করোনায় সংক্রমিত রোগীর ডায়রিয়া হয় প্রায় শুরুর দিকে, সাধারণত এক থেকে আট দিনের মধ্যেই (গড়ে তিন দিনের মাথায়) দেখা দেয়। পানির মতো তরল পায়খানা হয়। কয়েক দিনের মধ্যেই অবশ্য এ ডায়রিয়া সেরে যায়। তবে কারও কারও ক্ষেত্রে ১৪ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
>জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল ছাড়া আর কিছু সেবন করার দরকার নেই। ডায়রিয়া হলে খাবার স্যালাইন খাবেন।
করোনা রোগীদের এসজিপিটি এনজাইম বেড়ে যেতে পারে। এতে যকৃতের ক্ষতি হতে পারে। নিজে নিজে ওষুধ সেবন করে কখনো কখনো রোগী নিজেই এই ক্ষতি ত্বরান্বিত করেন। কাজেই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অতিরিক্ত জ্বরের ওষুধ, ব্যথার ওষুধ, অ্যান্টিবায়োটিক, এমনকি অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ সেবন করা চলবে না।
ভাইরাল হেপাটাইটিস, টাইফয়েড ইত্যাদি রোগে প্রায় একই ধরনের উপসর্গ—যেমন: জ্বর, ডায়রিয়া, অরুচি, বমিভাব থাকে। তাই এ সময় এ ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে সবারই সতর্ক হওয়া উচিত। জ্বর বা যেকোনো উপসর্গে অবশ্যই করোনা পরীক্ষা করাতে হবে। তার সঙ্গে যকৃতের এসজিপিটি বা টাইফয়েডের পরীক্ষা করে ফেলতে পারলে ভালো। তাহলে অ্যান্টিভাইরাল বা অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ সেবনের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করা সহজ হবে।
জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল ছাড়া আর কিছু সেবন করার দরকার নেই। ডায়রিয়া হলে খাবার স্যালাইন খাবেন। পটাসিয়াম–সমৃদ্ধ ফল বা ফলের রস এবং প্রচুর তরল খাবার খাবেন। কালচে পায়খানা হলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
লেকক: মেডিসিন বিশেষজ্ঞ