যে শুটিং কাঁদিয়েছে

>
স্বপ্নই ওদের নিয়ে যায় প্রতিদিনের অনুশীলনে। ছবি: সঞ্জয় কুমার নাথ
স্বপ্নই ওদের নিয়ে যায় প্রতিদিনের অনুশীলনে। ছবি: সঞ্জয় কুমার নাথ
গত ২২ আগস্ট প্রথম আলোয় ‘শনিবারের প্রতিবেদন’ হিসেবে ছাপা হয়েছিল ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার কলসিন্দুর গ্রামের মেয়েদের কথা। আমাদের ময়মনসিংহ প্রতিনিধি কামরান পারভেজের লেখা ‘ফুটবল রাঙাচ্ছে কলসিন্দুরের মেয়েরা’ শিরোনামের প্রতিবেদনে উঠে আসে প্রত্যন্ত এক গ্রামের সুবিধাবঞ্চিত পরিবারের মেয়েদের জাতীয় পর্যায়ের ফুটবলার হয়ে ওঠার গল্প। এই একটি গ্রামের ১০ জন মেয়ে নির্বাচিত হয় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৪ দলে খেলার জন্য। সিদ্ধান্ত হয় প্রথম আলোর ১৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে কলসিন্দুরের অদম্য মেয়ে ফুটবলারদের বিশেষভাবে সম্মান জানানোর। প্রথম আলোর পক্ষ থেকে একটি প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করে তাদের সাফল্যকে তুলে ধরার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। প্রামাণ্যচিত্র তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয় পরিচালক রেদওয়ান রনিকে। এরই মধ্যে তৈরি হয়েছে প্রামাণ্যচিত্র অদম্য মেয়েরা। প্রামাণ্যচিত্র পরিচালনার অভিজ্ঞতা ও নানা ঘটনা নিয়ে লিখেছেন রেদওয়ান রনি
চলছে প্রামাণ্যচিত্রের শুটিং

চলতে থাকা পথই বলে দিচ্ছিল কতটা প্রত্যন্ত অঞ্চলে যাচ্ছি। ঢাকা থেকে রওনা দিয়েছিলাম পাঁচ ঘণ্টা আগে। ময়মনসিংহ থেকে সীমান্তবর্তী এলাকার দিকে এগিয়ে চলেছি। গারো পাহাড়ের পাদদেশে কলসিন্দুর গ্রামে পৌঁছাতেই বেশ বেলা হয়ে গেল। শুটিংয়ের বড়সড় লটবহর নিয়ে সহযোগী পরিচালক আতিক চলে এসেছিল আগেই।
সানজিদা, তাসলিমা, মারিয়াদের সঙ্গে প্রথম দেখা হলো আমার—খুবই সাধারণ সাদামাটা তারা। জগতের জটিলতা একেবারেই ছোঁয়নি। অদ্ভুত সারল্য চোখেমুখে। যতই সাধারণ সাদামাটা দেখাক না কেন? খুব ভালো করেই জানি কী বারুদ রয়েছে ওদের মধ্যে, ফুটবল মাঠে ওদের একেকজনের স্ফুলিঙ্গ প্রতিপক্ষের জন্য কতটা ভয়াবহ। এই প্রত্যন্ত গ্রামের মেয়েরা যখন বিদেশি কোনো দলের বিপক্ষে ১৬ গোল দিয়ে দেয়, তখন কীভাবে সাধারণ থাকে? আমি অবাক হয়ে ওদের দেখছিলাম। একেকজনের দিকে তাকিয়ে ভাবছিলাম আর আমার বুকের ছাতিটা বড় হয়ে যাচ্ছিল।

