হাতের কাছের খুব সাধারণ কিছু উপকরণ থেকেও পাওয়া যেতে পারে অসাধারণ ফলাফল। উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে বরফের কিউবের কথা। চটজলদি মুখের ফোলা কমানো থেকে শুরু করে বলিরেখা দূর করার মতো কঠিন সমস্যাগুলোর সমাধান দিতে পারে ছোট এই ঠান্ডা জিনিস।
ত্বক ঠান্ডা করার এই পন্থা গরমে আরাম দেবে। শীতেও করা যাবে এই রূপচর্চা। কোরিয়ান নারীরা এটি নিয়মিত অনুশীলন করেন। সকালে বা সন্ধ্যায় ৩০ সেকেন্ডের জন্য দুই থেকে তিনবার বরফ দেওয়া ঠান্ডা পানিতে চেহারা ডোবানো যাবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। আইস ওয়াটার ফেস ডিপ থার্মোজেনেসিস নামে পরিচিত এই বরফথেরাপি নতুন কিছু নয়, বহু শতাব্দী ধরেই চলে আসছে। প্রক্রিয়াটিতে আপনার ত্বক কয়েক সেকেন্ডের জন্য ঠান্ডা তাপমাত্রায় উন্মুক্তভাবে থাকে। এটি ত্বকের জন্য একাধিক সুবিধা নিয়ে আসে বলে মনে করা হয়। প্রতিদিন একবার করলেই হয়। ১ মিনিটে ৫ থেকে ১০ সেকেন্ডে যে কয়বার করতে পারেন।
ত্বকের সবচেয়ে সাধারণ সমস্যাগুলোর একটি বর্ধিত ছিদ্র। মুখের ছিদ্রগুলো বড় ও খোলা থাকলে তেল, ময়লা ও ধুলা ঢুকে যায়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জমা হতে থাকে, কেড়ে নেয় আপনার ত্বকের প্রাকৃতিক আভা। এই ছিদ্রগুলো বড় দেখায়, যখন তাদের মধ্যে ময়লা জমে থাকে। নিয়মিত বরফে চেহারা ডোবালে ত্বকের ছিদ্রের আকার ছোট হয়ে আসে।
ত্বক শিথিল হওয়া শুরু করলে নিয়মিত বরফের জলে মুখ ডুবিয়ে রাখা ভালো। এটি আপনার ত্বক টানটান করতে সহায়তা করবে। ঠান্ডা পানিতে মুখ ডুবিয়ে রাখলে ত্বকের ছিদ্র শক্ত হতে শুরু করে। এ ছাড়া এই আইস ওয়াটার থেরাপি বলিরেখা ও সূক্ষ্মরেখার মতো বার্ধক্যজনিত লক্ষণগুলোর উপস্থিতি রোধ করে।
বেশির ভাগ তারকা মেকআপ করার আগে এই পদ্ধতিতে ত্বক ঠান্ডা করে নেন। কারণ, বরফের ঠান্ডা জল ত্বকের প্রাকৃতিক তেল নিয়ন্ত্রণ করে। এ কারণে মেকআপ দীর্ঘক্ষণ থাকে চেহারায়।
তবে কথা আছে। শুষ্ক ও সংবেদনশীল ত্বকের জন্য এ প্রক্রিয়াটি ভালো নয়। করলেও খুব কম সময়ের জন্য করে দেখুন, আপনার ত্বক বরফঠান্ডা পছন্দ করছে কি না।