নিজ হাতে রান্না করে সবাইকে খাওয়াতে ভালোবাসেন অভিনেত্রী শবনম বুবলী।পাশাপাশি নানা ধরনের খাবার খেতেও পছন্দ করেন।
শুধু অভিনয়েই নয়, রান্নার ব্যাপারেও বেশ খুঁতখুঁতে তিনি। ভালোবাসেন নিজ হাতে রান্না করতে। ব্যস্ততার কারণে সব সময় তা সম্ভব হয়ে ওঠে না। তবে একটু অবসর মিললেই ঢুকে যান রান্নাঘরে, তাঁর পছন্দমতো রান্না নিজ হাতে রেঁধে খাওয়ান সবাইকে। এ সময়ের জনপ্রিয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী শবনম বুবলী এভাবেই জানালেন রান্নার প্রতি তাঁর ভালো লাগার কথা।
শুধু অভিনয়েই নয়, রান্নার ব্যাপারেও বেশ খুঁতখুঁতে তিনি। ভালোবাসেন নিজ হাতে রান্না করতে। ব্যস্ততার কারণে সব সময় তা সম্ভব হয়ে ওঠে না। তবে একটু অবসর মিললেই ঢুকে যান রান্নাঘরে, তাঁর পছন্দমতো রান্না নিজ হাতে রেঁধে খাওয়ান সবাইকে। এ সময়ের জনপ্রিয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী শবনম বুবলী এভাবেই জানালেন রান্নার প্রতি তাঁর ভালো লাগার কথা।
বর্ণিল খাবারদাবার ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদের জন্য ছবি তোলার সময় কথা হচ্ছিল বুবলীর সঙ্গে। কথা বলতে বলতে জানা গেল, খাবার ও রান্নাবান্না—দুটোর প্রতিই রয়েছে বিশেষ দুর্বলতা।
বুবলী খেতে ভালোবাসেন। আর এ কারণে খাবারের স্বাদের ব্যাপারেও তিনি বেশ সচেতন। একটু ঝালজাতীয় খাবার তাঁর বিশেষ পছন্দ। তাঁর হাতে রান্না করা ঝাল গরুর মাংস খেতে ভালোবাসেন কাছের মানুষেরা।
রান্নার ব্যাপারে বুবলীর নিজস্বতা রয়েছে। এই যেমন রান্না করার সময় সব ধরনের উপকরণ তাজা হওয়া চাই। সেটা মাছ, মাংস থেকে শাকসবজি, যা–ই হোক না কেন। ‘কখনোই ফ্রিজ থেকে বের করে রান্না করতে ভালো লাগে না। মনে হয়, এতে রান্নার গুণগত মান নষ্ট হয়। এ জন্য রান্না করার কিছুক্ষণ আগে বাজার করাতে ভালোবাসি। তাজা উপকরণের ব্যবহার রান্নার স্বাদ বাড়াতে সাহায্য করে।’ বললেন শবনম বুবলী।
রান্নাঘরের পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারেও বিশেষ মনোযোগ তাঁর। পরিচ্ছন্নতা বলতে, রান্নাঘরে ঢোকার আগে ভালো করে মাথার চুল বেঁধে ক্যাপ পরে নেন। যাতে রান্নার সময় খাবারে কোনো চুল না পড়ে। এরপর ভালো করে হাত পরিষ্কার করে লেগে পড়েন রান্নার কাজে।
যেহেতু বুবলী ঝালঝোলজাতীয় খাবার খেতে ভালোবাসেন, তাই তেল ব্যবহারের ব্যাপারে বিশেষ খেয়াল রাখেন তিনি। এড়িয়ে চলেন সয়াবিন তেলের ব্যবহার। বদলে রান্নায় ব্যবহার করেন জলপাই তেল, না হলে শর্ষের তেল। তাই ঝাল–ঝাল, ঝোল–ঝোল খাবার খেলেও স্বাস্থ্যে তার খুব একটা ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে না বলে জানালেন বুবলী।
উপকরণ: অ্যাভোকাডো ১টি, পনির স্বাদমতো, বাঁধাকপিকুচি (যদি পাওয়া যায়) ১ কাপ, ছোলা (চিক পিস) পরিমাণমতো, কালো জলপাই ৬টি, শসা ২টি, পেঁয়াজকুচি ১টি, কাঁচা মরিচ ৪টি, পুদিনাপাতা স্বাদমতো, রসুন ৫ কোয়া, লেবুর রস ৫ টেবিল চামচ, গোলমরিচ পরিমাণমতো ও ধনেপাতা স্বাদমতো।
সসের জন্য: জলপাই তেল স্বাদমতো, লেবুর রস ৪ টেবিল চামচ, পুদিনা পাতাবাটা ১ টেবিল চামচ, ধনেপাতা ১ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ ৪–৫টি, রসুন ৩ কোয়া, লবণ ও গোলমরিচ স্বাদমতো।
প্রণালি: প্রথমেই সসের সব উপকরণ একসঙ্গে ব্লেন্ড করে নিন। এবার সালাদের উপকরণগুলো টুকরা করে নিন। সালাদের উপকরণের ওপর সস দিয়ে ভালোভাবে নেড়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে অ্যাভোকাডো সালাদ।
