অনেক কান্নার ছবি দেখার পর অদ্ভুত সুখ পেয়েছেন কখনো? ভালো এক কান্নার যে কী শক্তি! কিন্তু সমাজে কান্নার কদর নেই। অথচ যে আঁখিতে এত জল, তবু এত হাসি লুকানো। জাপানে খুব কেঁদে মানসিক সুস্থতার হিত পেতে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের আর কর্মজীবীদের উত্সাহিত করা হয়। বলা হচ্ছে, চাপ বা স্ট্রেস কমাতে হাসি বা ঘুমের চেয়ে কান্না বেশি কার্যকর।
জাপানের হিডেফিমি হুসিডা এ ব্যাপারে উদ্যোগী। তিনি এবং টোকিও ইউনিভার্সিটির মেডিসিনের অধ্যাপক হিডেও আরিটা কান্নার শক্তি সম্পর্কে প্রচার চালিয়েছেন। জাপানে বিষণ্নতা ও আত্মহত্যার হার বেশি। এদের ওভারওয়ার্ক সমস্যা আর তাই মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা বেশি গুরুতর।
কান্না কী করে হয় কার্যকর?
৩০টি দেশের মানুষ বলেছেন, কান্না ঝরার পর তাঁদের ভালো লেগেছে। ক্লিনিক্যাল প্রাকটিস করেন এমন চিকিৎসকেরা তাঁদের ৭০ শতাংশ রোগীকে কাঁদতে উৎসাহ দেন।
শরীর তিন ধরনের কান্না উৎপন্ন করে
রিফ্লেক্স: এটি উত্তেজক উপাদান পরিষ্কার করে।
অবিরাম: এটি আমাদের চোখ রাখে ভেজা।
আবেগের অশ্রু: এর আছে অনেক স্বাস্থ্য হিত। ১৯৮০ সালে মিনিয়াপোলিসের রামসে মেডিকেল সেন্টারের ডা. উইলিয়াম ফ্রে দেখেন, মানুষ কেন কাঁদে। দেখেন, আবেগের অশ্রুর মধ্যে আছে স্ট্রেস হরমোন, যা কান্নার সঙ্গে ধুয়ে যায়।
কান্না এক বহির্জাত প্রক্রিয়া। কান্না বের করে দেয় এক রাসায়নিক যা স্ট্রেস হলে তৈরি হয়।
কান্না ধীর করে শ্বাসক্রিয়া দেহ হয় শিথিল। শিথিলতা তখন প্রস্তুত করে ভালো লাগা অনুভূত হওয়ার (ফিল গুড) হরমোন এন্ডরফিন। দেহে উৎপন্ন স্ট্রেস বা চাপের বিরুদ্ধে কান্না হলো সুরক্ষা হাতিয়ার।