শতকরা ৪০ থেকে ৬০ ভাগ মানুষের জীবনে কোনো না কোনো সময়ে নাক দিয়ে রক্ত পড়েছে। নাক দিয়ে রক্ত পড়তে বেশি দেখা যায় ১০ বছরের ছোট শিশু ও ৫০ বছরের বেশি বয়সী লোকদের। শীতকালে ও শুষ্ক আবহাওয়ায় এ ঘটনা বেশি ঘটে। অধিকাংশ নাক দিয়ে রক্ত পড়ার ঘটনা অল্পতে সেরে গেলেও মাঝেমধ্যে এটি প্রাণসংহারী হতে পারে। নাক হচ্ছে শরীরের একটি উচ্চ রক্তসংবাহী প্রত্যঙ্গ। ছোট্ট এই নাকের ভেতর রয়েছে বহু রক্তনালি ও কৈশিক নালির জাল। তাই অল্পতেই এই নাজুক নাক দিয়ে রক্তপাতের ঘটনা ঘটে। যেমন: নাকে আঘাত পাওয়া, নাক খোঁচানো, অতিশীতল ও শুষ্ক বাতাস, রাসায়নিক বা ধোঁয়ার আঘাত, নাকে কিছু ঢুকে পড়া, প্রচণ্ড সর্দি বা দীর্ঘমেয়াদি সাইনুসাইটিস, নাকের পলিপ ইত্যাদি। কী করবেন?নাক দিয়ে হঠাৎ রক্ত পড়তে দেখা গেলে ঘাবড়ে না গিয়ে সোজা হয়ে একটি চেয়ারে বসুন, মাথাটি সামনে হেলে দিন যাতে রক্ত গলায় বা পেটে না চলে যায়। রক্ত গিলবেন না। মুখে চলে এলে থুথু দিয়ে একটি গামলায় ফেলুন। এবার এক হাতের দুটি আঙুল দিয়ে নাকের ওপর চেপে ধরুন। কমপক্ষে ১০ মিনিট চেপে ধরে রাখুন। এ সময় মুখ দিয়ে শ্বাস নিন।আইস প্যাক বা গুঁড়ো বরফ একটি প্যাকেটে নিয়ে রুমাল বা ছোট তোয়ালে দিয়ে পেঁচিয়ে নাকের ব্রিজ বা দুই ভুরুর মাঝে একটু নিচে চেপে ধরে থাকুন। কমপক্ষে ৫ থেকে ২০ মিনিট। এসব চেষ্টা করে ফল না হলে অবিলম্বে হাসপাতালে চলে যান। কিছু নিয়ম মেনে চলুনশক্ত জিনিস বা নখ দিয়ে নাক খোঁচানো ভালো অভ্যাস নয়। মনে রাখবেন নাকের মিউকোসা বা দেয়াল খুবই নাজুক এবং অত্যন্ত রক্তপ্রবাহী। খুব জোরে জোরে সর্দি ঝাড়লেও অকস্মাৎ রক্তপাত হতে পারে। তামাক, ধোঁয়া, নস্যির মতো রাসায়নিক যা নাকে টানা হয়, তা ক্ষতিকর।সূত্র: আমেরিকান অ্যাকাডেমি অব ফ্যামিলি ফিজিশিয়ানস