কেন্দ্রীয় কারাগারে যে সেল জেলহত্যার রাত দেখেছে

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল জাতীয় চার নেতাকে

জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামারুজ্জামানের স্মরণে কারা স্মৃতি জাদুঘর। এই ঘরের তিনটি কক্ষে কেটেছে তাঁদের কারাবন্দী দিন
ছবি: সৈয়দ জাকির হোসেন

৩ নভেম্বর ১৯৭৫, সোমবার। রাত প্রায় সাড়ে তিনটায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাগলা ঘণ্টা বেজে উঠল। সঙ্গে সঙ্গে বাজতে থাকল হুইসেল। সমানে বাঁশি বেজেই চলল।

কয়েকজন রাজনীতিক বন্দীর সঙ্গে তিনটি কামরায় থাকতেন জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামারুজ্জামান। অন্য বন্দীদের কাছ থেকে তাঁদের আলাদা করা হলো। রাজবন্দীরা বুঝতে পারলেন, কিছুদিন ধরে যে কানাঘুষা তাঁরা শুনছিলেন, তা হয়তো সত্যি হতে চলেছে।

জাদুঘরে সৈয়দ নজরুল ইসলামের ব্যবহৃত চেয়ার ও চৌকি
বন্দী অবস্থায় এই চৌকিতেই ঘুমাতেন তাজউদ্দীন আহমদ

রুদ্ধশ্বাসে নিস্তব্ধ কামরায় যখন রাজবন্দীরা চার নেতার ফিরে আসার অপেক্ষা করছেন, তখনই ঝন ঝন শব্দে কেঁপে উঠল কেন্দ্রীয় কারাগার। কারাগারবাসী আধুনিক সমরাস্ত্রের গুলির আওয়াজ শুনল আরও কয়েকবার। কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে নির্মমভাবে হত্যা করা হলো জাতীয় চার নেতাকে।

সূত্র: ৩ নভেম্বর: জেলহত্যার পূর্বাপর