সংগীতশিল্পী নকীব খান। সব সময় পরেন জিনস ও টি-শার্ট। চোখে থাকে সোনালি ফ্রেমের চশমা। ভালোবাসেন পিয়ানো বাজাতে। আজ অধুনায় থাকছে তাঁর স্টাইল।
‘যেটা আমার ব্যক্তিত্বের সঙ্গে যায়, সেটাই আমার স্টাইল হওয়া উচিত’ এমনই মনে করেন সংগীতশিল্পী ও সুরকার নকীব খান। ফ্যাশনের স্রোতে গা ভাসিয়ে না দিয়ে নিজের পছন্দকে প্রাধান্য দিয়ে নিজেকে উপস্থাপন করতে ভালোবাসেন তিনি। নকীব খান বলেন, ‘টি-শার্ট আর জিনসই আমার বেশি পছন্দ। এই দুটি পোশাকের ক্ষেত্রে সাধারণত নীল রং প্রাধান্য পায়। গোল গলা ও কলার—দুই ধরনের টি-শার্টই পরি। মঞ্চেও পোশাকসহ অনুষঙ্গ ঠিকঠাক রাখার চেষ্টা করি। সময়, অবস্থা বা কোথায় যাচ্ছি—এ কথাটি মাথায় রেখেই স্টাইল বদলে ফেলি।’
নীলের বাইরে সাদা-কালো রঙের প্রতিও আছে তাঁর বিশেষ ভালো লাগা। প্রতিদিন সকালে যখন অফিসে ছোটেন, তখন একদম ফিটফাট কেতাদুরস্ত পোশাকই বেছে নেন। শার্ট, প্যান্ট, টাই আর কোটের সঙ্গে পায়ে থাকে জুতা। মঞ্চে ক্যাজুয়াল শার্টের সঙ্গে জিনস ও জুতা। পায়ে থাকবে কেডস।
একটা অনুষঙ্গে নকীব খানকে চেনা যাবেই, তা হলো তাঁর সোনালি ফ্রেমের চশমা। মাঝেমধ্যে রোদচশমাও পরেন। হাতঘড়ির প্রতি আছে বিশেষ দুর্বলতা। ফিতা ও চেইন—দুই ধরনের ঘড়িই পরতে পছন্দ করেন।
যেকোনো উৎসবে পাঞ্জাবি পরেন। এখানে পছন্দ বাটিকের পাঞ্জাবি। স্ত্রীর হাতের মোম বাটিক করা পাঞ্জাবি বা ফতুয়া পরেন বিভিন্ন সময়ে। নিজে গাড়ি চালাতে অনেক পছন্দ করেন নকীব খান। আর তাই ছুটি পেলেই পরিবার নিয়ে বেরিয়ে পড়েন লং ড্রাইভে।
চুলটা সব সময় ছোট করেই কাটান। নানা কজের মধ্যে অবসর খুব মেলে না। তবে যেটুকু অবসর মেলে, সেই সময়টা গানের চর্চা অথবা সন্তানদের নিয়েই কাটাতে পছন্দ করেন। হুট করেই হয়তো সবাইকে নিয়ে বেরিয়ে পড়েন ভ্রমণে। তবে বেড়ানোর জায়গার মধ্যে নকীব খানের সবচেয়ে ভালো লাগে কক্সবাজার। আরেকটি জিনিস তাঁর খুব প্রিয়—পিয়ানো। সময় পেলেই পিয়ানো বাজান।