অল্প দিনের মধ্যেই বিশ্বজুড়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে টিকটক। অনেকে বলছেন, সামাজিক এই যোগাযোগমাধ্যমই প্রযুক্তি দুনিয়ার ‘নেক্সট বিগ থিং’। আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছানোর মাধ্যম হিসেবে টিকটককে গুরুত্ব দিচ্ছে বিশ্বের বড় বড় প্রতিষ্ঠান। অন্যদিকে টিকটকে রুচিশীল কনটেন্টের অভাব, এটি তরুণদের বিপথে নিয়ে যাচ্ছে—এমন অপবাদও শোনা যায়। তরুণদের মধ্যেও রয়েছে টিকটক নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। দেশের নানা প্রান্তের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীর কাছে আমরা জানতে চেয়েছিলাম টিকটক সম্পর্কে তাদের ভাবনা।
টিকটকের খারাপ দিকগুলোর চেয়ে ভালো দিকগুলোই আমার চোখে পড়েছে বেশি। যেমন এই অ্যাপের মাধ্যমে ভিডিও সম্পাদনা করা অন্য যেকোনো ভিডিও এডিটরের চেয়ে সহজ। এ ছাড়া বিনোদনের দিকটি বিবেচনা করলে টিকটককে আমি ডিজিটাল বিনোদনের মাধ্যমগুলোর মধ্যে উপরের দিকেই রাখব। টিকটক থেকে যেমন বিনোদন পাচ্ছি, তেমনি এর মাধ্যমে প্রতিনিয়তই নতুন নতুন কৌশল ও পরামর্শ (ট্রিকস অ্যান্ড টিপস) দেখছি ও শিখছি। সেটা হতে পারে রান্না, ফটোগ্রাফি অথবা দৈনন্দিন জীবনের অন্যান্য কাজের সঙ্গে সম্পর্কিত।
টিকটক অ্যাপের যে ব্যাপারটা আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে তা হচ্ছে, এখানে কারও সঙ্গে মেসেজ চালাচালি বা যোগাযোগ রক্ষা করার প্রয়োজন পড়ে না। আমি আমার মতো বিভিন্ন ভিডিও দেখি, বিনোদিত হই এবং যখন ইচ্ছা বের হয়ে যাই।
নতুন নতুন গানের উৎস হিসেবেও টিকটক দারুণ। টিকটকেই আমি অনেক অল্প পরিচিত বা অপরিচিত ভালো গানের সন্ধান পেয়েছি। অনেক নতুন, মেধাবী শিল্পীর কাজ দেখতে ও শুনতে পারি নিয়মিত।
দিন শেষে এটা তো স্রেফ বিনোদনের আরও একটি মাধ্যম। যতটুকু খারাপ দিক এ ধরনের অন্য সব মাধ্যমের রয়েছে, ঠিক ততটুকু খারাপ দিক আছে এরও। টেলিভিশন আবিষ্কারের পর এর ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে অনেক আলোচনা হয়েছে, ইন্টারনেটের খারাপ দিকগুলোও আমরা জানি। কিন্তু এই টেলিভিশন বা ইন্টারনেট না থাকলে এই করোনাকালে কীভাবে আমাদের দেশের স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা অব্যাহত থাকত? অন্য সব অ্যাপের মতো এখানেও কনটেন্ট বানানোর স্বাধীনতা রয়েছে। কে কেমন কনটেন্ট বানাচ্ছে, সেটার সমালোচনা হতে পারে। তাই বলে পুরো অ্যাপটাকেই অকাজের মনে করা আমার কাছে যৌক্তিক মনে হয় না।