মৌসুমি আক্তার (৩৫) একজন সফল ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। একটি সেলাইমেশিন দিয়ে তাঁর যাত্রা শুরু, কিন্তু আজ তিনি একটি টেইলারিং দোকানের মালিক। তিনি শুধু নিজের ভাগ্যই পরিবর্তন করেননি, অনেক মেয়ের কর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা করেছেন। মৌসুমি বলেন, ‘কোনো অভাব নাই আমার, সব খরচ বাদ দিয়ে প্রতি মাসে প্রায় ৫০ হাজার টাকা লাভ থাকে। এই টাকা দিয়ে আমি সংসারের সব খরচ করে ছেলেরেও সুন্দরভাবে লেখাপড়া করাইতেছি। নিজের ও ছেলের নানা শখও পূরণ করতেছি।’
তবে মৌসুমির জীবনের শুরুটা এত মসৃণ ছিল না। জীবনের কঠিন সময় তিনি ধৈর্যের সঙ্গে পার করেছেন।
১০ বছর আগে এইচএসসি পড়ার সময় বিয়ে হয়েছিল মৌসুমির। ভালো পরিবার ও ভালো ছেলে দেখে বাবা-মা তাঁর বিয়ে দেন। বিয়ের পর বেশ কয়েকটা দিন ভালোই চলছিল। বছর না ঘুরতেই সন্তানের মা হন তিনি। এরপর তাঁর স্বামীর আসল চেহারা একটু একটু করে প্রকাশ হতে থাকে। বিভিন্ন অজুহাতে স্বামী তাঁকে হেনস্তা করতেন। সংসারে তাঁর মতামতের কোনো দাম ছিল না। একদিন ব্যবসা করবেন বলে স্বামী মৌসুমিকে বাবার বাড়ি থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ এনে দিতে বলেন। প্রথমে মৌসুমি চাহিদামতো অর্থ এনে দেন। কদিন না যেতেই স্বামী আবারও টাকা চান। বাবার আর্থিক অবস্থার কথা তিনি জানতেন, তাই স্বামীকে আর টাকা দিতে পারবেন না বলে জানান। আর তখন থেকেই তাঁর ওপর শুরু হয় নির্যাতন। প্রথমে মানসিক, পরে শারীরিক নির্যাতন। সন্তানের কথা ভেবে প্রথমে নির্যাতন সহ্য করেন মৌসুমি। কিন্তু একসময় ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যায়। বের হয়ে আসেন স্বামীর ঘর ছেড়ে। বাবার বাড়িই হয় আশ্রয়। হতাশা ভর করেছিল মনে। কিন্তু বাবার প্রেরণায় মনোবল ফিরে পান। একটি সেলাই প্রশিক্ষণকেন্দ্রে গিয়ে সেলাইয়ের কাজ শেখা শুরু করেন।
এরপর ধারকর্জ করে একটি সেলাইমেশিন কেনেন। প্রথমে বাড়িতে বসে সেলাইয়ের কাজ শুরু করেন। প্রতিবেশীদের কাছ থেকে নানা কাজের ফরমাশ পেতে থাকেন। ভালোই টাকা আসতে থাকে। টাকা জমিয়ে এরপর রাজধানীর মিরপুরে একটি দোকান ভাড়া নেন। শুরু করেন টেইলারিংয়ের কাজ।
২০ নভেম্বর কথা হয় মৌসুমির সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘স্বামীর মাইর সহ্য না কইরা বাইর হইয়া আসছি। কোনো মেয়ের উচিত না স্বামীর মাইর আর অপমান সহ্য করা।’
মৌসুমির কাছে জানতে চাই, তিনি স্বামীর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের কোনো মামলা করেছিলেন কি না ?
মৌসুমি বলেন, ‘করতে চাইছিলাম। মহল্লার মুরব্বিরা মানা করলেন। তাঁরা কইলেন, তোমার ছেলের বাপের বিরুদ্ধে মামলা করবা এইটা কেমন কথা? তাই আর করি নাই।’
বিয়ের সময় যে দেনমোহর নির্ধারণ হয়েছিল, তা পেয়েছেন কি না জানতে চাইলে মৌসুমি বলেন, ‘না, দেনমোহরের কোনো টাকা আমারে দেয়নি। যে ব্যাটা যৌতুকের জন্য বউরে পিটায়, সে কি আর দেনমোহরের টাকা দিব? তা-ও চাইছিলাম। বাচ্চার খোরপোশ চাইছিলাম। তখন বলে, আমি তো তোমারে তালাক দিইনি, তুমি আমারে দিছ। তাই কোনো টাকা পাইবা না। বাচ্চার কোনো দায়িত্বও নাই আমার।’
মৌসুমি নির্যাতনের প্রতিবাদ করে স্বামীর ঘর ছেড়ে নিজের চেষ্টায় স্বাবলম্বী হয়েছেন। কিন্তু সব মেয়ে তা পারেন না। তাঁরা প্রতিনিয়ত পুরুষের হাতে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন।
আসলে বিশ্বজুড়েই নারীর প্রতি সহিংসতা ঘটছে। কোনো কোনো দেশে, বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এর মাত্রা অনেক বেশি। এখনো বিশ্বে প্রতি তিনজন নারীর মধ্যে একজন শারীরিক, মানসিকসহ নানা ধরনের নির্যাতনের শিকার হন। তবে দুঃখের বিষয় হচ্ছে, এসব সহিংসতার বিরুদ্ধে কেউ তেমনভাবে সরব হয় না, কেউ প্রতিবাদ করে না। নারীর প্রতি সহিংসতা তার মর্যাদাকে হেয় করে এবং একপর্যায়ে নারীও নিজেকে দোষী ও ছোট ভাবতে শুরু করে। নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ শুধু নারী ও মেয়েদের কল্যাণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নয়, দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য এবং জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নের জন্যও জরুরি।
বাংলাদেশের সংবিধানে সব ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সম-অধিকারের কথা বলা হয়েছে এবং দেশে বিদ্যমান আইন, নীতি ও কৌশলেও নারী-পুরুষের সমতার কথা বলা হয়েছে। যেসব উন্নয়ন সূচকে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ সেগুলো হচ্ছে: দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় এখন ১ হাজার ৬১০ মার্কিন ডলার। গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ সূচকে ১৪৫টি দেশের মধ্যে অবস্থান ৬৪তম। নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের সূচকে অবস্থান অষ্টম। প্রধানমন্ত্রী,স্পিকার ও বিরোধীদলীয় নেতা হচ্ছেন নারী। জাতীয় সংসদের মোট আসনের ২০ শতাংশ প্রতিনিধিত্ব করছেন নারী । বাংলাদেশ নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য বিলোপ (সিডও) সনদে সই ও অনুসমর্থন করেছে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের বাজেট নারীবান্ধব করা হয়। নারী-পুরুষের সমতার বিষয়ে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সংস্থা ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর উইমেন্স অ্যান্ড চিলড্রেনস ডেভেলপমেন্টের চেয়ারম্যান স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। এই সব অর্জনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার প্রথম ধাপ অতিক্রম করেছে।
তবে এত সব অর্জনের পরও মাত্র ৩৬ শতাংশ নারী কর্মশক্তিতে নিয়োজিত। এখনো ৭০ শতাংশের বেশি নারী বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করেন। সমাজে বাল্যবিবাহ, যৌতুক, নারী নির্যাতনের মতো ক্ষতিকর ও বৈষম্যমূলক আচরণ চলমান রয়েছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, দেশের ৭২ দশমিক ৬ শতাংশ বিবাহিত নারী তাঁদের জীবনে স্বামীর দ্বারা এক বা একাধিক ধরনের সহিংসতার শিকার হন। ৪৯ দশমিক ৬ শতাংশ নারী শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন। এই নারীদের মধ্যে মাত্র ২ দশমিক ৬ শতাংশ আইনগত পদক্ষেপ নিয়েছেন। ৩২ দশমিক ৫ শতাংশ নারী মনে করেন যে স্ত্রীকে মারধর করাই যায়। বাংলাদেশসহ ৩০টি দেশের কিশোরীরা, বিশেষ করে যাঁরা সহিংসতার শিকার হয়েছেন, তাঁরা কোনো ধরনের সহায়তা চান না। বাংলাদেশে স্বামীর নির্যাতনের কারণে ৭ দশমিক ১ শতাংশ নারী আত্মহত্যার চেষ্টা চালান।
নারীর প্রতি বৈষম্যমূলক বা প্রথাগত সামাজিক রীতিনীতির কারণে অনেক সময় রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারণের ক্ষেত্রেও কিছুটা প্রভাব ফেলে। যেমন: বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারা অনুযায়ী, স্ত্রীর বয়স ১৪ বছরের কম হলেই কেবল বৈবাহিক ধর্ষণ হিসেবে গণ্য করা হয় এবং মহামান্য হাইকোর্টের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও নারীর প্রতি সব ধরনের সহিংসতাকে অনেক ক্ষেত্রে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়নি। যদিও বাংলাদেশ সরকার ইতিমধ্যে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে একাধিক আইন ও বিধি প্রণয়ন করেছে। পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন প্রণয়ন তারই একটি উদাহরণ।
২০০৯ সালে মহামান্য হাইকোর্ট যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধে কতগুলো সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মস্থলে যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ কমিটি গঠন করা। ২০১১ সালের জানুয়ারিতে সুপ্রিম কোর্ট নারী ও মেয়েদের উত্ত্যক্তকরণকে বেআইনি ও যৌন হয়রানি হিসেবে গণ্য করার নির্দেশনা দিয়েছিলেন।
এত কিছুর পরও বিচারব্যবস্থার সীমিত সম্পদ, নারীবান্ধব অবকাঠামোর অভাব, বিচারের দীর্ঘসূত্রতা, জটিল প্রক্রিয়া ও ব্যয়বহুলতার কারণে প্রায়ই নারীরা বিশেষ করে সহিংসতার শিকার নারীরা বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে বাধাগ্রস্ত হন। এ জন্য বিচারব্যবস্থার সঙ্গে জড়িত সকলের সমন্বিত উদ্যোগ ও সচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়োজন রয়েছে।
আমরা জানি, যুদ্ধ বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের মতো জরুরি পরিস্থিতিতে সবার ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। তবে নারী ও মেয়েরা আরও বেশি ঝুঁকির মধ্যে থাকে। এ সময় তাঁদের যৌন হয়রানিসহ নানারকম নির্যাতনের শিকার হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাঁদের প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা যেমন : গর্ভবর্তী বা প্রসূতি মায়েদের স্বাস্থ্য পরিচর্যা, পরিবার পরিকল্পনা সেবা ইত্যাদি মেলে না বললেই চলে। এ পরিস্থিতিতে অনেকে অপ্রত্যাশিতভাবে গর্ভধারণ করে থাকেন।
জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ) স্বাভাবিক পরিস্থিতির পাশাপাশি এ ধরনের দুর্যোগপূর্ণ বা বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে নারীদের সহায়তায় দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে। সংস্থাটি নারীর প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণ এবং নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ ও নির্যাতনের শিকার নারীদের শারীরিক ও মানসিক সেবা প্রদান করে থাকে। নারীর প্রতি সহিংসতা নিয়ে ইউএনএফপিএর কাজের মধ্যে রয়েছে মনস্তাত্ত্বিক সহায়তা, প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা, প্রসূতিসেবা, বিভিন্ন ধরনের নির্যাতনের শিকার নারীদের চিকিৎসা দেওয়া, নানা রকম সামাজিক কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত করে তাঁদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করা, যাতে তাঁরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারেন ইত্যাদি। এ ছাড়া সংস্থাটি সব নারীর সহিংসতা ও নিপীড়নমুক্ত পরিবেশে বেঁচে থাকার অধিকার নিয়ে কাজ করে এবং নির্যাতিত নারী ও মেয়েদের সুরক্ষায় সরকার, এনজিও ও অন্যান্য উন্নয়ন সংস্থার পাশাপাশি সহায়তা ও পরামর্শ দেয়।
সম্প্রতি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে লাখ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। ইন্টার সেক্টর কো-অর্ডিনেশন গ্রুপের (আইএসসিজি) সাপ্তাহিক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২৫ আগস্ট থেকে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত প্রায় ৬ লাখ ১৫ হাজার রোহিঙ্গা কক্সবাজারে এসেছে। আইএসসিজি বলছে, নতুন আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে ৫১ শতাংশ নারী। নারীদের মধ্যে প্রায় ৩০ হাজার অন্তঃসত্ত্বা। এ ছাড়া ৫৫ হাজারের বেশি নারীর কোলে দুধের শিশু। রোহিঙ্গা নারী ও মেয়েদের প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা এবং নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ ও প্রতিকার নিয়ে কাজ করছে ইউএনএফপিএ। সংস্থাটির সহায়তায় নারীবান্ধব কেন্দ্রের (ডব্লিউএফএস) মাধ্যমে সব রোহিঙ্গা নারী ও মেয়ের সেবা দেওয়া হচ্ছে। এসব কেন্দ্র থেকে নারী ও মেয়েরা তথ্য, বিনোদন ও মনোসামাজিক সেবা পাচ্ছে।
নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে সরকারি কার্যক্রম জোরদার করা জরুরি। আর এই কার্যক্রমে বেশি করে যুক্ত করতে হবে বিভিন্ন পক্ষকে। প্রান্তিক নারী ও মেয়েদের প্রতিনিধিত্বকারী গোষ্ঠীগুলোর কণ্ঠস্বরকে শক্তিশালী করতে পর্যাপ্ত নীতি তৈরি করা দরকার। যেসব আইন ও নীতি আছে, তা বাস্তবায়নে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ করা গুরুত্বপূর্ণ। নারীর প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ অবসানে স্কুলের পাঠ্যক্রমে নারী-পুরুষের সমতার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা দরকার। এ ছাড়া নারীর নিরাপত্তার উন্নয়ন, সহিংসতার শিকার নারীদের আইনি সেবা পাওয়ার সহজপ্রাপ্যতা, সহিংসতা রোধে যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে সে বিষয়গুলো সরকার ও উন্নয়ন অংশীদারদের কার্যক্রম ও কৌশলে স্থান পাওয়া উচিত।
নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে ১৬ দিনের কর্মসূচি :
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও ১৬ দিনব্যাপী নারীর প্রতি সহিংসতাবিরোধী কার্যক্রমে যোগ দিয়েছে। প্রতিবছর ২৫ নভেম্বর নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ দিবসে ১৬ দিনের কর্মতৎপরতা শুরু হয় এবং শেষ হয় ১০ ডিসেম্বর মানবাধিকার দিবসে। জাতিসংঘের উদ্যোগে শুরু হওয়া এই প্রচারাভিযানে বাংলাদেশ সরকার, জাতিসংঘের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং সুশীল সমাজ অংশ নিয়েছে। বাংলাদেশ সরকার এবারের ১৬ দিনের কর্মসূচির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছে ‘নারীরা আজ অগ্রসর, চায় সমতা জীবনভর’। জাতিসংঘের প্রতিপাদ্য হচ্ছে,‘অরেঞ্জ দ্য ওয়ার্ল্ড: লিভ নো ওয়ান বিহাইন্ড, এন্ড ভায়োলেন্স অ্যাগেইনস্ট উইমেন ।
নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে ১৬ দিনের কার্যক্রমে ইউএনএফপিএ
গোলটেবিল বৈঠক, আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও জেলা পর্যায়ে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
তথ্যসূত্র: ইউএনএফপিএ, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) নারীর প্রতি সহিংসতা জরিপ ২০১৫,বিবিএস এর নারীর প্রতি সহিংসতা জরিপ ২০১৪, বাংলাদেশ ডেমোগ্রাফিক হেলথ সার্ভে ২০১১, ইউনিসেফের শিশুর প্রতি সহিংসতা জরিপ,নিউইয়র্ক এবং সিডও সনদের ২ ও ১৬.১ নম্বর আর্টিকেল।
দেশে নারীর প্রতি সহিংসতার বর্তমান পরিস্থিতি
স্বামীর হাতে নির্যাতনের শিকার ৭২.৬%
শারীরিক নির্যাতনের শিকার ৪৯.৬%
আইনগত পদক্ষেপ নেন ২.৬%
স্ত্রীকে মারধর করা যায় মনে করেন ৩২.৫%
আত্মহত্যার চেষ্টা চালান ৭.১%