কাঠবাদাম নাকি চিনাবাদাম

বাদাম পছন্দ করেন না, এমন মানুষ কম। কেউ কেউ অবশ্য অ্যালার্জির কারণে বাদাম এড়িয়ে চলেন। সাধারণত চিনাবাদামই বেশি খাওয়া হয়। এখন অনেকে কাঠবাদামও খেতে পছন্দ করছেন। এবার জেনে নেওয়া যাক, কাঠবাদাম বা চিনাবাদামের মধ্যে কোনটি খাবেন?

কাঠবাদাম
কাঠবাদাম

কাঠবাদাম
উপকারিতা
১. কাঠবাদাম আমাদের মেধাশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
২. মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট, প্রোটিন ও পটাশিয়াম হৃদ্যন্ত্র ভালো রাখে।
৩. রক্তের চিনি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য রাখে।
৪. ওজন কমাতে কাঠবাদাম খেতে পারেন।
৫. কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
৬. শরীরে প্রয়োজনীয় শক্তি জোগায়।
৭. ক্যানসার প্রতিরোধে কাঠবাদামের ভূমিকা রয়েছে।
৮. কাঠবাদামের তেল ত্বকের পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে।
৯. মেনোপজের পর নিয়মিত কাঠবাদাম খাওয়া উচিত। কারণ এতে ক্যালসিয়াম রয়েছে।
১০. কাঠবাদাম খেলে কৌষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।

অপকারিতা
১. অনেক সময়ে কাঠবাদাম খাওয়ার ফলে গ্যাস, অ্যাসিডিটির সমস্যা দেখা যায়।
২. অধিক কাঠবাদাম খাওয়ার ফলে ওজন বৃদ্ধি পায়।
৩. শরীরে অনেক সময় টক্সিকের পরিমাণ বেড়ে যায়।
৪. যাদের অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে কাঠবাদাম গ্রহণের ফলে তা বেড়ে যায়।

খাদ্য উপাদান
সোডিয়াম ১ মিলিগ্রাম
পটাশিয়াম ৬৪৯ মিলিগ্রাম
চর্বি ৪৫ মিলিগ্রাম
রাইবোফ্লেভিন ০.৮ মিলিগ্রাম

চিনাবাদাম

চিনাবাদাম
উপকারিতা
১. ফ্লোরিডা ইউনিভার্সিটির একটি গবেষণায় দেখা গেছে, চিনাবাদাম অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমৃদ্ধ, যা ক্যানসার এবং হৃদ্যন্ত্রের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।
২. চিনাবাদামে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি, যা দেহগঠনে সাহায্য করে।
৩. ডায়াবেটিসের ঝুঁকি রোধ করে।
৪. এতে উচ্চ পরিমাণে নিয়াসিন থাকে, যা দেহকোষ সুরক্ষা করে
অপকারিতা
১. চিনাবাদাম অধিক খাওয়ার ফলে বুক জ্বালাপোড়া, অ্যাসিডিটির সমস্যা দেখা যায়।
২. পেটের সমস্যা থাকলে চিনাবাদাম খাওয়া উচিত নয়।

৩. যাদের অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে বাদামে, তাঁদের চিনাবাদাম এড়িয়ে চলা উচিত।

খাদ্য উপাদান
থায়ামিন (ভিটামিন বি১)—০.৬ মিলিগ্রাম
রিবোফ্লোবিন (বি২)—০.৩ মিলিগ্রাম
ন্যায়েসেন (বি৪)—১২.৯ মিলিগ্রাম
ভিটামিন বি৬—০.৬ মিলিগ্রাম
ক্যালসিয়াম—৬২ মিলিগ্রাম
লোহা—২ মিলিগ্রাম
ফসফরাস—৩৩৬ মিলিগ্রাম
সূত্র: স্টাইল ক্রেজ, বিবিসি নিউজ (হেলথ), লিভ স্ট্রং।
গ্রন্থনা: ফারজানা জামান