শখের জানা

দামি পাঁচ

দুষ্প্রাপ্যতার কারণে নিতান্ত সাধারণ পণ্যও হয়ে উঠেছে কাঙ্ক্ষিত; তাই দামও তরতর করে বেড়ে হয়েছে আকাশচুম্বী। কোনোটি আবার নিজ গুণেই দামি। বিশ্বে এমনই কিছু দামি ও বিস্ময়কর পণ্যের কথাই রইল এখানে।



ঘড়ি

বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ঘড়ির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ‘গ্রাফ ডায়মন্ডস’। ব্রিটিশ গয়না নির্মাতা প্রতিষ্ঠান গ্রাফ ডায়মন্ডস নিজেদের নামেই ২০১৪ সালে হীরাখচিত ঘড়িটি তৈরি করেছে। তারা ঘড়িটির মূল্য হাঁকিয়েছে ৫ কোটি ৫০ লাখ ডলার (প্রায় ৪৬৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা)।



কলম

তুলনামূলকভাবে প্রয়োজনীয় হয়েও বাজারে এই কলমই বেশ সস্তা পণ্য। তবে দামি কলমও আছে পৃথিবীতে। প্রায় ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকা (১২ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার) দামের কলমও তৈরি হয়েছে, এমনটি কেউ ভেবেছেন আগে! কলমটি তৈরি করেছে ইতালীয় কলম প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ‘অরোরা’। প্রতিষ্ঠানটি ১৯১৯ সাল থেকে ঝরনা কলম তৈরি করে। ‘অরোরা ডায়মন্ড ফাউনটেন পেন’ নামের এ কলমগুলো তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে হীরা, সোনা, প্লাটিনামসহ আরও বেশ কিছু মূল্যবান ধাতু।



পিয়ানো

সব ঘরানার সংগীতের জুতসই অনুষঙ্গ পিয়ানো। এখন পর্যন্ত পৃথিবীর সবচেয়ে দামি পিয়ানোর নাম ‘ক্রিস্টাল পিয়ানো’। ২০০৮ সালে চীনে অনুষ্ঠিত বেইজিং অলিম্পিক উপলক্ষে এটি তৈরি করে কানাডীয় পিয়ানো প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান হেইঞ্জম্যান। নামের মতো পুরো পিয়ানোটি স্ফটিক-স্বচ্ছ পদার্থের তৈরি। এটি অলিম্পিক আসরেই প্রথম ও শেষবারের মতো বাজানো হয়। নিলামে এটি বিক্রি হয় ৩৩ লাখ মার্কিন ডলার বা প্রায় ২৭ কোটি ৮০ লাখ টাকায়।



স্বাক্ষর

 এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রীত অটোগ্রাফটি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটনের। যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান, বিল অব রাইটসের নিজস্ব কপিতে পাওয়া জর্জ ওয়াশিংটনের স্বাক্ষরটি ২০১২ সালে নিলামে তোলা হয়েছিল। ৯৮ লাখ মার্কিন ডলারে (প্রায় ৮২ কোটি ৫৬ লাখ) বিক্রি হওয়া এই স্বাক্ষর কিনে নেয় একটি দাতব্য সংস্থা। পরে এটি হোয়াইট হাউসের ওয়াশিংটন প্রেসিডেনশিয়াল লাইব্রেরিতে স্থানান্তর করা হয়।



পাখির পালক

প্রাচীনকালে রাজারা রাজকীয় দলিল স্বাক্ষরের কাজ করে থাকতেন হুইয়া পাখির পালক দিয়ে। নিউজিল্যান্ডের বিলুপ্ত এই পাখির পালক এখন তো খুবই দুর্লভ। দুর্লভ বলেই একটি পালকের দাম শুনে চক্ষু যেন চড়কগাছ হওয়ার জোগাড় হয়! কারণ, ২০১০ সালে এক নিলামে হুইয়া পাখির একটি পালকের দাম ওঠে ১০ হাজার ডলার (প্রায় ৮ লাখ টাকা)।

গ্রন্থনা: আন্ নাসের

সূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ, গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস, মানি ডটকম এবং ফিন্যান্সেস ডটকম