অন্দর

বাদলা দিনে মোমবাতি

কয়েকটা সুগন্ধি মোমবাতি ঘরে জ্বালিয়ে রাখলে পোকামাকড় তো কমবেই, বাড়িতেও আসবে সতেজ অনুভূতি

টানা কদিন ধরে হয়তো বৃষ্টি পড়ছে। ঘরে একটি স্যাঁতসেঁতে ভাব চলে এসেছে। এই আবহাওয়ায় পোকামাকড়ের উপদ্রব বাড়ে। টানা বর্ষণে মনে হয়তো চলে এসেছে গুমোট ভাব। এসব সমস্যার সহজ সমাধান হতে পারে মোমবাতি। কয়েকটা সুগন্ধি মোমবাতি ঘরে জ্বালিয়ে রাখলে পোকামাকড় তো কমবেই, মনও ভালো হয়ে যাবে।

মোমবাতি যেমন ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে, তেমনি বর্ষার দিনে বিভিন্ন সমস্যার সমাধানেও বেশ কার্যকর। আর এখন বাজারে বিভিন্ন আকার-আকৃতি ও গন্ধের মোমবাতি পাওয়া যায়। পেন্ট হাউস লিভিং, সুন্দরা, আড়ং, কিউরিয়াস, পটের বিবি ইত্যাদি বিভিন্ন জায়গায় পেয়ে যাবেন পছন্দসই দাম ও গন্ধের মোমবাতি। চাইলে বাড়িতেও তৈরি করে নিতে পারেন।

সুগন্ধি মোমবাতি ব্যবহারে দূর হবে ঘরের স্যাঁতস্যাঁতে গন্ধ

বাইরে থেকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোমবাতি এনে বিক্রি করে সুন্দরা শপ। সুন্দরার সিনিয়র বিউটি অ্যাডভাইজার নাজমুল আলম বলেন, এখন ফুল, ফল ও চকলেট গন্ধের মোমবাতি পাওয়া যায়। একদম ছোট থেকে বিশাল বড় আকৃতিরও তৈরি করা হচ্ছে। কাচ বা কাঠের পাত্রে রাখা হয় এসব। শোভা বাড়াতে তো বটেই, ঘর সুগন্ধে ভরে দিতেও মোমবাতির জুড়ি নেই।

বর্ষার দিনে মোমবাতির ব্যবহার নিয়ে এস কে ডেকোরের সিইও এবং ইন্টেরিয়র ডিজাইনার সাইমুল করিমের পরামর্শ—

দূর করে স্যাঁতসেঁতে ভাব

বৃষ্টির দিনে না চাইলেও ঘরবাড়ি ভেজা ও স্যাঁতসেঁতে হয়ে থাকে। গুমোট কাটাতে ঘরের কোনায়, টেবিলে বা জানালার পাশে কয়েকটি সুগন্ধি মোমবাতি রেখে দিতে পারেন। মোমবাতি এয়ার ফ্রেশনার হিসেবে খুব কার্যকর।

দূরে রাখে পোকামাকড়

এ সময় ঘরে পোকামাকড়ের উপদ্রব বাড়ে। মশা–মাছির প্রকোপ বেশি দেখা যায়। ঘরের যেখানে যেখানে এসবের প্রকোপ বেশি, সেখানে দিনে হোক বা রাতে, দু-তিনটি মোমবাতি জ্বালিয়ে রাখলে পোকামাকড় আশপাশে থাকবে না।

মন ভালো করে

মেঘলা আবহাওয়ায় অনেকের মনেও মেঘ জমে। হয়তো কী করবেন, বুঝে পান না। এ সময় কয়েকটি সুগন্ধি মোমবাতি জ্বালিয়ে দিতে পারেন। বাজারে এখন বিভিন্ন গন্ধের মোমবাতি পাওয়া যায়। সেখান থেকে বেছে নিতে পারেন আপনার পছন্দেরটি। ঘরে একটি আলোছায়ার ভাব তৈরি হবে। পাশাপাশি সুন্দর গন্ধ মন ভালো করে দেবে।

মোমের আলোয় তৈরি হয় মনোরম পরিবেশ

ঘর সাজাতে

বৃষ্টির দিনে লোডশেডিংয়ের শঙ্কা সব সময়ই থাকে। এখন চার্জার ব্যবহার করে অন্ধকার দূরে করেন অনেকে। এর বদলে মোমবাতি জ্বালিয়ে ঘরের অন্ধকার দূর করতে পারেন। ঘরের উষ্ণতা বাড়াতেও মোমবাতি কাজে লাগাতে পারেন। বৃষ্টির দিনে আবহাওয়ার তাপমাত্রা কমে গিয়ে ঠান্ডা ভাব তৈরি হয়। ঘরের চারপাশে কয়েকটি মোমবাতি জ্বালিয়ে রাখলে ঘর উষ্ণ হবে। আর ঘর সাজাতে মোমবাতি সব সময়ই চমৎকার শোপিস। পড়ার টেবিলের পাশে, খাবারের টেবিলে বা ঘরের কর্নারে সাজিয়ে রাখতে পারেন। প্রয়োজনে সেগুলো জ্বালিয়ে নিলেন। ঘর আলোকিত হবে, সৌন্দর্য বাড়বে। ঘরের পরিবেশও বদলে যাবে।

চাইলে ঘরে বসে বাটিতে তৈরি করে নিতে পারেন পছন্দের রং ও গন্ধের মোমবাতি। এ জন্য আপনার লাগবে প্যারাফিন, প্যারাফিন অয়েল ও স্টেয়ারিন। এসব উপাদান একসঙ্গে মিশিয়ে চুলায় হালকা আঁচে জ্বাল দিতে হবে। স্টেয়ারিনের অংশ হবে প্যারাফিনের ১০ শতাংশ অথবা ২০ শতাংশ। তবে বেশি জ্বাল দেওয়া যাবে না। একটু মাখো মাখো হলেই চুলা থেকে নামিয়ে রং ও গন্ধ যোগ করতে হবে। রঙের পরিমাণ অল্প দিলে হালকা দেখাবে। ভ্যানিলা, গোলাপ, বেলি ইত্যাদি সুগন্ধি এক থেকে দুই ড্রপ মেশাতে হবে। রং ও সুগন্ধি যোগ করার পর আবার হালকা আঁচে জ্বাল দিন। এরপর মোমবাতির সুতা লাগিয়ে তরলটি ঠান্ডা করতে হবে।