>
ডায়েট, ব্যায়াম ও ওজন কমানো–বাড়ানো নিয়ে পাঠকদের নির্বাচিত প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন বারডেম হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ ও বিভাগীয় প্রধান শামছুন্নাহার নাহিদ।
প্রশ্ন: আমার বয়স ১১ বছর। চুল লম্বা হচ্ছে না। আমার চুল অনেক পাতলা। কী করব?
সোহানা আক্তার
উত্তর: চুল লম্বা করার জন্য সার্বিকভাবে তোমার চুলের যত্ন নিতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে আমিষ খেতে হবে, যেমন মাংস, ডিম; যা প্রোটিন, বায়োটিনসমৃদ্ধ। এই বায়োটিন থেকে চুলের প্রোটিন কেরাটিন তৈরি করে চুল লম্বা করতে সাহায্য করে। তৈলাক্ত মাছ খেতে হবে, এতে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ও ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন-ই থাকে, যা চুলের ঘনত্ব বাড়াতে সাহায্য করে। ভিটামিন-এ, বেটা-ক্যারোটিনসমৃদ্ধ খাবার, যা ‘সিবাম’ তৈরিতে সাহায্য করে। এই সিবাম চুলের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখে। যেমন মিষ্টি আলু, পালংশাক ইত্যাদি)।
ভিটামিন সি–সমৃদ্ধ খাবারও খেতে হবে। যা চুলের স্টেনডেন ধরে রাখার সহায়ক কোলাজেন তৈরিতে সাহায্য করে। বাদাম, বিচিজাতীয়, সয়াবিন বীজ অর্থাৎ ভিটামিন বি,ই, জিংক, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও বিশেষ করে স্পারমিডিন আছে, যা লম্বা চুলের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।
এ ছাড়া যা করা যায়—ভেষজ তেল ব্যবহার করা। নারকেল তেল, আমন্ড তেল, জলপাই তেল, খনিজ ও বাদাম তেল চুলের পুষ্টি ও স্বাস্থ্যের জন্য জরুরি। চুল প্রতিদিন শ্যাম্পু করবে না। তবে প্রতিদিন ধুয়ে ভালোভাবে শুকিয়ে নিতে হবে। চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে বেশি করে চুল আঁচড়াতে হবে। ১০-১২ সপ্তাহ পরপর ভেঙে যাওয়া চুলের আগা ছেটে বা কেটে ফেলতে হবে। চাপ কমাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে।