কোনো দেশের শিক্ষা ও গবেষণার প্রাণকেন্দ্র হলো সেই দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। সম্প্রতি টাইমস হায়ার এডুকেশন নামের একটি সংস্থা সারা বিশ্বের অসংখ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি র্যাঙ্কিং বা ক্রমতালিকা প্রকাশ করেছে, যাতে স্থান পায়নি বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়। এমনকি এশিয়ার সেরা ৪০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকাতেও বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নেই। এই তালিকা প্রকাশ পাওয়ার পর থেকে বাংলাদেশসহ নানা জায়গায় তোলপাড় শুরু হয়েছে—কেউ রাজনীতিকে দুষছেন, কেউ দুষছেন শিক্ষকদের, আবার কেউ ছাত্রদের। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষও কেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এই তালিকায় নেই, তার কৈফিয়ত দিচ্ছেন নানাভাবে।
কিন্তু কেন এ রকম হলো। কেন র্যাঙ্কিংটিতে ভারত, পাকিস্তান, নেপালের নানা বিশ্ববিদ্যালয় থাকলেও বাংলাদেশের কোনোটার নাম নেই। বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যয়ন এবং শিক্ষকতা—দুটিরই অভিজ্ঞতা থাকায় বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নত মান সম্পর্কে আমার কোনোই সন্দেহ নেই। তাহলে কেন হলো এমন।
র্যাঙ্কিং কী
ক্রমতালিকা বা র্যাঙ্কিং বানানো যায় দুইভাবে। প্রথমটি হলো সরাসরি প্রতিযোগিতা। যেমন বিশ্বকাপ ফুটবল বা ক্রিকেটে সব কটি দেশ একে অন্যের মোকাবিলা করে, হার-জিতের মাধ্যমে জানা যায় কে সেরা, কে দ্বিতীয় সেরা, এসব তথ্য। কিন্তু যদি সে রকম কোনো প্রতিযোগিতা না থাকে, তাহলে কী হবে। সেই ক্ষেত্রে অন্য উপায়টি হলো নানা উপাত্ত সংগ্রহ করে এবং কোন বিষয়ের গুরুত্ব কতটুকু হবে, তা নির্ধারণ করে একটি সূত্র বানানো এবং সেটার ভিত্তিতে একটি সংখ্যা বের করা, যার মাধ্যমে র্যাঙ্কিং করা হয়। কোন কোন বিষয় এই সূত্র তৈরি করতে আমলে নেওয়া হয়েছে, তার ভিত্তিতেই র্যাঙ্কিং কেমন হবে, তা নির্ভর করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাঙ্কিং
বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তো আর একে অন্যের সঙ্গে শিক্ষা বা গবেষণার কোনো বিশ্বকাপে অংশ নিচ্ছে না, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাঙ্কিং করার উপায় কী। বেশ কয়েকটি সংস্থা বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাঙ্কিং বের করার কাজটি করে। এর মধ্যে সবচেয়ে নামকরা হচ্ছে চীনের সাংহাই জিয়াওটং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশিত একাডেমিক র্যাঙ্কিং অব ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটিজ (এআরডব্লিউইউ), যুক্তরাজ্যের প্রতিষ্ঠান টাইমস হায়ার এডুকেশনের (টিএইচই) ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিং এবং কিউ-এস নামে একটি প্রতিষ্ঠানের র্যাঙ্কিং।
এ ছাড়া রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন উপস্থিতির বা ওয়েবসাইটের সমৃদ্ধির ওপরে করা ওয়েবোমেট্রিকস র্যাঙ্কিং এবং আমেরিকার ইউএস নিউজ অ্যান্ড ওয়ার্ল্ড রিপোর্টের র্যাঙ্কিং। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় পড়ে গেছে যে র্যাঙ্কিং নিয়ে, তা টাইমস হায়ার এডুকেশনের ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিং, যেখানে বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের এমনকি এশিয়ার মধ্যেও স্থান পায়নি।
