‘মা, বাবা, ভাইয়া থাকলে ভয়ের কী’

বাবার কাছে...।

হ্যাঁ, বাবাই (সৈয়দ আখতারুজ্জামান) তো আমাকে বাংলা চ্যানেলের গল্প বলেছে, সাঁতারে আগ্রহী করেছে।

প্রথমে সাঁতার শিখেছি গুলশান ইয়ুথ ক্লাবের সুইমিং পুলে। সিনা আংকেল (প্রথম বাংলা চ্যানেল জয়ী দলের সদস্য ফজলুল হক) আমাকে সাঁতার শিখিয়েছেন। সেটা দুই বছর আগে।

আমার ডিপে (মাঝপুকুরে) যেতে ভয় করত। বাবা জোর করে ডিপে নিয়ে যেত। ধীরে ধীরে সাহসী হয়েছি। তখন (গুলশানের) শাহাবুদ্দিন পার্কের পুকুরে সাঁতার কেটেছি।

হ্যাঁ। বাছাইয়ের সময় আমি চার ঘণ্টা সাঁতার কেটেছিলাম। লিপটন আংকেল (সর্বোচ্চসংখ্যকবার বাংলা চ্যানেল অতিক্রমকারী সাঁতারু লিপটন সরকার) আমাকে সিলেক্ট করেছিলেন।

বাংলা চ্যানেল অভিযানের আগে দুই দিন দুই ঘণ্টা করে আমরা সমুদ্রে প্র্যাকটিস করেছি। প্রথম যেদিন সমুদ্রে নামলাম, তখনই জেলিফিশ
কামড়েছিল। তাতে খুব কষ্ট হয় না, তবে একটু জ্বলে।

বাংলা চ্যানেল সাঁতার শুরুর পর বারবার মুখের মধ্যে লোনাপানি ঢুকছিল। ফিলিংটা আমার ভালো লাগছিল না। তবে আস্তে আস্তে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু সাগর এত উত্তাল ছিল, এত বড় ঢেউ আসছিল, ওপরে উঠে শ্বাস নিতে নিতেই মুখে পানি ঢুকছিল। কিছুটা গিলেও ফেলতে হয়েছিল!

ভয় তো একটু করেছেই। তবে আমার কাছাকাছি সাঁতার কেটেছে বাবা আর ভাইয়া (সৈয়দ আরবিন আয়ান)। রেসকিউ বোটে মা (খাদিজা খানম) ছিলেন। মা, বাবা, ভাইয়া থাকলে ভয়ের কী!

আমি আরও যেতে চাইছিলাম। কিন্তু জোয়ার চলে আসছিল। রেসকিউ টিম বোটে উঠতে বলে।

অবশ্যই, মার্চে আবার যাব, আমি বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা
করব।

ঢাকার প্লে পেন স্কুলে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ি। পড়াশোনা ছাড়া ভরতনাট্যম, মণিপুরি নাচি। গান গাই। আগে কারাতেও শিখতাম। এই যে এখন নাটকের রিহার্সাল করছি...

হুম্‌, হা হা হা... (এতক্ষণে লারিসার হাসি হয়তো থেমেছে)!