মেহেদির বর্ণিল নকশায়

>
আগের দিন হাত ভরে মেহেদি পরার মধ্য দিয়েই শুরু হয়ে যায় ঈদের আনন্দ। ছবি: নকশা
আগের দিন হাত ভরে মেহেদি পরার মধ্য দিয়েই শুরু হয়ে যায় ঈদের আনন্দ। ছবি: নকশা
হাতজুড়ে মেহেদি না পরলে ঈদের আনন্দ যেন পূর্ণতা পায় না। এবার ঈদে ঘরে থেকেই মেহেদি পরার ছোট আয়োজন করতে পারেন। প্রতিবছর মেহেদির নকশায় দেখা যায় ভরাট কারুকাজ। তবে এবার নকশা হবে একেবারেই হালকা। ঘরে বসে মেহেদি পরা হবে তাই কারুকাজও বাছাই করতে হবে তেমন। ইউটিউবে সহজ কিছু নকশা দেখেই মেহেদি পরা যাবে। নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মানলে রংও হবে গাঢ়, বললেন মেহেদি বাই আফসানার নকশাবিদ আফসানা আফরোজ

মেহেদির নানা নকশা

মেহেদির বিভিন্ন নকশার মধ্যে কিছু হালকা নকশাও রয়েছে। মানডালা এমনই একটি নকশা। যা খুবই পরিচিতি ও পুরোনো। হাতে তালুতে বা হাতের ওপরে গোল আকৃতির এই নকশা করা যাবে। আঙুলে থাকতে পারে হালকা কারুকাজ। আবার চাইলে লতা আকারেও পরা যাবে মানডালা নকশা। 

এ ছাড়া রয়েছে অনেক ধরনের স্টিক বা লতা নকশা। এ ধরনের নকশা সাধারণত লতার মতো করে এক আঙুলে পরা হয়। তবে একটু ভরাট চাইলে দুই বা তিন আঙুলে অনায়াসেই পরা যায়। 

হালকা ধরনের মেহেদি নকশা হলো গোলফ হেনা। এ ধরনের নকশায় হাতের কিছু কিছু জায়গায় নকশা করা হয়। যাঁদের হাত একটু গোল বা ভরাট তাঁরা এই নকশা পরতে পারবেন সহজেই।

কোন হাতে কেমন নকশা

সব হাতে সব ধরনের নকশা মানাবে না। সরু হাতে একটু ভরাট নকশাই ভালো লাগে আর ভারী হাতের জন্য গোলফ হেনা মানানসই। যদি ভরাট নকশা করতে হয় সে ক্ষেত্রে চিকন ও মোটা—দুই ধরনের লাইন ব্যবহার করতে হবে। তা না হলে হাত আরও চওড়া লাগবে। লম্বা হাতের জন্য আদর্শ মানডালা নকশা।

ছোটদের জন্য নকশা

ছোটদের হাতে প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়াই ভালো। নকশা হিসেবে বেছে নিতে হবে বড় আকারের ফুল বা মানডালা নকশা। সঙ্গে ঈদের আমেজ আনতে চাঁদ–তারা আঁকা যেতে পারে। 

গাঢ় রঙের জন্য

গাঢ় লাল রঙের জন্য মেহেদি রাতে দেওয়াই ভালো। তবে দিনের বেলা দিলে অবশ্যই ২৪ ঘণ্টা পানি ধরা যাবে না। টিউব মেহেদি দেওয়ার পর শুকিয়ে এলে লেবু ও চিনি পানি দিলে গাঢ় লাল রং পাওয়া যাবে। মেহেদি পাতা তুলে তা চায়ের লিকারে ৩০ মিনিট ভিজিয়ে বাটলেও ভালো রং পাওয়া যায়। এ ছাড়া মেহেদি তোলার পর হাতে জলপাই বা শর্ষে তেল দিলেও রং সুন্দর আসে। যাঁদের নখে গাঢ় রং হয় না তাঁরা হালকা চুন নখে লাগিয়ে ৫ মিনিট বাটা মেহেদি ব্যবহার করলে মনমতো রং পাবেন। এ ছাড়া মেহেদি হালকা শুকালে চুলার তাপে ২–৩ মিনিট ছেঁকে ভালো রং পাওয়া যাবে। 

পাতা ভালোমতো শুকিয়ে ভালোভাবে গুঁড়া করে নিতে হবে। একটি টিউবের জন্য ৩ চা-চামচ লেবুর রসের সঙ্গে ১ চা-চামচ চিনি মিশিয়ে মেহেদি টিউব তৈরি করা যায়। আবার পাতা খুব ভালো মতো বেটে মোটা ছিদ্রের ঝাঁঝরিতে ছেঁকে টিউব করা যায়। রসের সঙ্গে ১ চা-চামচ চিনি মিশিয়ে মেহেদি টিউব তৈরি করা যায়। আবার পাতা খুব ভালোমতো বেটে মোটা ছিদ্রের ঝাঁঝরিতে ছেঁকেও টিউব করা যায়।