কাউকে কীভাবে 'না' বলবেন

কাউকে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ‘না’ বলতে শেখাটাও জরুরি।
কাউকে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ‘না’ বলতে শেখাটাও জরুরি।

অনেকে আছেন, যাঁরা কিছুতেই অনুরোধ উপেক্ষা করতে বা ‘না’ বলতে পারেন না। কিন্তু অনেক সময় ‘না’ বলতে পারাটা জরুরি হয়ে দাঁড়ায়। তা না হলে অনুরোধে ঢেঁকি গিলতে হয়।


কাউকে হ্যাঁ বলতে পারা বেশ স্বস্তিদায়ক। পার্টি, ডেটিং, শপিং, আড্ডা, অন্যকে সহযোগিতা করা—এসব ক্ষেত্রে হ্যাঁ বলার বিষয়টি এসে দাঁড়ায়। অনেক সময় হ্যাঁ বলাটা সন্তোষজনক ফল বয়ে আনে। যখন মানুষকে হ্যাঁ বলা যায়, তখন মন সতেজ হয়, তৃপ্তি আসে। বন্ধুদের সঙ্গে এক কাপ কফি পান করা বা কোথাও একসঙ্গে একটু ঘুরতে পারার মজাই আলাদা।

এর ঠিক বিপরীত দিকও আছে। হ্যাঁ সন্তুষ্টির বদলে মনে বিতৃষ্ণার জন্ম দিতে পারে। অকাজের গাল-গপ্প একদিন-দুদিন ভালো লাগলেও দিনের পর দিন এসব দেখে হাঁপিয়ে উঠতে পারেন। অনেক সময় দেখা যায়, জরুরি নয়—এমন কাজে হ্যাঁ বলতে হচ্ছে। মানসিক শক্তি জোগানোর বদলে শক্তি হরণ করে নিচ্ছে, এমন বন্ধুকেও হ্যাঁ বলতে হচ্ছে। অভ্যাসের বাইরেও অন্যকে খুশি করতে মূল্যবান সময় হেলায় হারাতে হচ্ছে।

মূল্যবান সময় কাজে লাগাতে কাউকে ‘না’ বলার উপায়
১. কারও আমন্ত্রণ গ্রহণ করার আগে ভাবুন, সেই নিমন্ত্রণ আপনাকে রোমাঞ্চিত করছে কি না কিংবা এ ধরনের আমন্ত্রণের জন্য আপনি অপেক্ষায় আছেন কি না। ইতিবাচক মনে হলে নিমন্ত্রণে যান। যদি মন সাড়া না দেয়, তবে আমন্ত্রণদাতাকে সরাসরি জানিয়ে দিন আপনি অপারগ। নম্র-ভদ্রভাবে তাঁকে বলুন, ‘আমন্ত্রণের জন্য ধন্যবাদ। তবে দুঃখিত, যেতে পারছি না।’ এটুকু বলাই যথেষ্ট হবে।

২. যখন একসঙ্গে অনেক কিছু ঘটছে বা অনেককে না বলতে হবে, তখন চোখ বন্ধ করে একটু শ্বাস নিন। আপনার মনের কাছে জানতে চান, কোনটি বেশি যৌক্তিক। যোগব্যায়াম করে সময় কাটাবেন? না, বন্ধুদের সঙ্গে ঘণ্টা দুই বেড়িয়ে আসবেন? নাকি অনলাইনে কিছুক্ষণ বসে সময় কাটাবেন? ২৪ ঘণ্টা সময়ের সঠিক ভাগ করে ব্যবহার করার সঠিক পদ্ধতি কাজে লাগান।

৩. নিজের ওপর যদি বিরক্তি আসে বা ক্লান্তিবোধ হয়, তবে ফেসবুক বা অনলাইনে কারও সঙ্গে চ্যাট বা মোবাইলে কাউকে ডাকার আগে একটু চিন্তা করুন। সময়টি কীভাবে কাটবে, তা চিন্তা করুন।

৪. নিজেকে গুরুত্ব দিন। নিজের বাজে সময়ে মনকে সুস্থির রাখুন। মনের মধ্যে অনেক সৃজনশীল ধারণা ও অনেক উত্তর পেয়ে যাবেন। নিজেকে সময় দিন। নিজের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ সময় কাটান।

৫. গুরুত্বপূর্ণ সূত্রটি মনে রাখুন, আপনার কাজের সূচিকে অধিক গুরুত্ব নয়, আপনার গুরুত্বকে কাজের সূচি বানান। মনে রাখতে হবে সময়ই বন্ধু এবং পাশে থাকে। সময়ের যথেষ্ট মূল্যায়ন করলে এটা আপনাকে সযত্নে রাখবে। তথ্যসূত্র: হাফিংটন পোস্ট