আন্তর্জাতিক বাজারের মতো বাংলাদেশের ফ্যাশন বাজারও গেল দুই বছর ধরে নিম্নগামী। ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সাল ছিল কিছুটা চাঙা। তবে সেখানেও লক্ষ করা গেছে উত্থান-পতন।
বাংলাদেশে আশার বিষয় ছিল, বিয়ের বাজার বলতে গেলে পুরোটাই দেশি উদ্যোক্তাদের দখলে ছিল। স্বাভাবিক সময়ে যেটার সিংহভাগই ভারতীয়দের দখলে থাকে। কেননা, গত দুই বছরে বিয়ের কেনাকাটা করার জন্য ভারতে যাওয়া সম্ভব হয়নি। কাস্টমাইজড পোশাক বানিয়ে এই সুযোগটা কাজে লাগিয়েছে দেশীয় উদ্যোক্তারা। এই ধারা বজায় রাখা জরুরি। এ জন্য সংগঠনগুলোকেই কাজ করতে হবে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তাদের ভূমিকা নিতান্ত হতাশাজনক।
এ বছর আশা জাগিয়ে শুরু হলেও অমিক্রন নিয়ে শঙ্কিত উদ্যোক্তারা। শীতপোশাকের বাজার এখন পর্যন্ত উজ্জীবিত। তবে নতুন ধাক্কায় কী পরিস্থিতি হবে, সেটা আপাতত আন্দাজ করা যাচ্ছে না। তবে এ বছর ঈদ আর বৈশাখ কাছাকাছি সময়ে থাকবে। এই পরিস্থিতির মুখোমুখি গত বছর থেকেই হতে হয়েছে। ফলে ফাল্গুনকে বৈশাখের বিকল্প হিসেবে ধরা হচ্ছে। ফ্যাশন হাউসগুলোরও রয়েছে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি। কিন্তু সংক্রমণ ব্যাপক হলে উদ্যোক্তাদের আরও একবার মাথায় হাত দেওয়া ছাড়া গত্যন্তর থাকবে না।
করোনা এটা স্পষ্ট করেছে, গতানুগতিক পোশাক নকশার দিন শেষ। তরুণ প্রজন্মকে পেতে চাইলে তাদের মনোভাবকে বুঝতে হবে, তাদের রুচি ও পছন্দকে জানতে হবে। আর ওয়াকিবহাল থাকতে হবে আন্তর্জাতিক বাজার ও ট্রেন্ড সম্পর্কে। আগামী দিনে টিকে থাকতে হলে পরিবর্তিত সময়ের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি নিতে হবে। অল্প সময়ে ফ্যাশনের বিশ্ব বদলে গেছে অনেকখানি। সেই পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলার কোনো বিকল্প নেই। যে পারবে, ফ্যাশন দুনিয়ার ক্রমশ বদলে যাওয়া দৃশ্যপটে সে-ই দাঁড়িয়ে থাকবে।