কীভাবে বের করা হয় র্যাঙ্কিং
ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিংয়ে টিএইচই একটি ফর্মুলা বা সূত্র ব্যবহার করে, যার মাধ্যমে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি নম্বর বা স্কোর বের করা হয়। সূত্রটি এ রকম—শিক্ষা (৩০%), গবেষণা (৩০%), গবেষণার ফলাফল সাইটেশন (৩০%), আন্তর্জাতিক উপস্থিতি (৭.৫%) এবং গবেষণাকর্মের বাণিজ্যিকীকরণ (২.৫%)। শিক্ষা খাতের স্কোরের বড় অংশ (অর্ধেক, মানে মোট স্কোরের ১৫%) আসে সুনামের জরিপের (রেপুটেশন সার্ভে) মাধ্যমে। হাজার হাজার মানুষের ওপরে জরিপ করা হয়, তাঁদের মতে কোন বিশ্ববিদ্যালয় কেমন তা জানা হয়। শিক্ষা খাতের অন্যান্য স্কোর আসে ছাত্র-কর্মকর্তার অনুপাত (কতজন ছাত্র আর কতজন শিক্ষক-কর্মচারী আছে), কয়টি পিএইচডি বনাম কয়টি স্নাতক ডিগ্রি দেওয়া হয়, এসবের হিসাবে। হিসাবে আরও দেখা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়টির বাজেট থেকে শুরু করে নানা খাতের অবকাঠামো কেমন আছে।
গবেষণার অংশেরও অধিকাংশ (৬০% বা মোট স্কোরের ১৮%) আসে রেপুটেশন বা সুনামের জরিপ থেকে। হাজার হাজার গবেষককে প্রশ্ন করা হয়, কোন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সেরা বলে তাঁদের ধারণা। বাকি দুটি ফ্যাক্টর হলো গবেষণার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের আয় কেমন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষকদের মাথাপিছু প্রকাশনা কয়টি।
সাইটেশন অংশে দেখা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের গবেষণাপত্রগুলোকে অন্যান্য গবেষক কতবার উল্লেখ করেছেন তাঁদের গবেষণায়। স্কোপাস নামের একটি তালিকা থেকে ২৫ হাজারের বেশি জার্নাল ঘেঁটে এই হিসাব বের করা হয়।
আন্তর্জাতিক উপস্থিতি অংশে টিএইচই যা করে তা এ রকম, বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের হার কতটুকু, এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা গবেষণাপত্র প্রকাশের সময় অন্য দেশের গবেষকদের সঙ্গে কাজ করেছেন কি না, তার হিসাব। আর সবশেষে ইন্ডাস্ট্রি ইনকাম অংশে দেখা হয়, নানা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষক ও কর্মকর্তাপিছু কতটুকু আয় করে থাকে।
বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় নেই কেন
আমি ভেবে দেখেছি, সম্ভাব্য কারণ তিনটি। ১. বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে তথ্যের অভাব, ২. র্যাঙ্কিংটির নিজেরই সীমাবদ্ধতা এবং ৩. বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমাবদ্ধতা। তিনটি কারণই খতিয়ে দেখা যাক।
তথ্যের অভাব: টিএইচইর র্যাঙ্কিংয়ে স্থান পেতে হলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সক্রিয়ভাবে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তথ্য পাঠাতে হবে। কোনো বিশ্ববিদ্যালয় যদি তথ্য না পাঠায়, র্যাঙ্কিংয়ে স্বভাবতই তাদের স্থান হবে না। আমার জানা নেই যে টিএইচই বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল কি না। কিন্তু বোঝাই যাচ্ছে, বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তথ্য (ফর্মুলার নানা অংশ) পাঠানো হয়নি, ফলে বাদ পড়েছে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।
