পাঠকের সুখ–দুঃখ, হাসি–আনন্দ, পছন্দ, ভালোলাগা, ভালোবাসাসহ যে কোনো না বলা কথা শুনতে চায় মনের বাক্স। প্রতি সপ্তাহে পাঠকের পাঠানো সেসব লেখা থেকে নির্বাচিত কিছু লেখা আজ প্রকাশিত হলো এখানে
আজও মনে পড়ে
আজও প্রতি ক্ষণে ক্ষণে তোমায় মনে পড়ে। আজ আমার জীবনে অনেক কিছু আছে, তবু মনে হয় কী যেন নেই। আমার এই হৃদয়জুড়ে আজ অনেক কিছু আছে। তার মধ্যে আছে, তোমাকে না পাওয়ার শূন্যতা। তোমার ফেলে যাওয়া স্মৃতিগুলো আঁকড়ে ধরে নিঃস্ব হয়ে আজও একা বেঁচে আছি। বিধাতার কাছে আমার একটাই চাওয়া, জীবনের শেষবেলায় যেন তোমার দেখা পাই। এক জীবনে তোমাকে না পেলে যে কিছুই অর্জন থাকবে না আমার।
লুৎফর রহমান
সারিয়াকান্দি, বগুড়া
সেই মুখ দেখার আশায়
মমি, এই সম্বোধনে তুমি বিরক্ত হও, তারপরও এই ‘মমি’ ডাকতেই বেশি ভালো লাগে। এই লেখা অবশ্যই কোনো বিশেষ দিনকে উপলক্ষ করে লিখছি না। লিখছি, কারণ, প্রতিদিন সকালে তুমি পত্রিকা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে যখন পড়ো, তখন হঠাৎ করেই এই চিঠি পেয়ে গেলে কেমন অবাক আর খুশি হবে, সেই মুখ দেখার আশায়। দিনের পর দিন শুধু স্বামী আর সন্তানদের ভালো রাখার জন্য নিজের সবকিছু বাদ দিয়ে, ভুলে গিয়ে নিরন্তর যা করে যাও, তার জন্য অফুরান ভালবাসা, শব্দে যা প্রকাশ করা কঠিন।
তবে ডাক্তার দেখানোর কথা উঠলেই রেগে উঠে, এড়িয়ে গিয়ে তুমি ভালো কাজ করছ না। এই চিঠি পড়ে আশা রাখি তুমি এসব ব্যাপারে নমনীয় হবে। আরেকটা কথা, সকালে একটু বেশি ঘুমালে ফ্যানের সুইচ অফ করে দেওয়ার মতো শাস্তি আর দিয়ো না।
জেবা তাসনিম বিনতে আলমগীর
শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
সুখে থাকো
অনেক দিন ধরেই ভাবছি, তোমাকে নিয়ে লিখব। কিন্তু লেখা আর হয় না। এখন লেখা ছাড়া আর উপায় কী বলো? আমাকে ব্লক করে রেখেছ, সেই কত দিন হলো। আমি তো সে কষ্টই ভুলতে পারছি না। তুমি বলেছিলে, আমার সঙ্গে কথা তুমি সারা জীবন বলতে পারবে, তবে বেস্ট ফ্রেন্ড হয়ে। এখন কেন এমনটা হচ্ছে, বুঝতে পারছি না।
অন্যভাবে ফোন করব, ভাবছি যদি বিরক্ত হও। যদি বাসার অন্য কেউ ফোন রিসিভ করে। সেই ভয়ে আর ফোন দেওয়া হয় না।
এখনো বলছি, তোমাকে আমি এখনো অনেক ভালোবাসি।
২৬ মার্চ তোমার ছোট ভাইয়ের কাছে জানতে পারলাম, তোমার ছেলে হয়েছে। তোমার ভাইয়ের কাছ থেকে তোমার আর ছেলের একটা ছবি নিলাম। মন ভরে দেখলাম...
