পানি—রং, স্বাদ ও বৈচিত্র্যহীন। তবে এর চেয়ে তৃপ্তিদায়ক পানীয় দ্বিতীয়টি নেই। ভালোবেসে যে নামেই ডাকা হোক না কেন, পানির অপর নাম যে জীবন। যত ক্লান্তিই ভর করুক না কেন, মুহূর্তেই শরীর–মন চনমনে করে তুলতে এক গ্লাস ঠান্ডা পানির মতো জাদুকরি দাওয়াই আর হয় না। বিশেষজ্ঞদের মতে, সুস্থ থাকতে প্রতিদিন অন্তত ২ লিটার বা ৮ গ্লাস পানি পান করা প্রয়োজন। কিন্তু অনেকেরই পানি পানে অনীহা দেখা যায়। তবে পানির পরিবেশন নান্দনিক হলে সতেজ, তৃপ্তি ও পানি পানের আগ্রহ বহুগুণ বেড়ে যায়।
পানির গ্লাস পরিবেশনে নানা আধুনিক ট্রের ব্যবহার থাকলেও শুধু পানির গ্লাস আলাদাভাবে পরিবেশনের জন্য গ্লাস হোল্ডার কিনতে পাওয়া যায়। বাঁশ ও কাঠের তৈরি এসব গ্লাস হোল্ডারে খাবারের জায়গাটিও হয়ে ওঠে দৃষ্টিনন্দন। বাজারে বেশির ভাগ হোল্ডার বাঁশের তৈরি। অনেকটাই চৌকো ট্রের মতো দেখতে হলেও মধ্যে আলাদা খোপ করে প্রতিটি খোপে গ্লাস রাখার ব্যবস্থা রয়েছে। এতে একটা গ্লাসের সঙ্গে অন্য গ্লাসের ঠোকাঠুকি লেগে গ্লাস ভেঙে বা পানি ছলকে পড়ার আশঙ্কা থাকে না বললেই চলে। কোনো কোনো হোল্ডারে পানি বহনের সুবিধার জন্য ওপরে ধরার হাতল থাকলেও কোনো কোনোটাতে ট্রের মতো দুই পাশে হাতল থাকে, সাধারণত ২টি বা ৪টি গ্লাস পরিবেশন করা যায় এমন গ্লাস হোল্ডারে। গোল বা চারকোনা ধাঁচের বাহারি গ্লাস এসব গ্লাস হোল্ডারে পরিবেশন করা যাবে অনায়াসেই। কিছু হোল্ডার একেবারেই গ্লাসের আকৃতিতেই বানানো। প্রতিটি গ্লাসের জন্য সে ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে হবে আলাদা হোল্ডার। বেত বা অন্য কোনো প্রাকৃতিক উপাদান থেকে তৈরি এসব হোল্ডার মূল গ্লাসের অর্ধেক অংশ পর্যন্ত ঢেকে রাখে। পরিবেশন যদি মাটির, কাঠের বা বাঁশের পাত্রে সাজানো খাবারে হয়, তাহলে সহজেই দেশীয় আমেজ ফুটিয়ে তোলা সম্ভব। তালের আঁশের তৈরি হোল্ডারের দাম ৫০-১০০ টাকা, বেত থেকে তৈরি হোল্ডার কিনতে চাইলে দাম গুনতে হবে ৮৫-১৫০ টাকা। বাঁশের তৈরি দুটো বা চারটি গ্লাস রাখার হোল্ডার ১২০-৫০০ টাকার মধ্যে কিনতে পাওয়া যাবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার দোয়েল চত্বরের দোকানগুলো, আড়ং, জয়িতা, যাত্রা, আইডিয়া ক্রাফটসে পাওয়া যাবে এমন নান্দনিক গ্লাস হোল্ডারের। এ ছাড়া বাঁশ ও বেতের তৈরি শৌখিন জিনিসের দোকানে খোঁজ করলেও মিলতে পারে সন্ধান।