রূপচর্চা

কলার খোসা কি আসলেই চোখের নিচের কালো দাগ দূর করে?

রূপচর্চা নিয়ে চালু আছে নানান মিথ। যুক্তরাজ্যের গার্ডিয়ান পত্রিকার হয়ে নিয়মিত সেগুলোর সত্যাসত্য যাচাই করেন সৌন্দর্য ও লাইফস্টাইলবিষয়ক সাংবাদিক অনিতা ভগবানদাস। ডার্ক সার্কেল বা চোখের নিচের কালো দাগ নানা কারণে হতে পারে। কারও এটা হয় জেনেটিক কারণে, কারও ক্ষেত্রে আবার বয়স, জীবনযাপন পদ্ধতি ও ত্বকের ধরন দায়ী। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা বলছেন, চোখের নিচের এই কালো দাগ দূর করতে কলার খোসার বিস্ময়কর ক্ষমতা আছে। হাতে–কলমে তাঁদের এই দাবির সত্যতা বিচার করতে মাঠে নেমেছিলেন অনিতা। কী ফল পেলেন তিনি?

পরীক্ষা

চোখের নিচের কালো দাগ নানা কারণে হতে পারে
ছবি: প্রথম আলো
  • এটা সত্য যে রেটিনলসমৃদ্ধ পণ্য ত্বকের প্রধান প্রোটিন কোলাজেনকে উদ্দীপিত করে। আর কলা পুষ্টিসমৃদ্ধ বলে এই মিথ অনিতাকে আকৃষ্ট করেছিল। তবে আবার এ–ও সত্য যে কিছু রেটিনল ত্বকে জ্বালাপোড়ার জন্ম দিতে পারে।

  • প্রথমে কলা থেকে খোসা ছাড়িয়ে একটি চামচ দিয়ে ভেতরের সাদা আঁশগুলো বের করে নেন অনিতা। কেউ কেউ তাঁকে ত্বকে প্রয়োগ করার আগে এটিকে অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে মেশানোর পরামর্শ দেন। সে মোতাবেক তৈরি করে মিশ্রণটি চোখের নিচে ১০ মিনিট দিয়ে রেখেছিলেন অনিতা।

  • কলার ত্বকে থাকা হালকা স্যালিসিলিক অ্যাসিড কালো বৃত্তগুলোকে হালকা করতে পারত, কিন্তু তিনবার চেষ্টা করে এক সপ্তাহ পরও ত্বকে কোনো পার্থক্য দেখতে পাননি তিনি। এরপর তিন অন্য রাস্তা ধরেন।

  • শুধু খোসাটি টুকরা টুকরা করে কেটে সরাসরি চোখের নিচে লাগান। কালো দাগ দূর তো হয়ইনি, উল্টো কলার খোসার তন্তু চোখের পাতায় আটকে গেছে।

অনিতার রায়

হাতের কাছে যদি একটি কলার খোসা থাকে, তাহলে দিতে অসুবিধা কোথায়? কিন্তু ডার্ক সার্কেল দূর করার বাস্তবসম্মত ও কার্যকর পদ্ধতি হচ্ছে রেটিনলসমৃদ্ধ আই ক্রিম ও একটি কনসিলার ব্যবহার করা। তারপরও যদি দূর না হয়, তাহলে একজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে দেখা করাই হবে উত্তম।