রোমান্টিকতার মোহ
ঢাকায় যখন ভর্তি কোচিং করতে গিয়েছিলাম, তখন একটা রূপবতীকে আয়নায় দেখেছিলাম। কিন্তু তখন আমার পড়াশোনার সময়। ভালোবাসায় থমকে দাঁড়ানোর না। ভেবেছি একটু দূরে গেলে জীবনটা আরও সুন্দর হবে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতে গিয়ে আমার পাশের সিটে একটা চাঁদকন্যা দেখলাম। পরীক্ষার চাপে সেদিক থেকেও নিজেকে সংযত করেছি। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর সেই আমাকে প্রথম নাম জিজ্ঞেস করল। সেদিনের বিকেলটা তাকে নিয়ে অনেক সুন্দর কেটেছিল। বলেছিল তার বাড়ি সিলেট। আমি তখন শুধু ক্যারিয়ার ক্যারিয়ার করতাম। তা সে বুঝেছিল। ফোন ব্যবহার করিনি অনেক দিন। ইচ্ছে করছিল তার ফোন নম্বরটা চাইতে। নিজের ইগোর কাছে হেরে সেটা চাইতে পারিনি।
মেয়েটা যাওয়ার সময় রিকশায় তার ওড়না আটকে গিয়েছিল, নিজের হাতে তুলে দিয়েছিলাম। প্রত্যুত্তরে একটা মুচকি হাসি দিয়েছিল। সেই হাসিটা আজও আমাকে ব্যথিত করে। আজ মনে হয়, ইশ্! কেন যে তাকে হেলায় হারালাম।
আয়মান তাহা, বরিশাল।
তুমি আগের মতো হয়ে যাও
নভেম্বরের ৭ তারিখ তোমার সঙ্গে আমার পরিচয় হয় ফেসবুকের একটা গ্রুপে। কমেন্ট থেকে ফ্রেন্ড তারপর ইনবক্সে কথা। দুজনের প্রতি দুজনের একটি ভালো লাগা কাজ করতে থাকে। দুজনের মধ্যে এত মিল দেখে দুজনই খুব অবাক হতাম। অজান্তেই আমরা ভালোবাসার সম্পর্কে বাঁধা পড়ে যাই। ভালোবাসি কথাটা বলা ছাড়াই চলতে থাকে একটা ভালোবাসার সম্পর্ক।
জানুয়ারির ৮ তারিখ আমরা প্রথমবার দেখা করি। কিছু কারণে আমার সেদিন পৌঁছাতে বেশ কিছুটা সময় দেরি হয়ে যায়, আর তোমার সে কী অভিমান।
জানো অনুপম, তোমাকে প্রথম দেখার অনুভূতিটা আমি কখনো ভুলতে পারব না। আর ছবিতে তোমাকে যতটা লম্বা মনে হয়েছিল, সেদিন বাস্তবে তোমার উচ্চতা দেখে আমি একদম অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। তুমি অনেক লম্বা। আমাদের একসঙ্গে কাটানো সেদিনটা রূপকথার মতো ভীষণ মিষ্টি ছিল।
সবকিছু তো ঠিকঠাকই ছিল। তাহলে হঠাৎ করে তুমি এমন কেন হয়ে গেলে? মাঝেমধ্যে তো তোমাকে বুঝেই উঠতে পারছি না। আজকাল খুব অচেনা লাগে তোমায়। দয়া করে তুমি আবার আগের মতো হয়ে যাও।
বর্ষা, মানিকগঞ্জ
আপনি থেকে তুমি
হালকা সম্পর্কটা যে কবে গাঢ় হয়ে গেল, নিজেও জানি না। সাধারণ পরিচয় থেকে এক অসাধারণ সম্পর্ক তৈরি হয়ে গেছে। সম্বোধন এখন আপনি থেকে তুমিতে নেমে এসেছে। কারণ, তার সঙ্গে এখন অব্যক্ত কথাগুলো বলা হয়। তার সঙ্গে কথা বলতে এতটাই ভালো লাগে, যা তীব্র শীতের সকালের মিষ্টি রোদকেও হার মানাবে।
