মুখের ভেতরের ঝিল্লি আবরণ বা মিউকাস মেমব্রেন কোনো কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হলে মুখে ঘা দেখা দেয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এটি মারাত্মক রোগ নয়। এমনিই সেরে যায়। কিন্তু বারবার মুখে ঘা হলে এবং তা না সারলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। ঘা এর আকার ও প্রকৃতি দেখে অনেক সময় বোঝা যায়, এটি ক্যানসার কি না। সাধারণত অজান্তে মুখ বা জিভে কামড় পড়লে, শক্ত টুথব্রাশ বা সুচালো বাঁকা দাঁতের আঘাতে, দাঁত ক্ষয়রোগ এবং মুখের পরিচ্ছন্নতা বজায় না থাকলেই ঘন ঘন মুখে ঘা হয়ে থাকে। এ ছাড়া নানা ধরনের ভাইরাস বা ছত্রাক সংক্রমণ, ভিটামিনের অভাব, বিভিন্ন ওষুধের প্রতিক্রিয়ায় বা মুখের ক্যানসারেও ঘা হতে পারে।তবে সাধারণত সবচেয়ে বেশি যে কারণে মুখে ঘা হয়, তাকে বলে অ্যাপথাস আলসার। জিব, মাড়ি ও মুখের ভেতর দিকে অনেকটা ব্রণের মতো দেখতে সাদা ফুসকুড়ি বের হয়। যার চারদিকে লাল বৃত্ত আছে—এমন ঘাকেই অ্যাপথাস আলসার বলে। এটি বারবার হয় এবং বেশ বেদনাদায়ক।করণীয়:-অতিরিক্ত ঝাল এড়িয়ে চলুন।-প্রচুর পানি পান করুন।-ঈষদুষ্ণ লবণ পানি দিয়ে বারবার কুলি করুন।-মেডিকেটেড মাউথওয়াশ বা অ্যান্টিসেপটিক জেল ব্যবহার করতে পারেন।-প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ সেবন করুন।মুখ ও জিবের পরিচ্ছন্নতা-প্রতিদিন দুবার অন্তত দুই মিনিট ধরে দাঁত ব্রাশ করবেন-দুই থেকে তিন মাস অন্তর অন্তর ব্রাশ পরিবর্তন করবেন-চিনি, চিনির তৈরি খাবার—যেমন মিষ্টি, চকলেট, জুস, কোলাজাতীয় পানীয় ইত্যাদি বেশি খাওয়া ঠিক নয়। আঠালো চকলেট আরও ক্ষতিকর। জুসে চিনি ছাড়াও বেশি থাকে অ্যাসিড, যা মুখের পিএইচ কমিয়ে দেয় এবং এনামেলের ক্ষতি করে।-প্রতিদিন লবণ-পানি দিয়ে কুলি করার অভ্যাস ভালো।-ধূমপান বন্ধ করুন। গুল-জর্দা বা তামাক ব্যবহার করবেন না।-বছরে একবার অন্তত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।