উপকরণ: পোলাওয়ের চাল আধা কেজি, রসুনকুচি আধা চা-চামচ, আদাকুচি ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ বেরেস্তা ১ কাপ, দারুচিনি ২ টুকরা, তেজপাতা ২টি, চিনি ১ টেবিল চামচ, ঘি সিকি কাপ, মটরশুঁটি ১ কাপ, পানি পরিমাণমতো ও কাঁচা মরিচ ৬টি।
প্রণালি: চাল ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। এরপর একটি পাত্রে তেল ও ঘি দিয়ে গরম করে পেঁয়াজ ভেজে নিন। এবার গরমমসলা, রসুন কোয়া, আদাবাটা, লবণ ও কাঁচা মরিচ দিয়ে চাল ভালো করে ভেজে নিন। চাল ভাজা হয়ে এলে পরিমাণমতো পানি দিয়ে ঢেকে দিন। পোলাও প্রায় হয়ে এলে সেদ্ধ করা মটরশুঁটি দিয়ে দিন। খেয়াল রাখবেন মটরশুঁটিগুলো যেন ঝরঝরে থাকে। এবার খানিকটা ঘি দিয়ে ৭ থেকে ৮ মিনিটের জন্য ঢেকে দমে দিন।
উপকরণ: ডার্ক চকলেট (হালকা মিষ্টি হয়) ১৮০ গ্রাম, ডিম ৩টি, মাখন আধা কাপ, চিনি আধা কাপ, ব্রাউন সুগার আধা কাপ, ভ্যানিলা এসেন্স আধা চা–চামচ, অল পারপাস ফ্লাওয়ার আধা কাপ, লবণ সিকি চা–চামচ, কোকো পাউডার এক কাপের চার ভাগের এক ভাগ, ভ্যানিলা আইসক্রিম ৩ স্কুপ।
প্রণালি: প্রথমে ডার্ক চকলেট টুকরা করে নিন। এবার চকলেটের সঙ্গে মাখন মিশিয়ে ওভেনে মেল্ট করে নিন। চকলেটের মিশ্রণ ঠান্ডা করে নিন। এবার একটি পাত্রে দুই ধরনের চিনির মধ্যে একটি একটি করে ডিম দিয়ে ভালো করে ফেটিয়ে নিন। খেয়াল করবেন, মিশ্রণটি যেন একটু ক্রিমি ক্রিমি হয়। চাইলে একটু লবণ মিশিয়ে নিতে পারেন। এরপর ভ্যানিলা এসেন্স মিশিয়ে নিন। এবার অল পারপাস ফ্লাওয়ার ও কোকো পাউডার ভালোভাবে ছেঁকে নিন। এবার ডিমের মিশ্রণের সঙ্গে কোকো পাউডার ও ফ্লাওয়ার অল্প অল্প করে দিয়ে ভালোমতো মিশিয়ে নিন। ডার্ক চকলেটের মিশ্রণটিও দিয়ে দিন। এরপর স্কয়ার আকৃতির বেকিং ট্রেতে বেক করে নিন। ব্রাউনি তৈরি হয়ে এলে বের করে ঠান্ডা হতে দিন। এবার একটি ছুরি গরম পানিতে ভিজিয়ে ঠান্ডা করে নিয়ে ব্রাউনি কেটে নিন। একটি কাপে ব্রাউনি রেখে তারপর ভ্যানিলা আইসক্রিম দিয়ে পরিবেশন করুন।
উপকরণ: গরুর মাংস ১ কেজি, চিনাবাদামবাটা ৫০ গ্রাম, কাঠবাদামবাটা ৫০ গ্রাম, কুকিং ক্রিম আধা কাপ, শাহি জিরা পরিমাণমতো, পেঁয়াজবাটা ১ কাপ, রসুনবাটা ২ টেবিল চামচ, হলুদগুঁড়া আধা চামচ, তেজপাতা ৩টি, দারুচিনি ২ টুকরা, এলাচি ৩টি, শর্ষের তেল ২ কাপ, মাখন ২ টেবিল চামচ, টক দই আধা কাপ, গোলমরিচগুঁড়া, মরিচগুঁড়া ও লবণ স্বাদমতো।
প্রণালি: সব বাটা মসলা ও আধা কাপ শর্ষের তেল দিয়ে গরুর মাংস ম্যারিনেট করে ৩০ মিনিট রেখে দিন। এরপর চুলায় কড়াই বসিয়ে শর্ষের তেল গরম করে মাংস ঢেলে দিন। মাঝারি আঁচে মাংস কষাতে থাকুন। এবার টক দইয়ে অল্প পানি মিশিয়ে ফেটিয়ে নিন। ফেটানো হয়ে এলে একটু একটু করে টক দই কষানো মাংসে দিয়ে নাড়তে থাকুন। মাংস যতক্ষণ নরম না হয়, ততক্ষণ গরম পানি দিয়ে কষাতে থাকুন। প্রায় কষানো হয়ে এলে কুকিং ক্রিম দিয়ে ১০ মিনিট রান্না করুন। নামানোর আগে ভাজা জিরা দিয়ে ভালো করে নেড়েচেড়ে নামিয়ে নিন।
উপকরণ: সেমাই ২০০ গ্রাম, চিনি ৪ কাপ (স্বাদমতো), ঘি আধা কাপ, এলাচি ২টা, দারুচিনি ২ টুকরা, তেজপাতা ২টা, কিশমিশ ১ টেবিল চামচ, বাদাম ১ টেবিল চামচ, কোরানো নারকেল ১ কাপ।
প্রণালি: ঘিয়ে এলাচি, দারুচিনি, তেজপাতা দিয়ে ভাজুন। সেমাই ঢেলে দিন। বাদামি করে সেমাই ভাজুন। পরিমাণমতো গরম পানি দিয়ে নাড়তে থাকুন। চিনি দিন। ঘন ঘন নাড়তে থাকুন। নারকেল কোরানো দিন। সেমাই ঝরঝরে হয়ে এলে বাদাম দিয়ে নামিয়ে ফেলুন।