যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, রাশিয়াসহ নানা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আছে বাংলা ভাষা শেখার সুযোগ। চীনের অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও গুরুত্ব দিয়ে শেখানো হয় বাংলা। কেন? পড়ুন চীনের ইউনান মিনজু বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব সাউথ এশিয়ান অ্যান্ড সাউথ ইস্ট এশিয়ান ল্যাঙ্গুয়েজেস অ্যান্ড কালচারের প্রভাষক সাগরেদ আল মিশকাত শরীফের অভিজ্ঞতা।
ছয়টি চীনা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষা পড়ানো হয়। কমিউনিকেশন ইউনিভার্সিটি অব চায়না, ইউনান মিনজু বিশ্ববিদ্যালয়, বেইজিং ফরেন স্টাডিজ ইউনিভার্সিটি, গোয়াংডং ইউনিভার্সিটি অব ফরেন স্টাডিজ ও ইউনান বিশ্ববিদ্যালয়ে চার বছর মেয়াদি সম্মান (অনার্স) কোর্স আছে। বেইজিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষা ‘মাইনর কোর্স’–এর অন্তর্ভুক্ত।
বাংলা শিখতে, জানতে প্রতিবছর একেকটা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০ থেকে ৩০ জন করে শিক্ষার্থী ভর্তি হচ্ছেন। আমি ইউনান মিনজু বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব সাউথ এশিয়ান অ্যান্ড সাউথ ইস্ট এশিয়ান ল্যাঙ্গুয়েজেস অ্যান্ড কালচারের বাংলা ভাষার প্রভাষক। ২০১৫ সালে এখানে বাংলা ভাষায় অনার্স প্রোগ্রাম চালু হয়। এ পর্যন্ত তিনটি ব্যাচে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়েছে। বাংলা ভাষা বিভাগে এখন মোট শিক্ষার্থী ৩০ জন।
বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের ব্যবসায়িক সম্পর্ক দারুণ। অনেক চীনা বাংলাদেশে কাজ করছেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে চীনের শিক্ষার্থীরা বাংলা শিখছেন। বাংলা শিখে বাংলাদেশে চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে যুক্ত চীনা প্রতিষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন।
ইউনান মিনজু বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা একাডেমিক এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের অধীনে ভারতের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বছর মেয়াদি কোর্স করে। বাংলা ভাষা পড়ার পাশাপাশি তাঁরা বাংলাদেশের সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য সম্পর্কে জানার সুযোগ পাচ্ছেন। বাংলা বক্তৃতা, সাংস্কৃতিক আয়োজনসহ নানা সহশিক্ষা কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন। বাংলাদেশের সঙ্গে এই শিক্ষার্থীদের সংযোগ তৈরি হলে চীনারা বাংলা ভাষা সম্পর্কে আরও আগ্রহী হবেন বলে আমি মনে করি।