শুটিংয়ে নির্দেশনা দিচ্ছেন রেদওয়ান রনি

ওই তো সানজিদা, খুব স্বাভাবিক ভঙ্গিতে খিচুড়ি খাচ্ছে ডিম দিয়ে, এই সাধারণ মেয়েটি পুরো এশিয়ায় সপ্তম সেরা খেলোয়াড়! ওর পাশের জন তাসলিমা হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়ছে মার্জিয়ার কোনো এক কথায়। ওরা এই পুরো এলাকার মধ্যে প্রথম বিমানে চড়া মানুষ। শ্রীলঙ্কায় খেলতে গিয়ে বাংলাদেশকে চিনিয়ে দিয়ে এসেছে বিশ্বের দরবারে।
আমরা এগিয়ে চলেছি গারো পাহাড়ের দিকে, দৃশ্যধারণ হবে সেখানে। মাটির রাস্তা, শুটিংয়ের বড় গাড়ি কোনোমতেই যেতে পারছে না। গোটা দশেক ইজিবাইক ভাড়া করা হয়েছে। ওদের কয়েকজনের সঙ্গে একই ইজিবাইকে চড়ে বসলাম। যেতে যেতে আড্ডা দেওয়া যাবে। শোনা যাবে অনেক গল্প।
মাটির রাস্তায় ঝাঁকুনি খেতে খেতে এগিয়ে চলেছি। আমি মগ্ন ওদের গল্পে। শুরুর কথা জানতে চাই।
শুরুটা বেশ কঠিন ছিল। মফিজ স্যার আর মিনতি ম্যাডাম যখন জানান মেয়েদের ফুটবল টুর্নামেন্ট হবে, খেলতে হবে ওদের। ওরা তো অবাক! মারিয়া জানাল, বাড়িতে ফুটবল খেলার কথা বলার পর তুমুল আপত্তি, ‘মেয়ে মানুষের’ আবার ফুটবল খেলতে হবে কেন?
শুধু পরিবারেই নয়, পুরো কলসিন্দুরে আলোড়ন তৈরি করে বিষয়টি। এলাকার বেশির ভাগ লোকজনের ভিন্নমত, অভিভাবকেরাও বেঁকে বসলেন—কোনোমতেই মেয়েদের মাঠে নামানো যাবে না।
-তারপর কী হলো?
-ম্যাডাম (মিনতি রানী, প্রধান শিক্ষক, কলসিন্দুর প্রাথমিক বিদ্যালয়) আমাদের বাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলে বোঝানোর চেষ্টা করেন। এরপর একজন-দুজন করে যোগ দিতে থাকে, তৈরি হয় পুরো একটা ফুটবল দল।
-প্রথম দিকে তোমাদের প্র্যাকটিস কেমন ছিল?
তাসলিমা বলে, ‘বলে শুধু লাত্থি দিতে পারতাম, তাও ভয় লাগত, এই জন্য পালাইতাম মাঝেমধ্যে। আস্তে আস্তে স্যার শিখাইত ফুটবলের কৌশলগুলো—তখন মজা লাগত।’
প্রথম দিকের বেশ কিছু ম্যাচে হেরে যাওয়াটা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয় ওদের মধ্যে। ধীরে ধীরে নিজেরা ভেতরে-ভেতরে মনোবল তৈরি করতে থাকে পরেরবার জিততেই হবে। প্রথম দুবার বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা স্মৃতি গোল্ড কাপে হেরে যাওয়ার পর তারা পুরোপুরি পেশাদার হয়ে ওঠে মনে মনে। সেদিন কাঁদতে কাঁদতে ওরা স্যারকে বলছিল ‘স্যার পরেরবার আমরা জিতবই, এখন থেকে আমাদের আর ডেকে ডেকে প্র্যাকটিসে আনতে হবে না, আমরা এক দিনের জন্যও প্র্যাকটিস ছাড়ব না, এমনকি ঈদের দিনও না।’
-সত্যি সত্যিই তোমরা ঈদের দিন প্র্যাকটিস করেছ?
-করেছি ঈদের দিন বিকেল বেলা।
এরই মধ্যে স্যার আর ম্যাডামের সঙ্গে কথায় কথায় আমি জেনে নিয়েছিলাম প্রথম দিকের হ-য-ব-র-ল অনুশীলনের পরে তারা সিদ্ধান্ত নেন সঠিক নিয়মে জেনে-বুঝে খেলার চর্চা করা উচিত। মিনতি রানীর ছেলে রাজীব ভিডিও টিউটোরিয়াল নামিয়ে আনেন ইউটিউব থেকে। শুরু হয় তাদের অনুশীলন। এরপর জেলা প্রশাসকের সহায়তায় দুজন কোচ এসে ওদের ভালো খেলার তালিম দিয়ে যান। এবার যখন টুর্নামেন্ট শুরু হয়, একেক পর এক ওরা জিততে থাকে ম্যাচ, জেলা-বিভাগীয় পর্যায় পার করে চলে যায় ফাইনালে। ফাইনালের আগ পর্যন্ত পুরো টুর্নামেন্টে ৬৪ গোল দিয়েছিল তারা।

