এই সময়ে দুটি পরিচিত ফল পেয়ারা ও আমড়া। যদিও এখন বছরব্যাপী পেয়ারা পাওয়া যায়। দুটি ফলেই রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি, যা আমাদের ত্বক এবং স্বাস্থ্যের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় অল্প পরিমাণে হলেও ভিটামিন সি থাকা প্রয়োজন। সে হিসেবে এ মৌসুমে পেয়ারা কিংবা আমড়া আপনার এই পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে পারে।
কিন্তু প্রচুর ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও দুটি ফলের রয়েছে ভিন্ন পুষ্টি উপাদান। পুষ্টিবিদ আখতারুন্নাহার আলো জানান, দুটি ফলই আসলে দুই ধরনের। স্বাদ এবং পুষ্টির দিক থেকেও। তাহলে কোনটি বেশি উপকারী?
টক বেশি হলেও আমড়ার তুলনায় পেয়ারায় ভিটামিন সির পরিমাণ অনেক বেশি। যেখানে ১০০ গ্রাম আমড়ায় ভিটামিন সি আছে ৯২ মিলিগ্রাম সেখানে পেয়ারায় এর পরিমাণ ২১০ মিলিগ্রাম। পেয়ারায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। একই সঙ্গে এটি বহুমূত্র রোগীদের জন্যও বিশেষ উপকারী। দৃষ্টিশক্তি এবং ক্যানসার প্রতিরোধেও এটি প্রয়োজনীয়।
এর আরেকটি সুবিধা হলো জ্যাম বা জেলি হিসেবেও এটি সংরক্ষণ করা যায়।
কিন্তু পেয়ারার অন্যতম সমস্যা হলো বীজ। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য পেয়ারা এবং এর বীজ না খাওয়াই ভালো। সেই তুলনায় আমড়ায় এই সমস্যা নেই। এর শর্করা, আমিষ, ভিটামিন বি-২, বিভিন্ন খনিজ পদার্থ দাঁত ও দাঁতের মাড়ি, ঠান্ডা-কাশিতে উপকারী। এতে আয়রন থাকায় রক্তশূন্যতা রোধে সহায়ক। আপনি চাইলে আমড়া রেঁধে বা আচার করেও সংরক্ষণ করতে পারেন।
তবে এদিকে আমড়ার সমস্যা হলো, এটি প্রচুর টক। যার ফলে অনেকের অ্যাসিডিটির সমস্যা দেখা দেয়।
তাই আখতারুন্নাহার আলো বলেন, দুটি ফলই খাওয়া যেতে পারে, তবে অবশ্যই পরিমাণ বুঝে। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য বেশি পরিমাণে পেয়ারা না খাওয়াই ভালো। আর যাদের অ্যাসিডিটির সমস্যা রয়েছে তারা পরিমিত পরিমাণে আমড়া খেতে পারে।
গ্রন্থনা: নাদিয়া নাহরিন