বৃষ্টির দিনে বিকালের নাশতায় থাকতে পারে মুখোরোচক খাবার
বৃষ্টির দিনে বিকালের নাশতায় থাকতে পারে মুখোরোচক খাবার

রেসিপি

বর্ষার বিকেলে মজার কিছু ভাজাপোড়া

চলে এল বৃষ্টির দিন। কখনো টিপ টিপ, কখনো ঝমঝম। এমন দিনে খিচুড়ি খাওয়া যেন অনেকটাই বাধ্যতামূলক। সঙ্গে সকাল–বিকেলের নাশতায় থাকতে পারে মজার কিছু ভাজাপোড়া। রেসিপি দিয়েছেন নাজিয়া ফারহানা।

মসলামুড়ি

মসলামুড়ি

উপকরণ: মৌরি আধা চা-চামচ, আস্ত জিরা ১ চা-চামচ, দারুচিনি ১ টুকরা, জয়ত্রী ১ টুকরা, এলাচি ৪–৫টি, লবঙ্গ ৪–৫টি, তেল সিকি কাপ, শর্ষের তেল আধা কাপ, পেঁয়াজবাটা আধা কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, ধনেগুঁড়া ১ চা-চামচ, হলুদগুঁড়া আধা চা-চামচ, মরিচগুঁড়া আধা চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো।

ঝালমুড়ির উপকরণ: পাতলা করে কাটা পেঁয়াজকুচি ১ টেবিল চামচ, ধনেপাতাকুচি ১ টেবিল চামচ, লেবু ১ ফালি, টমেটোকুচি ২ টেবিল চামচ, শসাকুচি ২ টেবিল চামচ, লবণ সামান্য, শর্ষের তেল ১ চা-চামচ, মুড়ি ও চানাচুর ১ কাপ, সেদ্ধ ছোলা পরিমাণমতো, ঝালমুড়ির মসলা স্বাদমতো।

উপকরণ: প্যান গরম করে মৌরি, জিরা, দারুচিনি, জয়ত্রী, এলাচি ও লবঙ্গ হালকা আঁচে ভেজে ৫ মিনিট নিন। নাড়তে হবে ঘন ঘন। চুলা থেকে নামিয়ে পাটায় বেটে নিন অথবা ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করুন। চুলার প্যানে রান্নার তেল ও শর্ষের তেল দিন। তেলে আদা, রসুন ও পেঁয়াজবাটা দিন। ধনে, হলুদ ও মরিচগুঁড়া ও লবণ দিন। গুঁড়া করে রাখা মসলাও দিয়ে দিন। সব মসলা মধ্যম আঁচে ভালো করে নেড়ে কষিয়ে নিন। ১০ থেকে ১২ মিনিট কষানোর পর নামিয়ে ঠান্ডা করুন। ঝালমুড়ির উপকরণের সব মসলা একটি বাটিতে ঝাঁকিয়ে মাখান। পরিবেশনের আগে মুড়ি ও চানাচুর দিয়ে আবারও ঝাঁকিয়ে নিন। কাগজের ঠোঙায় পরিবেশন করুন মজাদার ঝালমুড়ি।

চাল ভাজা

চাল ভাজা

উপকরণ: চাল ১ কাপ, লবণ স্বাদমতো, মরিচকুচি আধা চা-চামচ, পেঁয়াজকুচি ২ টেবিল চামচ, শর্ষের তেল ২ চা-চামচ, শসাকুচি ২ টেবিল চামচ, লেবুর রস সামান্য পরিমাণ, ধনেপাতা ১ টেবিল চামচ, টমেটোকুচি ১ টেবিল চামচ।

প্রণালি: একটি বাটিতে ১ কাপ পরিমাণ সেদ্ধ চাল নিয়ে নিন। এর মধ্যে এক চিমটি পরিমাণ লবণ ও ১ চা-চামচ পানি দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে নিতে হবে। চাল পানি শুষে নেয় আর এ কারণে চাল ভাজার সময় ফুটবে। চাল মাখিয়ে নিয়ে ১০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। এরপর একটি প্যান চুলায় দিয়ে খুব ভালো করে গরম করে নিতে হবে। চাল ১০ মিনিট রেখে দেওয়ার ফলে জমাট বেঁধে যেতে পারে। তাই এগুলো ভাজার আগে ঝুরঝুরে করে নিতে হবে। অল্প অল্প চাল প্যানে দিয়ে ভেজে নিতে হবে। অনবরত নেড়ে নেড়ে চাল ভাজতে হবে। এ সময় চুলায় উঁচু আঁচ রাখতে হবে। কম আঁচে চাল ভাজলে কখনোই ফুটবে না। চাল ভাজা হয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে তুলে নিতে হবে, না হলে পুড়ে যেতে পারে। একটি বাটিতে আধা চা-চামচ মরিচকুচির সঙ্গে এক চিমটি লবণ নিয়ে ভালোভাবে মেখে নিন। এবার ২ টেবিল চামচ পেঁয়াজকুচি, ২ চা-চামচ শর্ষের তেল মাখিয়ে নিতে হবে। এর সঙ্গে ২ টেবিল চামচ শসাকুচি, সামান্য পরিমাণ লেবুর রস ও ১ টেবিল চামচ ধনেপাতাকুচি দিয়ে মেখে নিন। সবশেষে টমেটোকুচি ও চাল ভাজা দিয়ে আলতো করে মাখিয়ে নিতে হবে। এভাবে ধাপে ধাপে উপকরণগুলো মেখে নিলে স্বাদ আসবে ভালো। এই পদ্ধতি অনুসরণ করে খুব সহজেই বিকেলের নাশতায় চাল ভাজা তৈরি করতে পারেন।

সবজির টেম্পোরা

সবজির টেম্পোরা

উপকরণ: আলু ১টি (বড়), গাজর ১টি, ক্যাপসিকাম ১টি, বেগুন ১টি, টেম্পুরা ব্যাটারের জন্য, ময়দা আধা কাপ, কর্নফ্লাওয়ার আধা কাপ, ডিম ১টি, লবণ স্বাদমতো, লাল মরিচের গুঁড়া সিকি চা-চামচ, গোলমরিচের গুঁড়া সিকি চা-চামচ, বরফ-ঠান্ডা পানি সিকি কাপ বা কিছু বেশি, তেল ভাজার জন্য।

প্রণালি: প্রথমে সবজিগুলো লম্বা আঙুলের মতো আকারে কেটে নিন। এবার এগুলো ধুয়ে পানি ভালোমতো ঝরিয়ে নিন। অন্য একটি পাত্রে তেল বাদে বাকি সব উপকরণ মিলিয়ে টেম্পুরা ব্যাটার তৈরি করুন। এবার সবজির স্টিকগুলো একটি একটি করে মিশ্রণে ডুবিয়ে গরম তেলে ভেজে তুলুন। সস বা যেকোনো চাটনি দিয়ে পরিবেশন করুন।