ধানমন্ডির দৃক গ্যালারিতে ঢোকার পর মনে হলো, দুর্নীতির জাদুঘরে ঢুকেছি! কোথায় নেই দুর্নীতি? দুধে পানি মেশানো থেকে শুরু করে বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের কয়লা গায়েব—সবই আছে। দেয়ালে সাজানো দুর্নীতির কার্টুন আর আলোকচিত্র দেখে আফসোসই হয়। কম তো হলো না, ২০০৬ সাল থেকে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল দুর্নীতিবিরোধী কার্টুন প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে। এবার ১৩তম আয়োজনের জন্যও কার্টুন আঁকার কম রসদ পাননি আঁকিয়েরা। দুর্নীতির নতুন নতুন সব নমুনা ফুটে উঠেছে তাঁদের কাজে। টিআইবির দুর্নীতিবিরোধী আলোকচিত্র প্রতিযোগিতার বয়স অবশ্য কম। এবারেরটা চতুর্থ আসর। সব মিলিয়েই ৯–১৩ ডিসেম্বর হয়ে গেল এই প্রদর্শনী।
যাঁরা পুরস্কার পেলেন
দুর্নীতিবিরোধী কার্টুন প্রতিযোগিতা: প্রতিযোগিতা হয়েছিল দুটি বিভাগে—‘ক’ (১৩–১৮ বছর) এবং ‘খ’ (১৯–২৫ বছর)। ৩৭১ জন কার্টুনিস্ট অংশ নেন এতে। তাঁদের মধ্যে ১৪৭ জন ছিলেন নারী কার্টুনিস্ট। সব মিলিয়ে জমা পড়েছিল ৭৫১টি কার্টুন। দুই বিভাগ থেকে সেরা হয়েছেন ৬ জন। বিশেষ সম্মননা উঠেছে ৩৫ কার্টুনিস্টের হাতে। বিজয়ী ৬টি এবং বিশেষ সম্মাননা পাওয়া ৩৫ কার্টুনিস্টের আঁকা ৫৫টি, মোট ৬১টি কার্টুন স্থান করে নেয় প্রদর্শনীর দেয়ালে।
‘ক’ বিভাগে বিজয়ী
প্রথম পুরস্কার (৭৫ হাজার টাকা): ইসায়াহ ট্রিপল্যান্ড হেভেন
দ্বিতীয় পুরস্কার (৫০ হাজার টাকা): মো. তৌহিদুল হাসান
তৃতীয় পুরস্কার (৪০ হাজার টাকা): সুমাইয়া আক্তার
‘খ’ বিভাগে বিজয়ী
প্রথম পুরস্কার (৭৫ হাজার টাকা):
মো. মাসুদ আল মামুন
দ্বিতীয় পুরস্কার (৫০ হাজার টাকা): আশরাফুল ইসলাম
তৃতীয় পুরস্কার (৪০ হাজার টাকা):
প্রসূন হালদার
বিশেষ সম্মাননা পাওয়া প্রত্যেকে পেয়েছেন ৫ হাজার টাকা। সবাইকে দেওয়া হয়েছে ক্রেস্ট এবং সনদ। এ প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন শিল্পী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের অধ্যাপক শিশির ভট্টাচার্য্য, কার্টুনিস্ট–লেখক ও উন্মাদ পত্রিকার সম্পাদক আহসান হাবীব এবং কার্টুনিস্ট শাহরিয়ার খান।
দুর্নীতিবিরোধী আলোকচিত্র প্রতিযোগিতা
পেশাদার–অপেশাদার মিলিয়ে ১২৩ জন আলোকচিত্রী অংশ নেন এতে। তাঁদের মধ্যে ১০ জন ছিলেন নারী। জমা পড়েছিল ৪৯৬টি আলোকচিত্র। বিজয়ী ৩ জনসহ ২০ জন বিশেষ সম্মাননা পাওয়া আলোকচিত্রীর মোট ২৩টি আলোকচিত্র স্থান পেয়েছিল প্রদর্শনীতে।
বিজয়ী আলোকচিত্রীরা
প্রথম পুরস্কার (১ লাখ টাকা): মোহাম্মদ আসাদ
দ্বিতীয় পুরস্কার (৬০ হাজার টাকা): নজরুল ইসলাম
তৃতীয় পুরস্কার (৪০ হাজার টাকা): রেহমান আসাদ
বিশেষ সম্মাননা পাওয়া ২০ জন আলোকচিত্রী পেয়েছেন ৫ হাজার টাকা করে। বিজয়ী সবার হাতেই উঠেছে ক্রেস্ট ও সনদ। এ প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন আলোকচিত্রী ও পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ আবীর আবদুল্লাহ, ম্যাপ ফটো এজেন্সির আলোকচিত্রী শফিকুল আলম কিরণ এবং আলোকচিত্রী তাসলিমা আক্তার।