এখন শুধু দৃপ্ত পায়ে এগিয়ে চলা

এবার ফাইনাল। খেলার শুরুতেই এক গোলে পিছিয়ে যায় তারা।
-কেমন লেগেছিল তখন?
-খুব কষ্ট লাগতেছিল, মনে হইতেছিল এবারও কি তাহলে ফাইনালে এসে হেরে যাব?
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রবেশ করেন খেলা দেখতে।
এরপর খেলার পাঁচ মিনিটের মাথায় গোল দিয়ে বসে সানজিদা, বলতে বলতেই মুখে হাসি ফুটে ওঠে সরল মুখগুলোয়।
-তখন মনে হইছে, এইবার আমরা কাপ না নিয়ে যাব না।
মোট ৪ গোল দিয়ে টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন হয় তারা—কলসিন্দুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এরপর প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে মেডেল আর কাপ নিয়েই কলসিন্দুর ফেরে দুরন্ত এই মেয়েরা।
বিশাল সংবর্ধনা দেয় গ্রামবাসী। ফাইনাল খেলাটি এটিএন বাংলা সরাসরি দেখিয়েছিল। ওদের ভাষ্যমতে, ‘আমরা এই প্রথম টিভির মধ্যে ঢুকছি’ শুনতে মজাই লাগছিল আমার।
কথা বলতে বলতে সীমান্তের কাছাকাছি পাহাড়ের কাছে পৌঁছে গিয়েছি। শুটিং শুরু করে দিই। দৌড়ের শট নেব। পাহাড়ের ভেতর দিয়ে দৌড়ানো যথেষ্ট কষ্টসাধ্য। শট ঠিক হচ্ছিল না, ফোকাসের কারণে একই শট বারবার নিতে হচ্ছিল। কোনো অভিনেতা হলে এক ঘণ্টা বিরতির পর দ্বিতীয় শট নিতে হতো। ওদের শারীরিক শক্তি এতই বেশি যে, ওই দিন কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ বার পাহাড়ে ওঠানামা করতে হয়েছে। কিন্তু ওরা প্রতিবারই সমান উদ্যমে শট দিয়েছে। প্রতিটা শট শেষ হওয়ার পরপরই বলে ওঠে, ‘স্যার আবার?’
সন্ধ্যায় ফিরতি পথ ধরলাম ক্যাম্পের দিকে। কলসিন্দুর স্কুল ঘরে পুরো শুটিং দলের আস্তানা। প্রতিটি ক্রু, চিত্রগ্রাহক, সহকারী পরিচালকসহ সবাই প্রচণ্ড কষ্ট করেছেন এই শুটিংয়ে। কিন্তু কারও চোখেমুখে ক্লান্তির লেশমাত্র নেই। ক্যামেরার সামনের মেয়েদের মতো আমাদের পুরো শুটিং দলও উৎফুল্ল। সবার চেষ্টা এই সাফল্যগাথা দর্শকের কাছে কতটা ভালোভাবে তুলে ধরা যায়।
গল্পে ফিরে আসি, ফিরছি ক্যাম্পের দিকে। গ্রামের পথ ধরে ১০টা ইজিবাইক সারি মেনে এগিয়ে চলেছে।
-ও স্যার গান গাইলে কি আপনার সমস্যা হবে?
-কী যে বলো, আমার শুনতে খুবই ভালো লাগবে।

শুটিংয়ে নির্দেশনা দিচ্ছেন রেদওয়ান রনি

হঠাৎ সমস্বরে গেয়ে ওঠে ওরা। প্রাণ খুলে চিত্কার করে। আমার ভীষণ আনন্দ পায়। এ রকম সত্যিকারের চরিত্র নিয়ে সাধারণত কাজ করা হয় না। ওদের যতই দেখছি ততই মুগ্ধ হয়েছি।
গানে, গল্পে এগিয়ে যেতে থাকি আমরা।
-প্রথম বিমানে ওঠার গল্প বলো।
-স্যার বিমানের ভেতরে যে এত জায়গা, তা বোঝা যায় না দূর থেকে।
পুরো এলাকার মধ্যে প্রথম বিদেশ খেলতে যায় মার্জিয়া আর তাসলিমা, শ্রীলঙ্কায়। মার্জিয়ার দলে চান্স পাওয়া নিয়ে পুরো একটা সিনেমা বানানো সম্ভব। গোল সিনেমা দেখে কেঁদেছিলাম অনেক। আমাদের মার্জিয়ার গল্প নিয়ে সিনেমা বানালে সারা বিশ্ব কাঁদবে। এটা আমি হলফ করে বলতে পারি।
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে খেলা দেখে জাতীয় দলের কোচের পছন্দ হয়ে যায় তাসলিমার গোল কিপিং। শ্রীলঙ্কায় খেলার জন্য বাছাইপর্বে খেলার আমন্ত্রণ জানায় তাসলিমাকে।
মফিজ স্যার তাসলিমার সঙ্গে মার্জিয়াকেও ঢাকায় নিয়ে আসে। তখন মার্জিয়া বিভিন্ন টুর্নামেন্টে খুবই ভালো খেলছিল। স্যারের বিশ্বাস তাসলিমার সঙ্গে মার্জিয়াও শ্রীলঙ্কায় খেলার সুযোগ পাবে।
ঢাকায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন—বাফুফের প্রধান কার্যালয়ে এসে হোঁচট খায় তারা। বাফুফে আমন্ত্রণ জানিয়েছে তাসলিমার জন্য কাজেই মার্জিয়াকে নেওয়া যাবে না। এমনকি বাফুফের হোস্টেলেও থাকতে পারবে না। মফিজ স্যার কর্তাব্যক্তিদের অনেক কষ্টে রাজি করালেন তিন দিন প্র্যাকটিস করার সুযোগ পাবে মার্জিয়া। এরপর ওর খেলা দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো এই তিন দিন কোথায় থাকবে তারা? ঢাকায় নেই কোনো আত্মীয়স্বজন, হাতে টাকাপয়সাও তেমন নেই। এরপর কোনোভাবে থাকা যায় এ রকম একটা নিম্নমানের হোটেলে ওঠে তারা। প্রতিদিন মার্জিয়াকে প্র্যাকটিস করায়। তিন দিন পর বাছাই শুরু হয় কিন্তু মার্জিয়াকে শুরুতে খেলতে দেওয়া হয় না। পরে স্যার অনুরোধ করে হাফ টাইমের পরে মার্জিয়া নামানো হয় মাঠে।
এতক্ষণ খেলায় কোনো গোলই হয়নি কোনো দলের। মার্জিয়া উঠেই পরপর তিন গোল দিয়ে দেয়। পুরো জাজ প্যানেল, দলের সবাই তো অবাক। শ্রীলঙ্কা সফরে যাওয়ার ‘ইয়েস কার্ড’ পেয়ে যায় মার্জিয়াও। সেই শ্রীলঙ্কা সফরে পুরো টিমের সর্বোচ্চ গোলদাতা মার্জিয়া, সবচেয়ে সেরা গোলরক্ষক তাসলিমা।
আমি তথ্যচিত্রের জন্য শুটিং করেছি চার দিন। এই চার দিন তাদের প্রত্যেকের বিজয়ের গল্প শুনে আমার চোখে পানি এসেছে। অনুপ্রাণিত হয়েছি বারবার।
একজন খেলোয়াড় প্রতিদিন প্র্যাকটিস করার পর তার ঠিকঠাক পুষ্টির দরকার। দারিদ্র্যর চরম সীমায় পৌঁছা এসব দেশরত্নদের পরিবারের সেটা সম্ভব হয়ে ওঠে না। কিন্তু তারপরও তারা এগিয়ে চলে সব বাধা পেছনে ফেলে।

এভাবেই চলে প্রতিদিনের ফুটবলচর্চা

এএফসি অনূর্ধ্ব ১৪ আঞ্চলিক ম্যাচ খেলতে নেপালে যে জাতীয় দলটি যায় তার ১০ জনই এই মফিজ স্যারের শিষ্য। নেপালে প্রথম খেলায় ভারতের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে। যে ইরানকে বাংলাদেশ কোনো দিন হারাতে পারেনি, সেই ইরানকে দেয় ২ গোল। ভুটানকে ১৬ গোল।
-হা হা হা ১৬ গোল দেওয়ার পর ভুটানের খেলোয়াড়েরা কিছু বলেনি?
-ওরা আমাদের অনেক বড় ভক্ত হয়ে গেছে।
ঠিক ফাইনালের আগের রাতে প্রলয়ংকরী ভূমিকম্প শুরু হয় নেপালে। কী যে ভয়াবহ অবস্থার মধ্যে পড়েছিল এই ছোট ছোট মেয়েরা। সারা রাত খোলা রাস্তায় কাটানোর পর বিমানবন্দরে যখন আসে আবারও শুরু হয় ভূমিকম্প। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর ত্রাণবাহী বিমানে দেশে ফিরে তারা।
সামনে আরও বড় জয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। এবার ফাইনাল খেলতে গেলে কাপটা না নিয়ে ফিরবে না। তাদের জয়ের গল্প শুনতে শুনতে শুটিং শেষ হয়ে আসে আমার।
আমার জন্য পুরো শুটিংটি সত্যিই বিরল অভিজ্ঞতা, ওদের কাছ থেকে শিখেছি অনেক কিছু। ধন্যবাদ প্রথম আলোকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য। কীভাবে শত বাধা পেরিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে চলতে হয়, জয় ছিনিয়ে আনতে হয় তাদের থেকে ভালো করে আর কেউ জানে না।
শুটিং শেষ। ঢাকায় ফিরব। আমার কেন যেন কান্না পাচ্ছে, মায়া পড়ে গেছে তাদের ওপর। সবাই বিদায় জানাচ্ছে, আবার আসবেন। আসব আমি অবশ্যই, ওদের কাছে বারবার আসব, ওরা তো জানে না কি যে এনার্জি ওদের কাছ থেকে আমি নিয়ে যাচ্ছি। আমার চার্জ ফুরাতে থাকলেই আবার এসে এনার্জি নিয়ে যাব সব বাধা পেরিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে চলা এই কলসিন্দুরের সানজিদা, মারিয়া মার্জিয়া, তাসলিমাদের কাছ থেকে।

আরও পড়ুন: