যে পাঁচ খাদ্যাভ্যাসে বদলে যাবে জীবন

নতুন বছর মানে নতুন প্রতিজ্ঞা। পুরোনো বদভ্যাস ছেড়ে নতুন কোনো ভালো অভ্যাসে জড়িয়ে পড়ার প্রতিজ্ঞা। আর সে জন্য জানুয়ারি মাসের চেয়ে ভালো সময় আর হয়ই না। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের কোনো বিকল্প নেই। নতুন বছরে নতুন খাদ্যাভ্যাসে জীবনযাপনের পদ্ধতিতে আনতে পারেন ইতিবাচক পরিবর্তন। ছোট ছোট কিছু পরিবর্তনই বড় ফারাক গড়ে দেয়। সে রকমই কিছু সহজ নিয়মকে বানিয়ে ফেলতে পারেন অভ্যাস। এই পাঁচ সহজ খাদ্যাভ্যাসে অনেকটাই স্বাস্থ্যকর হয়ে উঠবে জীবনযাপন।
টাটকা খাবার খান
ছবি: পেক্সেলস ডটকম

১. এক ভাগ প্রোটিন, এক ভাগ শর্করা, দুই ভাগ শাকসবজি

‘ডিটক্সিন’ আর ‘লো কার্ব’ ডায়েট কেবল বাংলাদেশে নয়, সারা বিশ্বেই বেশ জনপ্রিয়। অথচ অসংখ্য গবেষণায় দেখা গেছে, এই দুই ডায়েটের কোনোটাই আসলে ততটা কার্যকর নয়। ‘সাময়িকভাবে কার্যকর’ হলেও সেটা টেকসই হয় না। যেসব খাবার দেখলেই সাধারণত আপনার জিবে জল আসে, ঝাঁপিয়ে পড়ে খেতে ইচ্ছা করে, সেগুলো বাদ দিন। বদলে টাটকা খাবার খান। দিনে তিন বেলা খান। প্রতি বেলায় খাবারের প্লেটকে চার ভাগে ভাগ করুন। এক ভাগে রাখুন প্রোটিন। আরেক ভাগে শর্করা। বাকি দুই ভাগে থাকবে শাকসবজি। ভোগ ইউকে ম্যাগাজিনের নিয়মিত লেখক ও পুষ্টিবিদ রোজেমেরি ফার্গুসন এই উপদেশ দেন।

এক ভাগে রাখুন প্রোটিন। আরেক ভাগে শর্করা। বাকি দুই ভাগে থাকবে শাকসবজি

২. অল্প সময়ে বেশি পরিবর্তনের জন্য প্রলুব্ধ হবেন না


হঠাৎ খাদ্যাভ্যাসে বড় পরিবর্তন আনা ঠিক নয়, মনে করেন পুষ্টিবিদ ইভ কালিনিক। তিনি বলেন, অল্প সময়ে বেশি পরিবর্তনের জন্য প্রলুব্ধ হবেন না। এটা শরীরের উপচিতি (মেটাবলিজম) পদ্ধতির বিরুদ্ধে রীতিমতো যুদ্ধ ঘোষণা করে। আর অনেক সময় শরীরের স্বাভাবিক মেটাবলিজম সিস্টেম ভেঙে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই যা করবেন, নিয়মিত করবেন। অন্তত এক বছর সময় হাতে নিয়ে করবেন। কিছু একটা শুরু করলে সেটা নিয়ম মেনে শেষ করবেন।

৩. খাবারের প্লেট যেন রঙিন হয়

আঁশযুক্ত খাবার খান। বেশি করে ফল আর সবজি খান। একেক দিন একেক রঙের ফল আর সবজি বেছে নিন। আপনার খাবারের প্লেট যেন নানান রঙের সবজি, ফল আর সালাদে রঙিন হয়।


৪. একেক মৌসুমে একেক খাবার

একেক মৌসুমে একেক রকম খাবারের দাবি বাড়ে। গরমে বেশি খান মিল্কশেক, স্মুদি, জুস আর নানান কিছু দিয়ে বানানো সালাদ। শীতে খান বিভিন্ন স্বাদের স্যুপ।

প্রতিদিন অন্তত আধা ঘণ্টা হাঁটার কোনো বিকল্প নেই

৫. নড়াচড়া বাড়ান

এটা যদিও সরাসরি খাওয়াদাওয়ার সঙ্গে যুক্ত নয়। তবে প্রতিদিন অন্তত আধা ঘণ্টা হাঁটার কোনো বিকল্প নেই। এতে রক্তে শর্করার মাত্রা আর লেপটিন হরমোন নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফলে আমাদের যতটুকু প্রয়োজন, এর বেশি খিদে পায় না। একটু হাঁটাহাঁটি করলে কেবল যে শরীরের পেশিগুলো ভালো থাকবে, এমনটাই নয়, বরং হরমোনও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
সূত্র: ভোগ ইউকে