র্যাঙ্কিংয়ের সীমাবদ্ধতা: র্যাঙ্কিংয়ে স্থান না পাওয়ার আরেকটি কারণ হতে পারে র্যাঙ্কিংটির নিজেরই নানা সমস্যা। খেয়াল করলে দেখবেন, এই র্যাঙ্কিংয়ে কিন্তু শিক্ষার মানকে আদৌ হিসাবে ধরা হয় না। আমি বুয়েটে পড়েছি ও শিক্ষকতা করেছি, এখন আমেরিকাতে সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটিতে পিএইচডি করা এবং পরবর্তীকালে আরেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করার সুবাদে বলতে পারি, বাংলাদেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্নাতক পর্যায়ে শিক্ষার মান একেবারেই বিশ্বমানের। কিন্তু সেই ব্যাপারটা এই র্যাঙ্কিংয়ে শিক্ষা অংশে আদৌ ধরা হয়নি। আর বাংলাদেশের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি ডিগ্রি খুব কমই দেওয়া হয়। কাজেই স্নাতক পর্যায়ে ফোকাস করা বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় এখানে ভালো স্কোর করবে না কখনোই, যদিও তার মানে এই না যে শিক্ষাক্ষেত্রে এদের মান কম।
টিএইচইসহ নানা র্যাঙ্কিংয়ের একটি বড় সমালোচনা হলো, শিক্ষার মানকে কম গুরুত্ব দিয়ে রেপুটেশন তথা নানা মানুষের কাছে সুনামকে বড় গুরুত্ব দেওয়া। স্কোরের বড় একটি অংশ (৩৩%) আসে এই জরিপ থেকে। স্বভাবতই জরিপের উত্তরদাতা—যাঁরা বাংলাদেশের বাইরের, তাঁদের কাছে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে সে রকম ধারণা থাকবে না। টিএইচই র্যাঙ্কিংয়ের আরেকটি বদনাম হলো, এখানে কেবল সংখ্যাভিত্তিক (কোয়ান্টিটেটিভ) র্যাঙ্কিং করা হয়—মানের দিকটা দেখা হয় না। যেমন বাংলাদেশের অনেক গবেষক আজকাল বিশ্বের সেরা জার্নালগুলো, যেমন নেচার–এ গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছেন। কিন্তু কেউ যদি নেচার–এর চেয়ে অনেক কম মানের জার্নালে একাধিক গবেষণাপত্র প্রকাশ করেন, টিএইচইর হিসাবে তাদের বিশ্ববিদ্যালয় থাকবে এগিয়ে। কারণ, টিএইচই জার্নালের মানের তোয়াক্কা করে না, সংখ্যাটাই তাদের কাছে মুখ্য—মুড়ি–মুড়কির একই দর।
আবার অনেক সময় র্যাঙ্কিংয়ে স্থান পাওয়ার জন্য নানা বিশ্ববিদ্যালয় অনেক রকমের প্রতারণা করে থাকে। মাত্র গত সপ্তাহে ইউএস নিউজ অ্যান্ড ওয়ার্ল্ড রিপোর্টের র্যাঙ্কিং থেকে ইউনিভার্সিটি অব ওকলাহোমাকে বাদ দেওয়া হয়েছে এই কারণেই—তারা ভুয়া তথ্য দিয়ে নিজেদের র্যাঙ্কিং বাড়ানোর কাজটি করছিল ১০ বছর ধরে। আবার বছর কয়েক আগে সবাইকে অবাক করে দিয়ে সৌদি একটি বিশ্ববিদ্যালয় গণিতে বিশ্বের সেরা দশ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় ঢুকে যায়। পরে দেখা গেল, তারা কায়দা করে নানা প্রখ্যাত গণিতজ্ঞকে পয়সা দিয়ে গবেষণাপত্রে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাফিলিয়েশন উল্লেখ করিয়ে নিয়েছিল। ফলে সেই গণিতজ্ঞদের গবেষণার সাফল্যের ভাগীদার সৌদি বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে, আদৌ নিজেরা কোনো গবেষণা না করেও।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমাবদ্ধতা: টিএইচই র্যাঙ্কিংয়ের বড় একটা অংশ আসে গবেষণার হিসাব থেকে। গুটি কয়েক বিশ্ববিদ্যালয় বাদ দিলে বাংলাদেশের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা করার চল তেমন নেই। আগ্রহী শিক্ষকদের তেমন কোনো প্রণোদনা নেই। গবেষণা খাতে বরাদ্দ এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে গবেষণার জন্য অনুদান দেওয়ার প্রথা বিরল বলে স্বভাবতই গবেষণা খুব কম হয়। কাজেই যেকোনো র্যাঙ্কিংয়ের একটা বড় অংশে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তেমন ভালো স্কোর করতে পারবে না, যত দিন না আমরা স্নাতকোত্তর গবেষণার ওপরে জোর দিচ্ছি।
