনিসপত্রের তালিকা। কিন্তু শেষের কয়েকটি পাতা আঠা দিয়ে লাগানো। কৌতূহলী রাশাদ অনেক কায়দা-কসরত করে বইয়ের আঠা খুলে ফেলল। খুলে দেখল, বইয়ের ঠিক মাঝখানের কাগজ কেটে একটা খোপের মতো বানানো হয়েছে। সেখানে আবার একটি ভাঁজ করা কাগজ। কাগজটির ভাঁজ খুলে রাশাদ দেখল, সেখানে লেখা, ‘আমি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি ২০২০ সালে একটি মহামারী আসবে, মহামারীটির কারণ হবে করোনা নামক এক ভাইরাস!’
রাশাদ অবাক হয়ে কাগজটির দিকে তাকিয়ে রইল।
চতুর্থ শ্রেণি, উত্তরা হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা