>
আমাদের জাতীয় স্মৃতিসৌধের একটি ছোট্ট প্রতিলিপি ঘরে থাকলে ভালোই হয়। আর তা আপনি নিজেই বানাতে পারেন। পাঠকদের জন্য কাগজ দিয়ে স্মৃতিসৌধ তৈরির কৌশল দেখিয়েছেন মাকসুদা আজীজ।
যেভাবে বানাতে হবে
আমাদের জাতীয় স্মৃতিসৌধ সাতটি ত্রিভুজাকৃতির মিনার দিয়ে গঠিত। প্রতিটি মিনারের দৈর্ঘ্য ও ভূমি আলাদা। এই দৈর্ঘ্য ও ভূমি মাপার সহজ হিসাব হচ্ছে, একটা ফর্মা করে নেওয়া।
যা যা লাগবে
প্লাস্টিক বোর্ড ১ শিট, অ্যান্টিকাটার, গ্লু গান, আঠা বা গ্লু, পেনসিল ও ইরেজার।
১. ফর্মা করতে ২৮ সেন্টিমিটার একটি ভূমিতে ২১ সেন্টিমিটার লম্ব আঁকতে হবে। লম্বটি হবে ভূমির মধ্যরেখায়।
২. এখন ভূমি থেকে লম্ব বরাবর প্রতি ৩ সেন্টিমিটার পর একটি করে বিন্দু দিলে ৭টি মিনারের উচ্চতা পাওয়া যাবে যথাক্রমে ২১, ১৮, ১৫, ১২, ৯, ৬ ও ৩ সেন্টিমিটার।
৩. ভূমি বরাবর প্রতি ২ সেন্টিমিটার পর একটি বিন্দু আঁকতে হবে। তাহলে লম্বের ডানে সাতটি ও বাঁয়ে সাতটি বিন্দু পাওয়া যাবে, এভাবে ত্রিভুজগুলোর উচ্চতা পাওয়া যাবে। ২১ সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্যের ত্রিভুজের উচ্চতা হবে ২ সেন্টিমিটার, ১৮ সেন্টিমিটারের উচ্চতা হবে ৪ সেন্টিমিটার, এভাবে ৩ সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্যের ত্রিভুজের উচ্চতা হবে ১৪ সেন্টিমিটার।
৪. ত্রিভুজের ভূমি পেতে লম্ব থেকে ভূমির দিকে পরপর বিন্দুগুলো ধরে সাতটা সমান্তরাল রেখা টানতে হবে।
৫. সবচেয়ে উঁচু মিনারের ভূমি হবে সমান্তরাল রেখাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ছোটটি।
৬. এখন ২১ সেন্টিমিটারের দৈর্ঘ্য ও সমান্তরাল রেখাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ছোটটির মাপকে প্রস্থ ধরে একটি আয়তক্ষেত্র আঁকতে হবে। এই আয়তক্ষেত্রটির একটি কর্ণ বরাবর কাটলেই দুটি সমকোণী ত্রিভুজ পাওয়া যাবে।
৭. একইভাবে ১৮ সেন্টিমিটার উচ্চতার মিনারের জন্য দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম সমান্তরাল রেখার সমান প্রস্থ নিয়ে আয়তক্ষেত্র কেটে কর্ণ কাটতে হবে এবং পরপর বাকি মিনারগুলো কেটে নিতে হবে।
৮. এবার ফর্মার অপর পাশেও সমান্তরাল রেখা টেনে নিতে হবে। রেখাগুলো ধরে ধরে ত্রিভুজের জোড়াগুলো গ্লু গান দিয়ে লাগিয়ে দিতে হবে।
৯. সাতটি মিনার লাগানো হয়ে গেলে প্রথম মিনারের নিচের দিকে একটি ছোট ত্রিভুজ লাগিয়ে দিতে হবে। হয়ে গেল স্মৃতিসৌধ।
* এই পদ্ধতিতে যেকোনো মাপের স্মৃতিসৌধ বানানো যাবে, শুধু জানতে হবে মিনারের ত্রিভুজের দৈর্ঘ্য সব সময় উচ্চতার ১.৫ গুণ। তাহলে উচ্চতা যদি ‘ক’ হয়, তবে দৈর্ঘ্য ‘ক’ x ১.৫।