লেখক: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ও শিক্ষক। বর্তমানে আমেরিকার ইউনিভার্সিটি অব আলাবামাতে কম্পিউটার বিজ্ঞানের সহযোগী অধ্যাপক।
র্যাঙ্কিংয়ে ভালো করার উপায়
১. তথ্য পাঠানো
র্যাঙ্কিং করা সংস্থাগুলোর সঙ্গে খুব সহজেই যোগাযোগ করে তথ্য পাঠিয়ে দেওয়া যায়। টিএইচইর ক্ষেত্রে যেমন তাদের ওয়েবসাইটে ঢুকলেই চোখে পড়ে, বড় করে লেখা আছে, র্যাঙ্কিংয়ে স্থান পেতে চাইলে তাদের কাছে একটি নির্দিষ্ট ই–মেইল ঠিকানায় তথ্য পাঠাতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও জনসংযোগ অফিসকে এ ব্যাপারে একটু সক্রিয় হতে হবে। অন্ধকারে বসে ভালো কাজ করে আজকাল আর চলে না। নিজেদের কাজের কথা বলতে হবে নিজেদের সম্মানের খাতিরেই।
২. গবেষণার মানোন্নয়ন
নানা র্যাঙ্কিংয়ের বড় একটি অংশ হয় গবেষণা। কাজেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষকদের সক্রিয়ভাবে গবেষণার জন্য প্রণোদনা দিতে হবে। পদোন্নতি থেকে শুরু করে নানা ক্ষেত্রে এ রকম সুবিধা ভারত ও পাকিস্তানের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে দেওয়া হয় ভালোভাবে, ফলে নামকরা সব জার্নালে এসব জায়গার গবেষকেরা নিয়মিতভাবে গবেষণাপত্র প্রকাশ করে থাকেন। বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারি পর্যায়ে তাই গবেষণা খাতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে। বর্তমানে গবেষণা খাতে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বরাদ্দ খুবই হাস্যকর রকমের কম। কয়েক দিন আগে ভারতের মুম্বাই আইআইটির গবেষণা খাতে বরাদ্দ দেখে চমকে গিয়েছিলাম, বুয়েটের চেয়ে সেটা কয়েক শ গুণ বেশি। কাজেই গবেষণা খাতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে, এর কোনোই বিকল্প নেই।
৩. ওয়েব ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উপস্থিতি
বাংলাদেশের প্রায় অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটের চরম দুর্দশা—ওয়েবসাইটে গেলে বহু পুরোনো কিছু তথ্য মেলে, অথবা আদৌ কিছুই জানা যায় না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আনুষ্ঠানিক উপস্থিতি নেই। ফলে দেশের বাইরে থেকে কেউ যদি জানতে চান বাংলাদেশি কোনো বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে, ওয়েবসাইট থেকে প্রায় কোনো তথ্যই পাবেন না। এটার সমাধান করা কিন্তু খুবই সহজ। বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা ও শিক্ষা এবং অন্যান্য অর্জন সম্পর্কে খুব সহজেই ভালো ওয়েবসাইট বানানো ও হালনাগাদ করে রাখা সম্ভব। দরকার কেবল সদিচ্ছা ও সচেতনতা। ওপরের বিষয়গুলো বাদে বাকি ফ্যাক্টরগুলো, যেমন রাজনীতি কিংবা ছাত্রদের কাজকর্মের কি কোনো গুরুত্ব আছে? সরাসরি তেমন নেই। ছাত্র ও শিক্ষক রাজনীতি কম না বেশি, তা দিয়ে র্যাঙ্কিং সরাসরি নির্ণীত হয় না। তবে শিক্ষকদের মধ্যে দলাদলির প্রবণতার বদলে গবেষণার প্রণোদনা দেওয়ার ব্যবস্থা করলে আপনা-আপনিই গবেষণার মান বাড়বে।