এখনকার ব্যস্ত জীবনে মানুষের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে। ব্যস্ততা আর উদ্বেগ মিলিয়ে মনের ওপর বেশ ধকল যাচ্ছে। সে তুলনায় মনে প্রশান্তি আনার ফুরসত মেলে না। প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে পড়লে শারীরিক ও মানসিক অবস্থার ওপর একধরনের প্রভাব পড়ে। এই স্ট্রেস বা ধকল কাটানোর উপায় নিয়ে বেশ কিছু গবেষণা হয়েছে।
গবেষকেরা বলছেন, মানসিক চাপ বা ধকল কাটানোর অন্যতম উপায় হচ্ছে নিজের সঙ্গে বোঝাপড়া করা। নিজের সঙ্গে কথা বলা। এতে মনের ওপর চাপ না বাড়িয়ে আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। ‘সায়েন্টিফিক রিপোর্টস’ সাময়িকীতে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিবন্ধে বলা হয়, তৃতীয় পক্ষ হয়ে নিজের সঙ্গে নিজে কথা বলা নেতিবাচক অনুভূতি দূরে রাখতে সাহায্য করে।
যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক জেসন মোজার বলেছেন, তৃতীয় পক্ষ হয়ে যখন নিজের সঙ্গে কথা বলা হয়, তখন অন্যের সম্পর্কে ভাবার মতো নিজের সম্পর্কে ভাবার সুযোগ হয়। মস্তিষ্কে এর ছাপ পড়ে। এতে আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
এর বাইরে কিছু খাবার আছে, যা খেলে মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। বিশেষ কিছু খাবারের বিশেষ পুষ্টি উপাদানগুলো আমাদের স্নায়ুকে শীতল রাখতে সহায়তা করে, সাময়িকভাবে হলেও তা কিছুটা মানসিক চাপ কমায়। এ খাবারগুলো সম্পর্কে জেনে নিন:
মসুর ডাল
মসুর ডালে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি থাকে। ক্লান্তি ভাব কমিয়ে সতেজতা আনতে পারে এ ডাল। এ ছাড়া শরীরে শক্তি বাড়াতে মসুর ডাল দারুণ কার্যকর। মসুর ডালের মতো উচ্চ ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার খেলে হার্টের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।
কলা
কলায় আছে ভিটামিন সি, যা চাপ কমাতে দারুণ কার্যকর। চাপের কারণে কোষের যে ক্ষতি হয়, তা নিরাময়ের কাজ করে কলা। কলা বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় একটি ফল। মিষ্টি স্বাদের এই ফল বেশ সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর একটি খাবার। কলা শরীরে শক্তি জোগায় এবং বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে।
দই
দইয়ে থাকে ক্যালসিয়াম, যা চাপ কমানোর দারুণ উপাদান হিসেবে কাজ করে। এতে যে উপকারী ব্যাকটেরিয়া থাকে, তা উদ্বেগ কমায়। তাই খাবারে দই রাখতে পারেন।
নারকেল
মানসিক চাপ কমাতে নারকেল খেতে পারেন। এতে যে উপাদান আছে, তা মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে। নারকেলের গন্ধ মানসিকভাবে প্রভাব ফেলবে, যা চাপমুক্ত হতে সাহায্য করবে। এটি দ্রুত হৃৎস্পন্দন কমাতে পারে। তথ্যসূত্র: এনডিটিভি।