নর্থ সাউথে করোনাকালের শিক্ষা নিয়ে দুই দিনব্যাপী সেমিনার

সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব পলিসি অ্যান্ড গভর্নেন্স (এসআইপিজি), নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি এবং ক্যাম্পাসেস, কনরাড এডেনাউয়ার স্টিফটং (কেএএস), জার্মানি যৌথভাবে এই ভার্চুয়াল সেমিনার আয়োজন করে
সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব পলিসি অ্যান্ড গভর্নেন্স (এসআইপিজি), নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি এবং ক্যাম্পাসেস, কনরাড এডেনাউয়ার স্টিফটং (কেএএস), জার্মানি যৌথভাবে এই ভার্চুয়াল সেমিনার আয়োজন করে

করোনাকালে বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে দুই দিনব্যাপী একটি অনলাইন সেমিনার অনুষ্ঠিত হলো গত ১৮ ও ১৯ সেপ্টেম্বর। সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব পলিসি অ্যান্ড গভর্নেন্স (এসআইপিজি), নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি এবং ক্যাম্পাসেস, কনরাড এডেনাউয়ার স্টিফটং (কেএএস), জার্মানি যৌথভাবে এই ভার্চুয়াল সেমিনার আয়োজন করে।

১৯ সেপ্টেম্বর সেমিনারের সমাপনী দিনে প্রধান অতিথি হিসেবে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সরকার শিক্ষা খাতে ডিজিটাল বিভাজন এবং শিক্ষা পদ্ধতির অসমতাগুলি দূর করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে। বাংলাদেশের মানুষ যেন শিক্ষার সুষ্ঠু সুযোগ পায় তা নিশ্চিত করবে।’

মহামারিকালে এসডিজি-৪ এর অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং এর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার উপায় নিয়ে আলোচনাই ছিল সেমিনারের উদ্দেশ্য। সবার জন্য কীভাবে মানসম্পন্ন শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করা যায়, তা নিয়েও কথা হয় এই ভার্চুয়াল আয়োজনে। সেমিনারের চারটি অধিবেশনের বিষয় ছিল—অনলাইন শিক্ষা বনাম শ্রেণিকক্ষের শিক্ষা, শিক্ষকদের দক্ষতা ও অবকাঠামো উন্নয়ন, শিক্ষায় বৈষম্য ও নতুন অভিজ্ঞতা। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম গত ১৮ সেপ্টেম্বর উদ্বোধন করেন।

কেএএসের পলিটিক্যাল ডায়ালগ এশিয়া প্রোগ্রামের ডেপুটি ডিরেক্টর আলিনা রেইস বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগের প্রশংসা করেন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার, টিভি, রেডিও ও মোবাইলের মাধ্যমে অনলাইন শিক্ষার সুযোগ তৈরি করা, এমন নানা কার্যক্রমের কথা উল্লেখ করেন তিনি।

অধিবেশনের বিশেষ অতিথি, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি অনলাইনে পাঠদানের মাধ্যমে একাডেমিক কার্যক্রমের গতিশীলতা বজায় রেখেছে, সফলভাবে অনলাইনে সমাবর্তনও সম্পন্ন করেছে।’

নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য আতিকুল ইসলাম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। তিনি বলেন, ‘এনএসইউর শিক্ষার্থীদের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে ডিজিটাল বিভাজন কমানো হয়েছে। এই মহামারি আমাদের এমন কিছু উদ্ভাবনের দিকে পরিচালিত করেছে যা আগামী দিনেও আমাদের সঙ্গে থাকবে। যখন বিশ্ববিদ্যালয় খুলবে তখন আমাদের অনলাইন ও অফলাইন উভয় পদ্ধতির মাধ্যমেই শিক্ষার্থীদের ক্লাসে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।’