মনের বাক্স
মনের বাক্স

মনের বাক্স

ভুলটাই দেখলে আজীবন

ভুলটাই দেখলে আজীবন

তুমি আমার মুখের হাসিটুকু দেখে হিংসা, ঘৃণা আর সমালোচনাই করে গেলে; কিন্তু আড়ালে অঝোরে ঝরা চোখের অশ্রুটুকু দেখলে না। যা দেখলে তুমি কখনো আমায় হিংসা করতে না। বরং তখন তুমি বুঝতে পারতে আমি কত অসহয়। মায়াভরা চোখের অশ্রু দেখে তখন তোমারই মায়া লেগে যেত আর আমার জন্য।

আমি নিশ্চিত, তোমার অন্তরে তখন ভালোবাসার এক ফুটন্ত কলি জন্মাত। তাই অনুরোধ শুধু হাসি না দেখে, আমার চোখের অশ্রু দেখো। তারপর না হয় তুমি আমায় দেখে হিংসা, ঘৃণা বা সমালোচনা করো।

আজিম খান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।

ফিরে পাওয়ার আশায়

পড়ার জন্য একদিন তোমায় বলেছিলাম, ভোর চারটায় আমায় ডেকে দিতে। তুমি সারারাত না ঘুমিয়ে ঠিক ভোর চারটার সময় আমায় কল দিয়ে জাগিয়ে দিয়েছিলে। মনে আছে কি!

শীতের পিঠা টিফিন বাক্সে করে নিয়ে এসে আমায় দিয়েছিলে, মনে পড়ে। ছাত্রাবাসের কয়েকজন বন্ধুসহ খেয়েছিলাম। সবাই তোমার খুব প্রশংসা করেছিল। মনে আছে কি! কোনো একদিন রাতের আঁধারে আমার সঙ্গে দেখা করে জাম, পেয়ারা আর লিচু দিয়েছিলে ব্যাগ ভরে। টি–শার্ট, পাঞ্জাবি কত কিছুই না দিয়েছ।

ওই ঈদে আমি যখন কিছুই উপহার দিতে পারিনি, তখন তুমি আমায় বলেছিলে তোমার ভালোবাসাই আমার সব থেকে বড় উপহার। এভাবেই আমায় সারা জীবন ভালোবাসবে। কিন্তু হঠাৎ তোমার বাড়িতে জেনেছিল বলে আজ তুমি আমার সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দিলে। তোমার স্মৃতি মুছে ফেলার চেষ্টা করলেও পারিনি। তোমার দেওয়া শার্ট, পাঞ্জাবি খুব যত্ন করে রেখে দিয়েছি। তোমার এসব স্মৃতি প্রতিটি মুহূর্তে আমায় কাঁদায়।

হঠাৎ করে তোমার এভাবে বদলে যাওয়া ঠিক হয়নি। তুমি কেমন আছ জানি না, আমি বেশি ভালো নেই। তোমার সঙ্গে যোগাযোগের কোনো পথ খুঁজে না পেয়ে, তোমার প্রিয় প্র অধুনার মনের বাক্সে লিখলাম। ফিরে আসো প্লিজ, আমি তোমার অপেক্ষায় আছি।

তৈয়ব আলী, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর।

বিদায়ের বেদনা

স্কুল, কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি ছাত্রছাত্রীর জীবনে বিদায়ের দিনটা একটি কষ্টের দিন। কত আপন বন্ধুবান্ধব, প্রিয় শিক্ষকদের ছেড়ে চলে যেতে হয়। অনেকেই মনে পাথর বেঁধে দিনটা পার করতে চাইলেও পারে না। সেই জমানো পাথরের বুক চিরে বের হয় ঝরনার অশ্রুধারা। তেমনি আমার জীবনেও ভয়ংকর কষ্টের দিন ছিল এটি। হয়তো অনেকের সঙ্গেই মিলে যেতে পারে আমার অনুভূতি।

আমার চোখের সামনে ভাসে এখনো সেই দিনটি। মোটামুটি আয়োজনে অনুষ্ঠান করা হয়েছিল একটি। কেমন যেন লাগছিল। মাথার মধ্যে পরীক্ষার টেনশন। আবার বিদায়। সব মিলিয়ে সৃষ্টি হয়েছিল একটা অস্বস্তিকর অবস্থা। লুকিয়ে সেদিন কত যে কেঁদেছিলাম। আমার কান্নাটা স্যার ছাড়া কেউ দেখেনি। এমনকি আমার বেস্ট ফ্রেন্ডও নয়। কান্নার মতো আমার ভেতরের হাহাকারও কেউ দেখেনি। দেখেনি কেউ, আমার বুকটা সেদিন এক অদৃশ্য আঘাতে কতটা ক্ষতবিক্ষত হয়েছে।

