>আকরাম খান। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক, এখন বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান। ১৯৯৭ আইসিসি ট্রফিজয়ী বাংলাদেশ অধিনায়ক বলছেন তাঁর প্রিয় ৫ নিয়ে।
১. প্রিয় শিল্পী
তিনি কিশোর কুমার
যাঁর গান সেই শৈশব থেকে শুনছি এবং এখনো শুনে চলেছি, তিনি কিশোর কুমার। এখন মাঝেমধ্যেই আমার মেয়ে বলে, ‘বাবা আমি যখন ছোট ছিলাম, তখন তুমি যাঁর গান শুনেছ, এখনো তাঁর গান শুনছ!’ কিশোর কুমারের ‘জিন্দেগি কা সফর হ্যায় ইয়ে ক্যাইসা সফর’ গানটা আমি প্রায় সময়ই গুনগুন করে গাই। মানুষের জীবনের সঙ্গে মিলিয়েই যেন গানটা সৃষ্টি করা। আমাদের এই জীবন তো একটা ভ্রমণ, একটা সময় যেটা শেষ হয়ে যাবে, সবাইকে ছেড়ে চলে যেতে হবে। এই জীবনবোধ ‘জিন্দেগি’ গানে অসাধারণ মহিমায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
২. প্রিয় নায়িকা
রেখা ও মাধুরী দীক্ষিত
সিনেমা দেখছি সেই ভিসিআর–ভিসিপির যুগ থেকে। কত সিনেমা যে দেখলাম! হিন্দি সিনেমা একটু বেশি দেখা হয় আমার। তবে আমার প্রিয় নায়িকা কে—প্রশ্নটা করলে বলব যে সব সময় রেখা আর মাধুরী দীক্ষিতের অভিনয় পছন্দ করে আসছি আমি। রেখার মুকাদ্দার কা সিকান্দার বেশি টেনেছে। এই সিনেমায় রেখার অভিনয় ভুলতে পারি না। আর মাধুরীর অভিনয় সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে বেটা সিনেমায়।
৩. প্রিয় খেলোয়াড়
বিরাট কোহলিকে অনেক ভালো লাগে
আমার খেলোয়াড়িজীবনে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগত ওয়াসিম আকরাম আর শচীন টেন্ডুলকারকে। এই দুজনের প্রতিভা, ধারাবাহিকতা ভীষণ মুগ্ধ করত। আমার কাছে তাঁরা হিরো। অনেক বেশি ফলো করতাম তাঁদের। কিন্তু এখন পছন্দ কিছুটা বদলেছে, বিরাট কোহলিকে অনেক ভালো লাগে। ফিটনেস, চিন্তাভাবনা, আক্রমণাত্মক মনোভাবের কারণে কোহলিকে বেশি ভালো লাগে এই সময়ে।
৪. প্রিয় বই
আমার পড়া সেরা উপন্যাস ‘কালবেলা’
সত্যি বলতে, ব্যস্ততার কারণে এখন বই পড়ার খুব একটা সুযোগ হয় না। তবে যে বইটা একসময় আমার জীবনে ভীষণভাবে প্রভাব রেখেছিল, সেটি সমরেশ মজুমদারের কালবেলা। মনে আছে, বইটা পড়েছিলাম আজ থেকে ২০-২৫ বছর আগে, যখন আমি প্রেম করতাম। হা হা হা! অনিমেষকে নায়ক করে গড়ে ওঠা এই উপন্যাস তখন দারুণভাবে দাগ কেটেছিল মনে। বইটি নিয়ে আমি একবার বিস্তারিত সাক্ষাৎকার দিয়েছিলাম ভোরের কাগজ–এ, তা–ও তো অনেক দিন হয়ে গেছে। সেই যে কলকাতার রাস্তায় অনিমেষ পা রাখল আর দাঙ্গা শুরু হলো...। আদতে উপন্যাসটার অনেক কিছুই স্মৃতি থেকে হারিয়ে গেছে এখন। তারপরও এটা বলতে পারি, আমার পড়া সেরা উপন্যাস কালবেলা।
৫. প্রিয় সিনেমা
টান টান গল্পের ‘মুকাদ্দার কা সিকান্দার’
অষ্টম-নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় থেকে সিনেমা হলে দিয়ে সিনেমা দেখা শুরু। সিনেমা হলে যাওয়াটাও তখন একটা অ্যাডভেঞ্চার ছিল। বিশেষত, স্কুলে পড়াকালে নানা কায়দা–কসরত করে তবেই পৌঁছাতে হতো হলের দোরগোড়ায়। কিন্তু যে চলচ্চিত্রটা আমার সবচেয়ে প্রিয়, সেই মুকাদ্দার কা সিকান্দার কখনো সিনেমা হলে বসে দেখা হয়নি। ছবিটা অবশ্য সেই ছোটবেলা থেকেই দেখছি। কতবার যে দেখেছি, তার শেষ নেই! যতবার দেখি, ততবারই ভালো লাগে। কেন এই ভালো লাগা? প্রথমত টান টান গল্প, দ্বিতীয়ত রেখা ও অমিতাভের অভিনয়। তবে এই সিনেমায় অমিভাভ বচ্চনের অনবদ্য অভিনয়ই আমাকে বেশি মুগ্ধ করে।
অনুলিখন: রানা আব্বাস