নারী কূটনীতিক

কূটনীতিকের পেশায় এখন অনেক নারী আসছেন

বর্তমানে ঢাকায় এবং দেশের বাইরে বিভিন্ন মিশনে ৯ জন নারী কূটনীতিক রাষ্ট্রদূত ও সচিব (পূর্ব)–এর দায়িত্ব পালন করছেন। ১৩ জুলাই এই ৯ জন কূটনীতিককে নিয়ে প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে প্র নারীমঞ্চে। এখানে পড়ুন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) মাশফি বিনতে শামসের কথা।

মাশফি বিনতে শামস
ছবি: সংগৃহীত

মাশফি বিনতে শামস বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে স্থাপত্যে স্নাতক। স্থপতি হলেও তাঁর বাবা চাইতেন মেয়ে কূটনীতিক হোক। মেয়ে মাশফিও ভাবলেন, চেষ্টা না হয় করেই দেখা যাক। এভাবেই তাঁর কূটনীতিক হওয়া।

মাশফি বিনতে শামস বলছিলেন, ‘সত্যি বলতে কি, ৩০ বছর আগে তাকিয়ে দেখলে মনে পড়ে, আজ যেমন কূটনীতিক হিসেবে অনেকেই আসছেন, ওই সময় সংখ্যাটা ছিল অনেক কম। আমি যখন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগ দিই, তার আগে মাত্র চারজন নারী কূটনীতিক হিসেবে কাজ করছিলেন। আর পাঁচটা পেশার মতো এখানেও একটু জ্যেষ্ঠ সহকর্মীরা আমাদের নিয়ে একধরনের সংশয়বাদী দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করতেন। ভাবতেন, কাজটা ওরা কীভাবে করবে! এ তো ওদের কাজ নয়।’

নিজের ক্যারিয়ারে ২০১৮ সালের মার্চে নেপালের কাঠমান্ডু বিমানবন্দরে ইউএস–বাংলার বিমান দুর্ঘটনাকে সবচেয়ে দুঃখজনক ও চ্যালেঞ্জিং ঘটনা মনে করেন মাশফি বিনতে শামস। তখন তিনি সেখানে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্বে। নেপালে কোনো বিমানবন্দরের সেটিই সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা ছিল। নানা চাপ আর চ্যালেঞ্জ সামলে দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের মরদেহ দেশে ফেরত পাঠানো আর আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসাসহ পুরো বিষয়টি সামাল দেওয়া দুরূহ ছিল।

কূটনীতিক হিসেবে স্মরণীয় ঘটনা হিসেবে তিনি এ বছরের মার্চে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার পাঁচটি দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানদের সফরের সঙ্গে থাকাটাকে বিবেচনায় রাখছেন। একসঙ্গে এতগুলো সফরের আয়োজন এবং একটির জন্য অন্যটিকে কোনোভাবে কম গুরুত্ব না দিয়ে কাজ করার ঘটনা খুব কম সময়ে ঘটে থাকে। মার্চের ১০ দিনে ওই পাঁচ দেশের সঙ্গে যা ঘটেছে, তা সম্পর্ককে অনেক দূর এগিয়ে নেবে বলে মনে করেন মাশফি বিনতে শামস।