বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি) দেশের প্রধান ও একমাত্র সরকারি ক্রীড়া শিক্ষাকেন্দ্র। রাজধানীর সাভারের প্রধান কেন্দ্র ছাড়াও চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও দিনাজপুরে রয়েছে বিকেএসপির আঞ্চলিক কেন্দ্র।
বিকেএসপিতে বেশির ভাগ শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয় সপ্তম শ্রেণিতে। সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তির সুযোগ রয়েছে ক্রিকেট, ফুটবল, হকি, শ্যুটিং, আর্চারি, জুডো, উশু, তায়কোয়ানদো ও অ্যাথলেটিকসে। এ ছাড়া চতুর্থ ও ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি করানো হয় সাঁতার, জিমন্যাস্টিকস, বক্সিং ও টেনিসে। শুধু বাস্কেটবল বিভাগে অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে ভর্তি করানো হয়।
আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য সুখবর! ২৭ ও ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রাথমিক বাছাই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে সাভারে বিকেএসপির প্রধান কেন্দ্রে। শিক্ষার্থীরা ওই দিন ভর্তি ফরম পূরণ করে ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারবে।
২৭ ফেব্রুয়ারি বাছাই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ক্রিকেট (ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ), আর্চারি, অ্যাথলেটিকস, টেনিস, বক্সিং, জুডো ও শ্যুটিং বিভাগের। ২৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে ক্রিকেট (রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও বরিশাল বিভাগ), বাস্কেটবল, সাঁতার, উশু, ফুটবল, জিমন্যাস্টিকস ও হকি। বিস্তারিত তথ্য: ০১৭১২-০০৭০৩৮, ০২-৭৭৮৯২১৫ www.bksp-bd.org।
নির্বাচনপদ্ধতি
প্রাথমিক বাছাইয়ের পর সাত দিনের প্রশিক্ষণ ক্যাম্প আয়োজন করা হয়। প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে নেওয়া হয় ব্যবহারিক পরীক্ষা। সবশেষে বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বিষয়ে লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়। শতকরা হিসাবে ৭০ ভাগ শারীরিক যোগ্যতা ও ক্রীড়া নৈপুণ্য, ১০ ভাগ ক্রীড়াবিজ্ঞান-সংক্রান্ত ব্যবহারিক পরীক্ষা, আর বাকি ২০ ভাগ লিখিত পরীক্ষা।
প্রতিভা অন্বেষণ কার্যক্রম
দেশজুড়ে প্রতিভা অন্বেষণের লক্ষ্যে ট্যালেন্ট হান্ট কার্যক্রম পরিচালনা করে বিকেএসপি। ঢাকার বাইরে বিভিন্ন স্থান থেকে খুঁজে বের করা হয় সেরা খেলোয়াড়দের। এরপর বিভিন্ন মেয়াদি প্রশিক্ষণ শেষে তাদের বিকেএসপিতে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হয়। সাকিব আল হাসানের মতো ক্রিকেটার বেরিয়ে এসেছেন প্রতিভা অন্বেষণ কার্যক্রমের মাধ্যমে। বিকেএসপির মূল শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয় উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত।
বিকেএসপির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী মুরতজা খান বলেন, একজন ছেলে বা মেয়ের খেলোয়াড় হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ে তোলার জন্য বিকেএসপি হচ্ছে একটি আদর্শ স্থান। কারণ, দীর্ঘমেয়াদি বিজ্ঞানভিত্তিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষিত খেলোয়াড় তৈরি করার জন্য যেসব সুযোগ-সুবিধা থাকা প্রয়োজন, তার সবই বিকেএসপিতে রয়েছে।
স্নাতক ও ডিপ্লোমা কোর্স
এ ছাড়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় প্রতিবছর ৬০ জন শিক্ষার্থী স্নাতক (পাস) এবং ৩০-৪০ জন শিক্ষার্থী ক্রীড়াবিজ্ঞান বিভাগের বিভিন্ন বিষয়ে ১০ মাসের ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তি হতে পারেন।