মা হবেন ব্রিটনি, বাবা ইরানি প্রেমিক স্যাম

বাবা জেমস স্পিয়ার্সের সঙ্গে বেশ কয়েক বছর ধরে চলছিল আইনি লড়াই। ২০২০ সালের জুনে সেই লড়াইয়ে জিতে পেয়েছেন বিয়ে আর সন্তান নেওয়ার অধিকার। সেই রায় আসার আগে জানান, বাগদান সেরেছেন দীর্ঘদিনের প্রেমিক স্যাম আসগারির সঙ্গে। এবার বিয়ের আগেই এল সন্তান হওয়ার খবর। তৃতীয়বারের মতো মা হতে চলেছেন মার্কিন সংগীত তারকা ও অভিনেত্রী ব্রিটনি স্পিয়ার্স। ইনস্টাগ্রামে নিজেই তাঁর চার কোটি ভক্তকে জানিয়েছেন এই সুখবর।

ব্রিটনি স্পিয়ার্স
ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে

২০০৪ সালে ছোটবেলার বন্ধু ও প্রথম স্বামী জ্যাসন অ্যালেন আলেক্সান্ডারের সঙ্গে বিয়ে আর বিচ্ছেদ হয় ব্রিটনির। একই বছরে বিয়ে করেন ড্যান্সার কেভিন ফেডেরলিনকে। এই সংসারে দুই ছেলে আছে তাঁর। ২০০৭ সালে বিচ্ছেদ হয় কেভিনের সঙ্গে। দীর্ঘ সময় একা থেকেছেন ব্রিটনি। হতাশা আর বিষণ্নতায় ভুগেছেন। ১৫ বছর পর আবার মা হবেন তিনি।

ব্রিটনি ও স্যাম

মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছিলেন। তখন তাঁর দেখভাল ও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আইনগত অভিভাবকত্ব দেওয়া হয় ব্রিটনির বাবাকে। এরপরই তাঁর বাবা ব্রিটনির সব সম্পদের ওপর দখলদারি আনা শুরু করেন। তাঁর বিরুদ্ধে ব্রিটনিকে জোর করে মানসিক ভারসাম্যহীনতার ওষুধ খাওয়ানোর অভিযোগও আছে।

আবারো মা হতে চলেছেন ব্রিটনি স্পিয়ার্স

তবে মামলায় জয়ী হওয়ার জন্য ব্রিটনি নিজ তাগিদে মাদকমুক্ত আর সুস্থ হয়েছেন। একটি সন্তানের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য যেমন স্বাভাবিক জীবন আর ভারসাম্য দরকার, সেখানে ফিরেছেন। সেই যাত্রায় পরম বন্ধু হিসেবে সঙ্গী ছিলেন স্যাম। তখনই বলেছিলেন, ‘আমি আমার ওপর থেকে সব অভিভাবকত্ব, নজরদারি আর কর্তৃত্বের অবসান চাই। আমি বিয়ে করতে চাই, সন্তান নিতে চাই। আর সুখী হতে চাই।’ সেই পথেই হাঁটছেন ব্রিটনি।

ব্রিটনি ও স্যামের ঘরে আসতে চলেছে নতুন অতিথি

এরপর ২০১৬ সাল থেকে স্যামের সঙ্গে প্রেম। তখন ব্রিটনির বয়স ছিল ৩৪ আর স্যামের ২২। ২০২১ সালে সেপ্টেম্বরে আসগারির সঙ্গে আংটিবদল হয় স্পিয়ার্সের।

তখনই দুজন জানিয়েছিলেন, সন্তান নিতে চান তাঁরা। পেশায় স্যাম ব্রিটনির ব্যক্তিগত ট্রেনার। ২৮ বছর বয়সী স্যাম হতে চলেছেন ব্রিটনির তৃতীয় সন্তানের বাবা।

শেষবার মা হয়েছিলেন ১৫ বছর আগে

পাপারাজ্জিদের কাছ থেকে দূরে থাকতে খুব একটা বাইরেও বের হচ্ছেন না ৪০ বছর বয়সী এই সংগীতশিল্পী ও অভিনেত্রী। তা ছাড়া গর্ভকালীন বিষণ্নতায় ভুগছেন ব্রিটনি। অতীতের সব ‘ভীতিকর অভিজ্ঞতা’ পেছনে ফেলে একান্তে জীবনের নতুন অধ্যায় লিখতে চান; যেখানে থাকবে কেবল সুখ, স্বস্তি আর স্বাধীনতা।