“সে যুগ হয়েছে বাসি,
যে যুগে পুরুষ দাস ছিল না ক’, নারীরা আছিল দাসী।”
নারীদের নিয়ে কবি কাজী নজরুল ইসলামের ভাবনার সত্যতা আজ প্রস্ফুটিত।
পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র তথা দেশ এমনকি বহির্বিশ্বের সব ক্ষেত্রে নারীর সফল পদচারণা আজ লক্ষণীয়।
নারীর ভেতরে সুপ্ত একধরনের শক্তি আছে। এই শক্তি জাগ্রত করার জন্য চাই গতি। এই গতির সঞ্চার করতে হবে নারীর নিজেকেই।
আমাদের চারপাশের অসংখ্য নারী বিভিন্ন কাজে সফলতার স্বাক্ষর রেখে যাচ্ছেন।
প্রতিবন্ধকতাই নতুন পথের সৃষ্টি করে—এই বাক্য নারীদের ক্ষেত্রে অনেক বেশি প্রযোজ্য। যেসব নারীকে আমরা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি, যাঁদের আদর্শ মানি এবং যাঁরা ইতিহাসে দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন, তাঁদের প্রত্যেকের চলার পথ ছিল বন্ধুর। আমাদের বেগম রোকেয়া, সুফিয়া কামাল—কারও চলার পথই মসৃণ ছিল না।
প্রত্যেকের জীবনসংগ্রামের পেছনেই একটা ইতিহাস আছে। তবে সব পেছনে ফেলে সামনে এগিয়ে যাওয়ার মাধ্যমেই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব। আজ নারীরা আকাশে বিমান ওড়াচ্ছেন, সমুদ্রে সাবমেরিন ভাসাচ্ছেন, নিরাপত্তায় নারী, দেশ পরিচালনা করছেন নারী। পুরুষের পাশাপাশি নিজেদের গতিতে এগিয়ে যাচ্ছেন নারীরা।
বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে সর্বত্র আজ নারীদের জয়জয়কার।
লক্ষ্য ঠিক রেখে সাহসের সঙ্গে দৃঢ়তা ও মনোবল নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। সফল নয়, জীবনে সার্থক হওয়ার জন্য কাজ করতে হবে।
প্রতিভা এক বিষয় আর দক্ষতা অন্য বিষয়। কেউ খুব ভালো পড়াশোনা করে আর্কিটেক্ট হলেন, আবার অন্য নারী সাঁতারে বিশ্ব জয় করে এলেন, কেউ ফুটবল, কেউ ভারোত্তোলনে ইতিহাস গড়লেন। নানা কিছু রয়েছে নিজেকে বহির্বিশ্বের সঙ্গে পরিচয় করানোর।
আমাদের মেয়েরা ফুটবল খেলে বাংলাদেশকে বিশ্বদরবারে নতুনভাবে উপস্থাপন করেছে।
কোনো বাধাকে বাধা না ভেবে নতুন পথের অনুসন্ধান করতে হবে। তাহলে নারীর ভেতরকার শক্তি গতিপ্রাপ্ত হবে এবং সেই গতির গতিময়তায় এগিয়ে যাবে দেশ, এগিয়ে যাবে বিশ্ব।