তাসনিম মিশু যে গুনগুন করে গান করেন, সেটা শুধু তাঁর কাছের বন্ধুরাই জানতেন। কিন্তু গত বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের গানের প্রতিযোগিতায় আধুনিক ও নজরুলসংগীত শাখায় তিনি অর্জন করলেন প্রথম স্থান। আর তাতেই পুরো ক্যাম্পাসের জানা হলো তাঁর গুণের কথা।
নীলফামারীর সৈয়দপুর সেনানিবাসে অবস্থিত বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে (বাউস্ট) বিবিএর পড়ছেন তাসনিম, তৃতীয় বর্ষে। গানের প্রতি প্রগাঢ় তাঁর অনুরাগ। হতে চান বড় শিল্পী। বিভিন্ন জাতীয় দিবসসহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলোতে তাঁকে পাওয়া যায় মঞ্চে। বিশ্ববিদ্যালয়ে যে তাঁর জনপ্রিয়তা কম নয়, বোঝা গেল সেখানকার শিক্ষার্থীদের কথায়। তাসনিমের সহপাঠী সাগুফতা নিলুফা বলেন, ‘ওর গান আমাদের মুগ্ধ করে।’ বাউস্টের ইংরেজি বিভাগের জ্যোতি গোস্বামী বলেন, ‘মিশুর গায়কি অসাধারণ। ওর গানের আবেশে আমরা অবলীলায় ডুবে যাই। দারুণ গায় সে।’ তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের মেহেদী হাসানও নিজেকে মিশুর ‘ফ্যান’ বলে দাবি করলেন। বললেন, ‘ওর গানের গলা বিস্ময়কর।’
কথা হলো তাসনিম মিশুর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমার ধ্যানে-জ্ঞানে সংগীত। মা ফেরদৌসি বেগমের কাছে গান শেখার হাতেখড়ি হয়েছিল। বাবা ব্যবসায়ী মনোয়ার হোসেনও গানপাগল মানুষ। তিনি আমাকে লেখাপড়ার পাশাপাশি গান শিখতে উদ্বুদ্ধ করেন। এখন সৈয়দপুরে স্বনামধন্য সংগীতশিক্ষক ওস্তাদ জান্নাতুল ইসলামের কাছে ধ্রুপদি সংগীতের তালিম নিচ্ছি।’
তাসনিম মিশুর বিভাগের প্রভাষক মর্জিনা ইসলাম বলেন, ‘মিশু সত্যিই অসাধারণ গান গায়। আমার বিশ্বাস, ও একদিন বড় শিল্পী হবে।’
শুধু ক্যাম্পাসে নয়, সৈয়দপুর শহরজুড়ে তাঁর জনপ্রিয়তা আছে। উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী সৈয়দপুর শাখার সংগীত সম্পাদক তিনি। সংগঠনের সতীর্থ শেখ রোবায়তুর রহমান তাঁকে নিয়ে গর্ব করে বললেন, ‘মিশু অনেক ভালো গান গায়। সে আমাদের গর্ব।’
বাউস্টের ছাত্রী মিশু এর আগে জাতীয় পর্যায়ে নজরুলসংগীতে প্রথম স্থান অধিকার করেন। তিনি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের একাধিক রিয়েলিটি শোতে অংশ নিয়ে প্রশংসা পেয়েছেন। নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলেও তিনি ছড়িয়ে দেন তাঁর গান।