মনের বাক্স
মনের বাক্স

তুমি আমার সৌভাগ্য

পাঠকের সুখ–দুঃখ, হাসি–আনন্দ, পছন্দ, ভালোলাগা, ভালোবাসাসহ যে কোনো না বলা কথা শুনতে চায় মনের বাক্স। প্রতি সপ্তাহে পাঠকের পাঠানো সেসব লেখা থেকে নির্বাচিত কিছু লেখা আজ প্রকাশিত হলো এখানে

তোমার অবদান কখনো ভুলব না

দিনরাত আজও তোমাকে খুব মিস করি। একসময় আমার কিছুই ছিল না, তখনো তুমি আমার পাশে থেকেছ। আজ আমার তেমন টাকাপয়সা না হলেও সংসারটা গোছানোর মতো অবস্থা হয়েছে। সেই সময় থেকে এই সময় তুমি আমায় যথেষ্ট বুদ্ধি, পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করেছ। তোমার এ অবদান আমি কখনো ভুলব না।

মোকাদ্দেস, গ্রামপাঙ্গাসী, সিরাজগঞ্জ

বেস্ট ফ্রেন্ড তিথিকে বলছি

টাইটেলটা পড়ে নড়চড়ে বসতে পারিস। তোকে এখন গালি দেব, তুই একটা দুষ্টু বেস্ট ফ্রেন্ড। তুই আমাকে কী পরিমাণ কষ্ট দিয়েছিস, আমিই জানি। এখন আমার ১০-১২ জন বন্ধু আর তোর মাত্র ১ জন! একই ক্লাসে পড়ি কিন্তু আর কারও সঙ্গে তোর বিশেষ কথা হয়, অদ্ভুত! ভালোই হয়েছে তুই চলে গেছিস, তোর মতো দুষ্টু বান্ধবী না থাকাই ভালো। তোর না থাকাতে অন্য কারও কষ্ট হলে তোর কী। তুই ভালো থাক।

ইতি তোর

আনিকা

বাবা না থাকার আফসোস

মাত্র সাত বছরের ছোট্ট ছেলেটিকে রেখে চলে গেলেন না-ফেরার দেশে! আজ ১৬টি বছর ‘বাবা’ শব্দটি শুধু মনে মনেই উচ্চারণ করতে পারি। আমার বয়স যখন ১১-১২ বছর, তখন আমাকে গ্রামের বাড়ি মাদারীপুরের শিবচর থেকে ঢাকায় এনে আমার বড় ভাইবোন একটি স্কুলের হোস্টেলে ভর্তি করে দিয়েছিলেন। আমাদের অবস্থা তখন অতটা ভালো ছিল না। একদিকে বাবা নেই, অন্যদিকে বোনের নতুন চাকরি, বড় ভাইয়ার নতুন ব্যবসা, মেজ ভাইয়া কলেজে পড়েন। আর গ্রামের বাড়িতে থাকেন আমার আম্মা। আমাকে ঢাকায় দিয়ে পুরো একা হয়ে গেলেন তিনি। তবে আমি যখন হোস্টেলে ছিলাম, তখন খুব মন খারাপ হতো। কারণ, দেখতাম বন্ধুদের বাবারা ওদের সঙ্গে দেখা করতে আসতেন, আদর করে যেতেন। খুব আফসোস হতো! আর মনে মনে বলতাম, ‘আজ যদি আমার বাবা বেঁচে থাকতেন, তাহলে হয়তো আমাকেও এভাবে একটু আদর করে যেতেন।’ হোস্টেলে মাঝেমধ্যে আমার বড় ভাইবোন আসতেন, আদরও করতেন। কিন্তু বাবার আদর আর ভাইবোনের আদরের মধ্যে বিশাল তফাত মনে হতো। সব কষ্ট চেপে রেখে হোস্টেলে বন্ধুদের সঙ্গে হাসিমুখেই থাকতাম।

এহসানুল হক, ধানমন্ডি, ঢাকা

তুমি আমার সৌভাগ্য

‘মোর প্রিয়া হবে এসো রানি/ দেব খোঁপায় তারার ফুল।’ এই গান আমারও গাইতে ইচ্ছা করে। কিন্তু আমাদের কথা হয় না কত দিন, মনে করতে পারো? আমার ওপর তোমার অনেক অভিমান, তা–ই না? দেখো, পরিস্থিতি আমাদের কত দূরে নিয়ে গেছে। আমি বলছি না ফোন দিয়ে আমাকে তোমার ভালোবাসার কথা শোনাও, শুধু কেমন আছ, এটুকু শোনার আকাঙ্ক্ষা তো প্রেমিক হিসেবে আমার থাকতেই পারে। তুমি প্রায়ই বলতে, দূরত্ব ভালোবাসা বাড়ায়। আচ্ছা, ভালোবাসা বেড়ে গেলে তা কী দিয়ে পরিমাপ করা হয়? বুঝতেই পারছি না কতখানি বেড়ে গেল আমাদের ভালোবাসা। কিন্তু একটা জিনিস খুব ভালো বুঝতে পারছি, তা হলো মনের খুব গভীরে আঘাতের কষ্ট। কখনো নিশ্বাস বন্ধ করে দেয়, কখনো অঝোরে অশ্রু ঝরায়। তুমি আমার সৌভাগ্য, সব অভিমানের দেয়াল পেরিয়ে তুমি আমার ভালো থাকা। ভালো থেকো, প্রিয়তমা। ‘তোমারেই যেন ভালোবাসিয়াছি শত রূপে শতবার, জনমে জনমে যুগে যুগে অনিবার।’

ফাহিম সৈকত, রংপুর ক্যাডেট কলেজ

লেখা পাঠানোর ঠিকানা

অধুনা, প্রথম আলো, প্রগতি ইনস্যুরেন্স ভবন, ২০–২১ কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫। ই-মেইল: adhuna@prothomalo.com, ফেসবুক: facebook.com/adhuna.PA খামের ওপর ও ই-মেইলের subject–এ লিখুন ‘মনের বাক্স’