তোমার ভাইকে বললাম, তোমার সঙ্গে ভিডিও কলে দুই মিনিট কথা বলব। তোমার ভাই কোনো উত্তর দিল না। তারপর আর কোনো যোগাযোগ করিনি।
ঈদের ছুটিতে গ্রামে গিয়ে তোমাকে ফোন করে ব্যস্ত পাই। আমার নম্বর ব্লক লিস্টে রেখেছ। ঈদের দুই দিন পর আবার ব্লক লিস্ট থেকে সরিয়েছ। আমি ফোন করার পর আবার ব্লক লিস্টে রেখেছ। অন্য সিম থেকে ০ কল করেছি, সেটাও ব্লক লিস্টে রেখেছ। তাই আর যোগাযোগ করতে পারিনি। আমি দেখা করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু দেখা তো আর দিলে না, তাই ৭ এপ্রিল আমার আপন ঠিকানায় ফিরে আসি।
যা–ই হোক, তুমি যেখানেই থাকো, সুখে থাকো, এটাই আমার চাওয়া ও পাওয়া।
এ এফ আউয়াল হোসেন
আশুলিয়া, সাভার, ঢাকা
একদিন হয়তো হবে
প্রথম যেদিন তোমাকে দেখেছি, এরপরই আমার হৃদয় দখল করে নিয়েছ। আমাকে একটু বেশি আবেগপ্রবণ লাগতে পারে, কারণ এই প্রথম আমি একজনের প্রতি এতটা আকর্ষণ অনুভব করছি। ছেলেরা কেন যে এত সহজে প্রেমে পড়ে যায়! কোনো মেয়েকে দেখলেই তোমার কথা মনে পড়ে যায়। তোমাকে নিজের মনের কথাগুলো বলতে ঠিকই চাই, কিন্তু বলার সাহস হয় না। পৃথিবীর সবকিছু ভুলে তোমার হাসির দিকে তাকিয়ে তোমার কাছে থাকতে চাই। জানি আমাদের পরিস্থিতির কারণে তা অসম্ভব। কিন্তু মনের মধ্যে একটা আশা ঠিকই থাকে, একদিন হয়তো হবে। যা কিছু হোক, তোমাকে আমি কোনো দিন ভুলব না। কারণ, তুমিই ছিলে আমার প্রথম প্রেমের কাহিনি।
ফাইয়াজ, কুমিল্লা
মানুষটাকে ভোলা গেলেও স্মৃতিগুলো ভোলা যায় না
তুমি বিচ্ছেদ করে চলে গেলে অথচ রেখে গেলে অজস্র স্মৃতি! একবারও খোঁজ নিয়ে দেখলে না, তোমার স্মৃতিগুলো বুকে আঁকড়ে ধরে কীভাবে বেঁচে আছি। তোমার সঙ্গে কাটানো সুন্দর মুহূর্তগুলো আজও বড্ড মিস করি। কলেজ ক্যাম্পাসে আড্ডা দেওয়া, রিকশায় ঘোরা, রেস্তোরাঁয় সময় কাটানো, রাত জেগে কথা বলা—কত না সোনালি সময়! তোমার পেছন পেছন ঘোরা, বাসা পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে আসা, তোমার হাত ধরা। কিন্তু ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস! ‘তুমি’ বলতে আজ অতীতের স্মৃতিগুলো ছাড়া আর কিছুই নেই।
তোমার দেওয়া স্মৃতি আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকতে চাই আমৃত্যু। মানুষটাকে ভোলা গেলেও তার রেখে যাওয়া স্মৃতিগুলো কখনোই ভোলা যায় না...!
নাঈম উদ্দীন
২০২০-২০২১ বর্ষ, সরকারি সিটি কলেজ, চট্টগ্রাম
অধুনা, প্রথম আলো, প্রগতি ইনস্যুরেন্স ভবন, ২০–২১ কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ই-মেইল: adhuna@prothomalo.com, ফেসবুক: facebook.com/adhuna.PA খামের ওপর ও ই-মেইলের subject–এ লিখুন ‘মনের বাক্স’