ক্যানসার আক্রান্ত যেসব পুরুষ কেমোথেরাপির পর প্রজননক্ষমতা হারিয়েছেন, তাঁদের জন্য এবার সুখবর শোনালেন বিজ্ঞানীরা। স্টেমসেল প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে তাঁরা প্রজননক্ষমতা ফিরে পেতে পারেন। এ নিয়ে বানরের ওপর গবেষণা শেষে সুখবরটি দিয়েছেন পেনসিলভানিয়ার ইউনিভার্সিটি অব পিটার্সবার্গ স্কুল অব মেডিসিনের গবেষক কায়েল ওরিং ও তাঁর সহযোগীরা। তাঁদের নিবন্ধটি প্রকাশ করেছে সেল স্টেমসেল জার্নাল।ক্যানসার চিকিৎসায় কেমোথেরাপি নিলে অনেক ক্ষেত্রে পুরুষের প্রজননক্ষমতা হ্রাস পায়। সাধারণত ওষুধ সেবন বা কেমোথেরাপি নিলে তা দেহের দ্রুত ভাঙতে থাকা কোষগুলোকে ধ্বংস করে থাকে। এগুলো দ্রুত বর্ধনশীল অন্য কোষগুলোও ধ্বংস করতে থাকে। ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় শুক্রাণু কোষগুলোও দ্রুত নষ্ট হতে থাকে। অনেকে ক্যানসার চিকিৎসার আগে শুক্রাণু কোষগুলো সংরক্ষণ করে রাখে। পরে তা ব্যবহার করা হয়। তবে এই পদ্ধতি শুধু প্রজননক্ষমতা রয়েছে এমন পুরুষের ক্ষেত্রেই প্রয়োগ করা সম্ভব। যারা বয়ঃসন্ধিতে পৌঁছায়নি তাদের ক্ষেত্রে এই প্রক্রিয়া কাজ করে না। গবেষক ওরিং ও তাঁর সহযোগীরা অপ্রাপ্তবয়স্ক ও প্রজননসক্ষম বানরের ওপর এই গবেষণাটি চালিয়েছেন। বানরগুলোর শুক্রাণু কোষ সংরক্ষণের পর এর উৎপাদন বন্ধ করতে শরীরে কেমোথেরাপি দেওয়া হয়। কয়েক মাস পর প্রতিটি বানরের শরীরেই নিজ নিজ স্টেমসেল প্রতিস্থাপন করা হয়। এতে দেখা গেছে, ১২টি প্রাপ্তবয়স্ক বানরের নয়টিই আবার প্রজননক্ষমতা ফিরে পেয়েছে। অপ্রাপ্তবয়স্ক পাঁচটির মধ্যে তিনটি বানরই প্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায় প্রজননসক্ষম হবে বলে পরীক্ষায় দেখা গেছে।গবেষক ওরনিং জানান, স্টেমসেল প্রতিস্থাপনে অনেক সতর্কতা প্রয়োজন। সতর্ক না হলে অসুস্থ অবস্থায় কোষ থেকে যাওয়া ক্যানসারের কোষ তাতে পুনঃস্থাপনের আশঙ্কা থাকে। চিকিৎসা পদ্ধতিটি মানুষের ক্ষেত্রে এখনই ব্যবহারের উপযোগী না হলেও এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। নিউ সায়েন্টিস্ট।