গৃহিণী ফাতেমা আজীজ নিজেই রান্না করেন। নিজের ও পরিবারের স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে রান্নায় তেল ব্যবহার যতটা পারেন কম করেন। তেলের ব্যবহার বেশি হয়, এমন খাবার বাসায় তেমন রান্না করেন না তিনি। ‘পরিবারের স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা চিন্তা করে কম পরিমাণ তেল খাবারে ব্যবহার করি। বাজারে যেখানেই কম তেলে রান্না করার উপকরণ পাই, সেটাই পরিবারের জন্য বেছে নিই।’ জানান ফাতেমা আজীজ।
নুরজাহান বেগমের স্বামী হৃদ্রোগী। স্বামীর কথা ভেবে ২০১৭ সাল থেকে তিনি কম তেলে রান্না করেন। নানা কৌশলে তেল ছাড়া রান্না করার চেষ্টা তিনি। নুরজাহান বেগম বলেন, ‘বর্তমানে নিরাপদ খাবার নিশ্চিত করাই বড় চ্যালেঞ্জ। খাবার নিয়ে সবাই এখন সচেতন। পরিবারের সবার স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং স্বাস্থ্যসম্মত খাবার পরিবেশনের জন্য আমি কম তেলে রান্নার রেসিপিগুলোই বেশি রান্না করি।’
যাঁরা নুরজাহান বেগম বা ফাতেমা আজীজের মতো কম তেলে বা তেল ছাড়া রান্না করার উপকরণ খুঁজছেন, তাঁদের জন্য ওয়ালটন নিয়ে এসেছে ‘এয়ার ফ্রায়ার’।
সুস্থ থাকার জন্য
খাবারে তেলের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করে অনেক রোগের প্রকোপ কমিয়ে আনা সম্ভব। তেল অনেকের জন্য শারীরিক ক্ষতির কারণ। প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত তেল শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এই তেল হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, অতি ওজন, বদহজম, গ্যাস্ট্রিক, ক্যানসারসহ নানা রোগের সৃষ্টি করে। তবে বাঙালির রসনাবিলাসে তেল-মসলার ছড়াছড়ি।
তেল ছাড়া রান্না করা সম্ভব? প্রচলিতভাবে এ ধারণা নেই। কিন্তু তেল ব্যবহার না করেও সুস্বাদু খাবার রান্না করা যায়। যাতে খাবারের স্বাদ থাকবে অটুট, আবার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকরও হবে না।
এয়ার ফ্রায়ার
ব্যস্ত জীবনে গৃহস্থালির সব কাজ সুচারুভাবে সামলানো বেশ ঝক্কির ব্যাপার! ঝামেলাহীন স্বাস্থ্যকর রান্নার জন্য দেশের ইলেকট্রনিকস পণ্যের ব্র্যান্ড ওয়ালটন বাজারে ছেড়েছে এয়ার ফ্রায়ার।
স্বাস্থ্যসচেতন ক্রেতাদের কাছে গৃহস্থালি এই পণ্যটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তেল ছাড়াই যেকোনো খাবার ভাজা বা টোস্ট করা যায় এই যন্ত্রে।
ওয়ালটন এয়ার ফ্রায়ার দিয়ে তেল ছাড়াই তৈরি করা যাবে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, চিকেন ফ্রাইসহ কোলেস্টেরলমুক্ত নানা রকম সুস্বাদু খাবার। আছে বেক এবং রোস্ট করার সুবিধাও। যা প্রায় ৮০ শতাংশ পর্যন্ত চর্বিমুক্ত রান্না করতে সক্ষম। ৩০ মিনিটের মধ্যে রান্নায় আছে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ করার সুবিধা। যেসব খাবার ডুবো তেলে রান্না করতে হয়, সেগুলো এ যন্ত্রে তৈরি করা যায়। এটি দিয়ে কেকও বানানো যায়।
কোন ধরনের খাবার কত তাপমাত্রায় কতক্ষণ ধরে রান্না করতে হবে, ব্যবহারকারীদের জন্য ওয়ালটন এয়ার ফ্রায়ারে দেওয়া আছে এসব নির্দেশনাও। ফলে এই এয়ার ফ্রায়ার ব্যবহার সহজ।
এয়ার ফ্রায়ারে একটি হিটার থাকে, যা বিদ্যুৎ প্রবাহের মাধ্যমে উত্তপ্ত হয়। এর ফলে ওপরের ফ্যানের বাতাস হিটারের কারণে এমনভাবে গরম হয় যে খাবার মুচমুচে ও বাদামি বা সোনালি রঙা হয়ে ওঠে।
আধুনিক গৃহিণীদের গৃহস্থালি কাজের ঝক্কি-ঝামেলা দূর করতেই ওয়ালটনের গৃহস্থালি পণ্য সম্ভারে যোগ করা হয়েছে এই এয়ার ফ্রায়ার। ওয়ালটন এয়ার ফ্রায়ারে ২ বছরের বিক্রয়োত্তর সেবা পাবেন ক্রেতা।
দরদাম
আড়াই লিটার ধারণক্ষমতার
এয়ার ফ্রায়ারটির দাম ৬ হাজার
৫০০ টাকা।
কোথায় পাবেন
ওয়ালটন এয়ার ফ্রায়ার পাওয়া যাবে যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা এবং পরিবেশকের দোকানে। এ ছাড়া অন্য ব্র্যান্ডের এয়ার ফ্রায়ার বিভিন্ন বাজারে পাওয়া যায়।