বেশির ভাগ সময়ই দেখা যায়, দীর্ঘদিন ব্যবহারের পর অনেক শাড়িই পরার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। আলমারিতে অনেক দিন ধরে জমে থাকা এই শাড়িগুলো দিয়ে গৃহসজ্জায় আনতে পারেন বৈচিত্র্য।
ঘরের আসবাব ও দেয়ালের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে শাড়ি দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন পর্দা।ঘরের আসবাবগুলো যদি অভিজাত নকশার হয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে গাঢ় রঙের কাতান ও বেনারসি শাড়ি ব্যবহার করতে পারেন। পর্দার কুচি হিসেবে এসব শাড়ির রঙের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ব্যবহার করতে পারেন জর্জেট শাড়ির ব্যবহার। এ ছাড়া দেশীয় বা হালকা নকশার আসবাবে সাজানো গৃহসজ্জায় টাঙ্গাইল অথবা কোটা শাড়ির ব্যবহার করা হয়। সে ক্ষেত্রে বসার ঘরের দেয়াল যদি হালকা সাদা রঙের হয়ে থাকে, তাহলে জানালায় যেকোনো রঙের সোনালি পাড়ের শাড়ির পর্দা ব্যবহার করতে পারেন।
পর্দাগুলোকে সরিয়ে একদিকে বেঁধে রাখার জন্য পাটের দড়িকে বেণি আকারে বেঁধে তা ব্যবহার করতে পারেন। আর একইভাবে বসার ঘরের জানালার সামনে শাড়ির পাড়ের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে ছোট স্টিলের হারিকেন ও শোপিসও সাজিয়ে রাখতে পারেন। একইভাবে শোবার ঘরের জানালার সামনে শাড়ির রঙের সঙ্গে মিলিয়ে রাখতে পারেন ছোট টবে গাছ। শাড়ি দিয়ে শুধু পর্দাই নয়, বানাতে পারেন ওয়ালম্যাট, বিছানার চাদর, কুশন কাভারসহ অন্যান্য গৃহসজ্জার সামগ্রী। এ বিষয়ে ইন্টেরিয়র ডিজাইনার গুলশান নাসরীন চৌধুরী বলেন, বসার ঘরের সুবিধামতো একদিকে দেয়ালের পুরোটা জুড়েই তৈরি করতে পারেন ওয়ালম্যাট। সে ক্ষেত্রে পুরোনো শাড়ির আঁচল কেটে নিয়ে মার্কিন কাপড়ের ওপর সুঁই সুতি দিয়ে সেলাই করে বসিয়ে নিন। তারপর বাঁধাই করে নিন। ফ্রেমের চারদিক শাড়ির পাড় দিয়ে মুড়িয়ে দিতে পারেন।
একইভাবে বসার ঘরের দেয়ালজুড়ে ওয়ালম্যাট তৈরি করতে ব্রোকেড অথবা জামদানির জমকালো কাজ করা গাঢ় রঙের শাড়ি বেছে নিন। মাপমতো দৈর্ঘে্য কেটে শাড়িটি বাঁধাই করে বসিয়ে দিন দেয়ালে। এরপর দেয়ালের ওপরে শাড়ির রঙের সঙ্গে মিলিয়ে বসাতে পারেন স্পট লাইট। আর এভাবেই পুরোনো শাড়িগুলো জমিয়ে না রেখে সেগুলো দিয়েই নান্দনিকভাবে সাজাতে পারেন আপনার ঘর।