এবার ঈদে দাওয়াতের আয়োজন কম। পরিবারের মধ্যেই চলবে খাওয়াদাওয়া। দুপুরের চেয়ে রাতের আয়োজন হবে উৎসবমুখর। দুজন হোক কিংবা চারজন, নিজেদের জন্যই খাবার টেবিল সাজানো যায় পরিপাটি করে। ভালো লাগার মুহূর্তগুলো তো গড়ে ওঠে খাবার টেবিল ঘিরেই।
খাবারের মেন্যুর ওপর ভিত্তি করে টেবিলের সাজসজ্জা ঠিক করা ভালো। টেবিলে থাকা তৈজসপত্র আর খাবার ঘরের আলোও নির্ভর করে খাবারের পদের ওপর। পাশাপাশি সাজিয়ে রাখা যায় নাশতার জন্যও আলাদা তৈজস। সারা দিনের জন্যই থাকতে পারে এই আয়োজন। নাশতা খাওয়ার সময় নির্দিষ্ট জায়গা থেকেই ক্রোকারিজ নেওয়া যাবে।
রঙিন নকশার এই প্লেটগুলো তুরস্কের। নীল রঙের প্রভাব, এ কারণে ব্লু ডেলফট্ নকশার তৈজসপত্র বেছে নেওয়া হয়েছে খাবার পরিবেশনের জন্য। থালায় যেহেতু অনেক রং, তাই নিচের ম্যাট এক রঙা। খসখসে গাঢ় নীল কাগজ গোলাকার কেটে ম্যাটগুলো বানানো। টেবিলের মাঝখানে সাদা লেসের লম্বাটে ম্যাট। সঙ্গে মিলিয়ে সাদা ফুল। প্লেটের সঙ্গে বৈপরীত্য আনতে রাখা হয়েছে ক্রিস্টালের গ্লাস। বিরিয়ানি বা কাচ্চি যদি মূল পদ হয়, তবে আলো একটু কম থাকতে পারে। জমকালো মায়াবী পরিবেশের জন্য আদর্শ।
টেবিলের এই সাজে কালো, সাদা ও ছাই রঙের প্রভাব বেশি। এখানেও প্লেটের নিচে চার্জার হিসেবে বড় আরেকটা প্লেট রাখা হয়েছে। টিস্যু পেপারে সাদা ও কালো নকশা। প্লেটের নিচে রাখা টেবিল ম্যাটটি কালো রঙের খসখসে কাগজ কেটে বানানো। মোমবাতির ব্যবহার করতে পারেন। পরিবেশনের জন্য সাবেকি ও আধুনিক—দুই ধরনের পরিবেশন পাত্র বেছে নেওয়া যায়। পাত্রের নিচে কালো বড় গোল পরিবেশন পাত্র রাখা হয়েছে। সাধারণত এটি খাবার পরিবেশনের জন্যই ব্যবহার করা হয়। তবে ভিন্নতা আনতে পাত্র রাখার ম্যাট হিসেবে এখানে ব্যবহার করা হয়েছে। এই টেবিলে স্টেক পরিবেশন করতে পারেন।
জরির কাজ করা টেবিল ম্যাট। সবুজ নকশার থালার নিচে ছাই রঙা বড় থালাটা ‘প্লেট চার্জার’ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। যদিও চার্জার কারুকাজময় হয়, তবে সাধারণ নকশারও হতে পারে। ওপরের ন্যাপকিন টেবিল ম্যাটের নকশার সঙ্গে মেলানো। ন্যাপকিন হোল্ডারও সোনালি। কাচের সবুজ গ্লাসের ওপর সোনালি রঙের কারুকাজ। সাধারণ সাজেই চলে এসেছে আভিজাত্য। মাছ বা মাংসের খাবার এই সাজের টেবিলে পরিবেশন করা যাবে। পায়ার মতো খাবার পরিবেশন করতে একটা বাটি যোগ করলেই হলো।