খুব ব্যস্ততার মধ্যেও সময় বের করে কানিজ ফাতেমা নকশার ‘নতুন আমি’ বিভাগের জন্য ছবি তুলতে এসেছিলেন। মিরপুর বিভাগের ভাষানটেক থানার উপপরিদর্শক তিনি।
নতুন আমি বিভাগে ছবি ছাপা হওয়ার পর জীবনে অনেকখানি পরিবর্তন চলে আসে কানিজ ফাতেমার। ‘আমার বিয়েটা তো বলতে গেলে নকশাই দিয়ে দিয়েছে’, হাসতে হাসতে বললেন তিনি। কীভাবে? গল্পটা তাহলে আরেকটু আগে থেকে শুরু করতে হয়। যেদিন নকশায় কানিজের ছবি ছাপা হলো, সেদিন তো বন্ধু আর পরিবার থেকে শুভকামনা পেয়েছেনই, নিজ দপ্তরেও যেন সম্মান বেড়ে গেল। তাঁর ওপরের কর্মকর্তারা প্রশংসা করেছিলেন। কানিজ বলছিলেন, ‘আমাকে তো আসলে পুলিশের ইউনিফর্ম ছাড়া সহজে কেউ দেখেনি। তা–ও আবার স্কার্ট টপে। নকশায় নতুন আমাকে দেখে সবাই খুব অবাক হয়েছিলেন। সহকর্মীদের মধ্যে একটু আলাদাই মনে হচ্ছিল নিজেকে।’
এমন সময় সহকর্মী নাসির আহমেদের মনে হলো, কানিজকে তিনি পছন্দ করেন। নাসির বাসায় জানালেন। নকশায় ছাপা সেই ছবি দেখিয়ে বললেন, ‘গুণী মেয়ে, পত্রিকায় ছবি ছাপে, সাক্ষাৎকার দেয়।’ ওই ছবি দেখেই নাসিরের পরিবার পছন্দ করল কানিজকে।
ধুমধাম করে বিয়ের কাজ সারা হলো। বিয়েতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের বড় বড় কর্মকর্তা এলেন। কানিজের বিশ্বাস, শুধু নকশায় ছাপা ছবি দেখেই বড় কর্তারা তাঁকে চিনেছেন, বিয়ের দিন তাঁর খুশির সময় পাশে থেকেছেন। এটা কানিজের জন্য অনেক বড় পাওয়া। মায়ের কথা বলতে ভুললেন না কানিজ, ‘মা তো এখনো নকশার ওই কাগজটা রেখে দিয়েছেন। যার সঙ্গেই কথা হয়, তাকেই দেখান। খুব গর্ব করেন।’