টি–শার্ট যেন বার্তা প্রকাশের আরেকটি মাধ্যম
টি–শার্ট যেন বার্তা প্রকাশের আরেকটি মাধ্যম

যত্নআত্তি

টি-শার্টের যত্ন–আত্তি

টি–শার্টের যত্ন নিলে টিকে যাবে বহুদিন

১৯ শতকের শেষ দিকে গরম থেকে বাঁচতে টি-শার্টের উৎপত্তি। উষ্ণতম মাসগুলোতে আরামে কাজ করার জন্য শ্রমিকেরা তাঁদের জাম্পস্যুটগুলোকে অর্ধেক করে কেটে নিতেন। পরে মার্কিন নৌবাহিনীর অন্তর্বাস হিসেবে কারখানায় যখন টি-শার্টের উৎপাদন শুরু হলো, কে ভেবেছিল এটাই হয়ে দাঁড়াবে ভবিষ্যতের অন্যতম জনপ্রিয় পোশাক। ১৯৭০ সালের পর টি-শার্টের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে ওঠায় ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলোও ধীরে ধীরে এই পোশাকটিকে তাদের পোশাকের র‌্যাকে সাজাতে শুরু করে। অনেক দিন ধরে সংরক্ষণ করতে চাইলে অযত্ন করে পরা এই পোশাকটির কিছুটা হলেও যত্ন নিতে হবে।

পছন্দের চরিত্রের টি–শার্ট পরেন অনেকেই

ওয়াশিং মেশিনে কাপড় ধোয়া

ওয়াশিং মেশিনে কাপড় দেওয়ার সময় ভেতরের অংশটি বাইরের দিকে রাখা উচিত

ওয়াশিং মেশিনে ধোয়ার আগে টি-শার্টের ভেতরের অংশটি বাইরের দিকে বের করে দেবেন। তাহলে অন্যান্য পোশাকের সঙ্গে টি-শার্টের সরাসরি যোগাযোগ হবে কম। ছাপা নকশার টি-শার্টগুলোর নকশা বাঁচিয়ে রাখতে এই পদক্ষেপ সহজ ও কার্যকর।

ঠান্ডা পানিতে ধোয়া

টি–শার্টের নকশা ভালো থাকবে ঠান্ডা পানিতে ধুলে

টি-শার্ট ধোয়ার ক্ষেত্রে ঠান্ডা পানি ব্যবহার করুন। শতকরা ১০০ ভাগ সুতির টি-শার্ট তাপ পছন্দ করে না। গাঢ়, হালকা সব রঙের টি-শার্ট ঠান্ডা পানিতেই ধোয়া ভালো। সাদা রঙের টি-শার্টের সঙ্গে অন্য কোনো রঙের কাপড় না মেলানোই ভালো। না হলে এক কাপড়ের রং অন্য কাপড়ে ছড়িয়ে পড়বে।

এড়িয়ে চলুন

ব্লিচ বা সফটনারের মতো শক্তিশালী ডিটারজেন্ট টি–শার্টের ছাপা নকশার জন্য ক্ষতিকর। হালকা ডিটারজেন্ট আপনার মুদ্রিত টি-শার্টের যত্ন নেবে।

ইস্তিরি করবেন না

ইস্ত্রি করার সময় সাবধানতা প্রয়োজন

টি-শার্টের প্রিন্টে সরাসরি ইস্তিরি করবেন না। ভেতরের অংশটি বাইরের দিকে নিয়ে এসে ইস্তিরি করুন।

ড্রায়ার এড়িয়ে চলুন

ড্রায়ারের বদলে পুরোনো পদ্ধতিতে রোদে টি-শার্ট শুকিয়ে নিন। বেশি তাপ সব সময় টি-শার্টের ছাপা নকশার ক্ষতি করে। ছাদে বা বারান্দায় দড়িতে মেলেই কাপড় শুকিয়ে নিন।