এ শামা চৌধুরী, কক্সবাজার সরকারি কলেজ।

ভালোবাসার বিশ্বাস

২০২০ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি। তোমার–আমার যুগল পথচলা। জীবনে দীর্ঘদিনের প্রাপ্তি আর অপ্রাপ্তি মিলিয়ে তোমাকে পাওয়াই আমার সবচেয়ে বড় উপহার। একটা সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি জরুরি হলো বিশ্বাস। তুমি এমন একজন যাকে চোখ বন্ধ করেও বিশ্বাস করা যায়। আমি তোমাকে ভালোবেসেছি তোমার প্রাণবন্ততা, হাসোজ্জ্বল চেহারা, মুগ্ধ করার ক্ষমতা, মানুষকে ভালোবাসার মতো অপরিসীম ক্ষমতা দেখে। তোমার ভেতর একটা সৃজনশীলতা আছে, যা আর দশজনের মতো না। তুমি খুব সহজে মানুষকে বন্ধু বানাতে পারো।

ভালোবাসা থাকলে ছেঁড়া বসনে, ডাল-ভাত খেয়েও ভালো থাকা যায়। তোমাদের টাকাপয়সা, অর্থবিত্ত দেখে আমি তোমাকে ভালোবাসিনি। তুমি এত সহজ–সরল আর নিরহংকারী থেকো আজীবন। ভালোবাসি তোমাকে।

সিরাজুল মুস্তফা, চট্টগ্রাম।

খুব মনে পড়ে

এর আগেরবার যখন আপনার জন্য অধুনার মনের বাক্সে চিঠি লিখেছিলাম, তখন ছিল অক্টোবর মাস। আর এখন ফেব্রুয়ারি। জানি না সেই চিঠিটা আপনি পড়েছেন কি না। তবু আবার লিখছি। আমাদের বিচ্ছেদের আট মাস চলে গেল।

তুই থেকে আপনি, পথটা সহজ ছিল না। আমার ভাগ্যে হয়তো আপনার নাম লেখা নেই। এখন আর আগের মতো কাঁদি না। হয়তো অভ্যাস হয়ে গেছে আপনাকে ছাড়া থাকার। আপনিও হয়তো এখন আগে থেকে ভালো থাকেন। একসময় আমাদের ভালোবাসার জন্য দোয়া করতাম। এখন আর করি না। ওই দিন খুব আশা নিয়ে আপনার কাছে আবার গিয়েছিলাম কিন্তু বুঝতে পারছিলাম যে আপনি দূরে চলে গেছেন।

জহুরা, ঢাকা।

এভাবেই পাশে থেকো

কোনো এক সকালে তোমার দেখা পেয়েছিলাম আমি। সেই সকালে তোমার মায়ায় আমি হারিয়ে গিয়েছি। তোমার সেই চশমার সরু ফ্রেমের নিচে এক মুচকি হাসি আমাকে পাগল করে তোলে ফাজু। আর তোমার কথা বলার ভঙ্গি আমার কেন জানি না খুবই ভালো লাগে। মানুষ যে এতটাই সুন্দর হয় তা তোমাকে না দেখলে জানতাম না হয়তোবা।

কদিন তুমি আমাকে, আমার জামাকাপড় নিয়ে খ্যাপাতে মনে আছে? আজ তুমি সেই মানুষটার জামার ঘামে মাথা রাখো। ভালোবাসি তোমায়। আজীবন এভাবেই ভালোবেসে যাব। আর এভাবেই পাশে থেকো আমার।

আকাশ

ঘুমন্তপুরীর রাজপুত্রকে

একটা সময় আমি সব কাজ ফেলে তোমার সঙ্গে কথা বলার জন্য বসে থাকতাম। তোমার ছোট্ট একটা মেসেজের জন্য কত আগ্রহ নিয়ে ফোনের দিকে তাকিয়ে থাকতাম। আমার যতই মন খারাপ থাক, তোমাকে একনজর দেখলে, তোমার কণ্ঠ শুনলে মন ভালো হয়ে যেত। তোমার উচ্চারিত প্রতিটি শব্দে আমার মাঝে এক অপূর্ব শিহরণ বয়ে যেত। একদিন তোমার দেখা না পেলে আমি অস্থির হয়ে যেতাম। মনে হতো তোমাকে ছাড়া আমার বেঁচে থাকা অসম্ভব। অথচ এখন তোমাকে ছাড়া দিনের পর দিন কেটে যাচ্ছে।

আমি তো এখনো তোমাকে ভালোবাসি, তোমাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখি। সারা জীবন তুমি আমার স্বপ্নের রাজকুমার হয়ে থাকবে। এই জায়গাটা অন্য কেউ নিতে পারবে না। মনে পড়ে, একসময় তোমার সঙ্গে কথা বলতে বলতে ভোর হয়ে যেত। কীভাবে যে রাত কেটে যেত, দুজনের কেউই বুঝতে পারতাম না। যখন কথা বলার মতো বিষয় খুঁজে পেতাম না, তখন আমি তোমাকে উদ্ভট সব প্রশ্ন করতাম। মাঝেমধ্যে তুমি বিরক্ত হয়ে যেতে।

আচ্ছা, তোমার কি একবারও এখন আমার কথা মনে পড়ে না?

সালমা আক্তার

লেখা পাঠানোর ঠিকানা

অধুনা, প্রথম আলো, প্রগতি ইনস্যুরেন্স ভবন, ২০–২১ কারওয়ান বাজার, ঢাকা–১২১৫

ই–মেইল: adhuna@prothomalo.com

ফেসবুক: Facebook.com/adhuna.PA

খামের ওপর ও ই–মেইলের সাবজেক্টে লিখুন ‘মনের বাক্স’