১. খান একাডেমি (youtube.com/user/khanacademy)
শুরুটা করি এক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতকে দিয়েই। নাম তাঁর সালমান খান। না, তিনি বলিউডের তারকা নন। এই সালমান লেখাপড়ার জগতে বিপ্লব এনে দেওয়া একজন মানুষ। তাঁকে বলা যায় বাস্তব জীবনের তারকা।
সালমান খানের গল্পটা অদ্ভুত। ২০০৩ সালে যখন তিনি তাঁর কাজিন নাদিয়াকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে অঙ্ক শেখাতে শুরু করেছিলেন, তখনো জানতেন না কী এক মহা বিপ্লবের শুরুটা করে ফেলেছেন! ২০০৬ সালে ইউটিউবে একটি চ্যানেল খোলেন তিনি, খান একাডেমি নামে। শুরুটা গণিত আর ইংরেজি দিয়ে হলেও আজ পৃথিবীর চেনা প্রায় সব লেখাপড়ার বিষয়ই পাবেন খান একাডেমির ইউটিউব চ্যানেলে। অর্থনীতির কঠিন কোনো সূত্র বুঝতে পারছেন না? পদার্থবিজ্ঞানের জটিল কোনো বিষয় পড়তে বসে হিমশিম খাচ্ছেন? ইংরেজি ব্যাকরণ আপনাকে ভোগাচ্ছে? খান একাডেমি পানির মতো সহজ করে সব বুঝিয়ে দেবে আপনাকে। এ জন্যই খান একাডেমি ইউটিউবের সবচেয়ে জনপ্রিয় চ্যানেলগুলোর একটি।
২. মিনিটফিজিকস (youtube.com/user/minutephysics)
নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে, এই চ্যানেলটির কাজকর্ম সব ফিজিকস, অর্থাৎ পদার্থবিজ্ঞান ঘিরে। তবে পদার্থবিজ্ঞানের জটিল বিষয়গুলো নীরসভাবে পড়ানোর কোনো ইচ্ছেই মনে হয় এই চ্যানেলের নির্মাতা হেনরি রাইখের নেই। পদার্থবিজ্ঞান বিষয়টাকেই সরস করে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন তিনি। ‘টাইম-ল্যাপস ড্রয়িং’ নামে এক রকম অ্যানিমেশনের (চাইলে এই অ্যানিমেশনও আপনি ইউটিউব দেখে শিখতে পারবেন) মাধ্যমে এক মিনিটের মধ্যেই পদার্থবিজ্ঞান বুঝিয়ে ফেলেন এই ভদ্রলোক ও তাঁর দল। তাই এই চ্যানেল ইউটিউবের শিক্ষামূলক শাখায় দারুণ জনপ্রিয়।
৩. অ্যাসাপসায়েন্স (youtube.com/user/AsapSCIENCE)
বিজ্ঞান নিয়ে প্রায়ই আমাদের মাথায় উদ্ভট সব প্রশ্ন আসে। যেগুলোর উত্তর পেতে রীতিমতো ঘাম ছুটে যায়। যেমন আমাদের আসলে কতটুকু ঘুম দরকার, সেটির বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা পেতে আসলেই বড্ড সমস্যা হয়। এই সব সমস্যার সমাধান করতেই অ্যাসাপসায়েন্স। মিশেল মোফি আর গ্রেগরি ব্রাউন মিলে দারুণ মজাদার সব ব্যাখ্যা দিয়ে সুন্দর করে বুঝিয়ে দেন বিজ্ঞানবিষয়ক যেকোনো সমস্যা। সেটি যতই উদ্ভট হোক না কেন, তার সমাধানও বাতলে দেন তাঁরা।
৪. নাম্বারফাইল (youtube.com/user/numberphile)
নাম শুনলেই কিন্তু আন্দাজ করা যায়, নাম্বারফাইলের কাজকর্ম সবই নম্বর বা সংখ্যা নিয়ে। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, এই ভিডিওগুলোতে শুধু নম্বরের নীরস খেলা চলে না, এখানে দেখানো হয় সংখ্যাকে ব্যবহার করে দুর্দান্ত সব কাজ করে ফেলার প্রক্রিয়া।
৫. ক্র্যাশকোর্স (youtube.com/user/crashcourse)
ইউটিউবের শিক্ষামূলক চ্যানেলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয়গুলোর একটি হলো ক্র্যাশকোর্স। হ্যাংক গ্রিন ও জন গ্রিন—দুই ভাই মিলে খুলেছিলেন এই চ্যানেল, সেই ২০১১ সালে। ক্র্যাশকোর্সের ব্যাপারটা হলো, এই চ্যানেল থেকে প্রতিবছর নতুন নতুন সিজন বের হয়। এক সিজনে একটি বিষয়ের ওপর ফোকাস করে সেটি নিয়ে নানা কিছু শিখিয়ে ফেলা হয়। একেকটি সিজনে বিভিন্ন পর্ব থাকে, যেগুলোর উপস্থাপনায় থাকেন গ্রিন ভ্রাতৃদ্বয় ও অতিথিরা। নির্দিষ্ট নতুন কোনো বিষয় নিয়ে শিখতে এই চ্যানেল ভীষণ কাজে দেয়।