আপনি থেকে তুমি হয়েছি। কিন্তু তাকে বলা হয়ে ওঠেনি আমি তাকে কতটা ভালোবাসি। তাই মনের বাক্সের মাধ্যমে জানাতে চাই—এই ভালোবাসার মাসে তোমাকে ভালোবাসি।
জোবায়েদ ইসলাম, জামালপুর।
আমি তোমাকেই ভালোবাসি
প্রিয় ভালোবাসা, দীর্ঘ ২৩৫ দিন পর আমাদের দেখা হয়েছিল সেদিন। ময়মনসিংহ ব্রিজ থেকে তোমাকে যখন বাড়ির উদ্দেশ্যে বাসে তুলে দিলাম সেদিন তোমার মলিন, সিক্ত চোখে আমার দিকে বারবার ফিরে তাকানো দেখে বুঝেছিলাম, আমি কতটা প্রিয় তোমার! চোখ বন্ধ করলেই আমার এই দৃশ্য চোখে ভাসে। যা আমি চাইলেও কখনো ভুলতে পারি না।
আমি তো আছি, তোমার হয়েই প্রিয়। ভালোবাসি তোমাকে।
তানভীর আহমেদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ।
এই তো জীবন
মুনতাহা, রাতের গিলাফ জড়িয়ে গেছে এই শহরে। গাঢ় অন্ধকার নেমেছে। রাস্তার ল্যাম্পপোস্টগুলো নিয়ম করে আলো দিচ্ছে। তবে সেই আলোয় আলোকিত হওয়ার কেউ নেই। মিষ্টি পাখিগুলো এ মুহূর্তে আর ডাকছে না। কোলাহল নেই কোথাও। রাস্তাঘাটেও নেই আগের মতো সেই ব্যস্ততা। সবাই যার যার মতো করে বেঁচে থাকার লড়াই করছে।
‘আচ্ছা, এখন তুমি কেমন আছ?’ করোনার ভয়াবহ দুঃসময়ে তোমাকে কতই না মিস করেছিলাম। শহরটাতে তুমি নেই। যেন কেউ-ই নেই। তুমিও কি তখন আমাকে মিস করেছিলে? প্রতিদিন দেখা না হোক, তবু তো আমার অনেক কাছেই ছিলে।
কিন্তু এ মুহূর্তে শহরে তুমি নেই, আমি একা। আমার যেন কেউই নেই! আমার জীবনের সবচেয়ে সেরা উপহার তুমি। তোমার হাসি আমার বেঁচে থাকার অবলম্বন। আমার জীবনটা ঠিকঠাক সাজাতে তোমাকে পাশে দরকার।
এম ইয়াসিন আরাফাত, লোহাগাড়া, চট্টগ্রাম।
তোমাকে ভালোবাসার রোগে ধরেছে
প্রিয় অপ্সরী, কেমন আছ তুমি? আমি কিন্তু ভালো নেই। আমার হৃদয়ের প্রতিটি স্পন্দনে কেন তোমার নামই শোনা যায়! তোমাকেই কেন এত বেশি ভালোবাসি আমি? অন্য কাউকে কেন ভালোবাসতে পারি না।
যা–ই হোক খুব বেশি ভালোবাসি তোমাকে। হৃদয়ে এই ভালোবাসা নামের অসুখ আমাকে কুরে কুরে খাক, সেটাই চাই।
ওয়াসিম আকরাম, শিবগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ।
লেখা পাঠানোর ঠিকানা
অধুনা, প্রথম আলো, প্রগতি ইনস্যুরেন্স ভবন, ২০–২১ কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ই-মেইল: adhuna@prothomalo.com, ফেসবুক: facebook.com/adhuna.PA খামের ওপর ও ই-মেইলের subject–এ লিখুন ‘মনের বাক্স’