কম বাজেটে টেবিল সাজানো

ঘরে যা যা আছে, সেসব দিয়েই নান্দনিক ভাব আনতে পারেন টেবিলে।
ঘরে যা যা আছে, সেসব দিয়েই নান্দনিক ভাব আনতে পারেন টেবিলে।

অনেকেই ভাবেন সুন্দর করে ঘর সাজানোর জন্য অনেক বেশি বাজেটের প্রয়োজন। তা কিন্তু নয়। চাইলে ঘরে যা যা আছে, সেসব জিনিস দিয়েই নান্দনিক ভাব আনতে পারেন ঘরে। এ জন্য থাকা চাই সৃজনশীল বুদ্ধিমত্তার এমনটাই জানালেন অ্যাসথেটিকসের ইন্টেরিয়র ডিজাইনার সাবিহা কুমু।

এই যেমন ঈদের দিনই কথাই ভাবুন। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে অনেকেই এবার বাইরে কেনাকাটাকে এড়িয়ে গেছেন। ভাবছেন অন্দরসাজে নতুনত্ব কীভাবে যোগ করবো? বিশেষ করে খাবার টেবিলতো একটু বিশেষ ভাবে সাজাতেই হয়। এই দিন একটা কাজ করতে পারেন। এই যেমন এক এক বেলায় এক এক তৈজসে খাবার পরিবেশন করতে পারেন। আজকাল কমবেশি সবার বাসাতেই রানার থাকে। ঈদের দিন রানারের ব্যবহার থাকতে পারে টেবিলে। এই যেমন সকালে খাবার পরিবেশনের সময় রানার আর টেবিলম্যাটটা হতে পারে মাদুরের। রানারের পাড় থেকে একটি রং বেছে নিয়ে সেই রঙের কাপড়ের ন্যাপকিন রাখতে পারেন মাদুরের ন্যাপকিন হোল্ডারে। টেবিল সাজাতে দামি কোনো কিছু নয়, বরং ফ্রুট কার্ভিংয়ে আনতে পারেন নান্দনিকতা। যেমন: একটি পেঁপের ঝুড়ি বানিয়ে নিন। এবার ঝুড়ির মধ্যে বরবটি ঢুকিয়ে কাঠি দিয়ে গেঁথে দিতে পারেন পেঁয়াজ, বরবটি আর গাজরের ফুল। কিছু গাজরের ছোট ছোট ফুল টুথপিক দিয়ে লাগিয়ে দিন পেঁপের গায়ে।

এছাড়াও অতিথি আপ্যায়নে বৈঠকখানার চায়ের টেবিলের জুড়ি মেলা ভার। চায়ের টেবিলে হালকা আয়োজনের নাশতাই পরিবেশনার গুণে হয়ে উঠতে পারে অনন্য। খাবারটা তেলে ভাজা হলে জুলিয়ান কাটে কাটা কিছু গাজর আর পেঁপে ছড়িয়ে দিন প্লেটে। শসা, গাজর ও লেটুসপাতার তৈরি পাখি রাখতে পারেন টেবিলে। যে পাত্রে খাবার পরিবেশন করবেন, সেখানেই একটি বড় চামচের মধ্যে সস ঢেলে দিন। কোনো পানীয় পরিবেশনের বেলায় ট্রের পাশাপাশি প্লেট ব্যবহার করতে পারেন। ট্রে সাজাতে রাখতে পারেন কমলার ঝুড়ি। এর ভেতরে ছড়িয়ে দিন আনারের লাল দানা। বিভিন্ন ধরনের রং-বেরঙের মোমের ব্যবহার করতে পারেন এখানেও। একটা গ্লাসে পানি দিয়ে রাখতে পারেন তাজা ফুল আর সবুজ পাতা। একচিলতে বারান্দায়ও এভাবেই করতে পারেন চা পানের আয়োজন।

বাসাবাড়ির ছাদেও যদি সম্ভব হয় তাহলে সবাই মিলে সান্ধ্যকালীন আড্ডা জমিয়ে তুলতে পারেন সেখানে। প্রায়ই ঈদেই ছাদে এই ধরনের আয়োজন করে থাকেন সাঈদা আহমেদ আর হাসান তারেক দম্পতি। সাঈদা আহমেদ জানান, এখনকার বাসাবাড়ির ঘরগুলো তো বেশ ছোট হয়ে থাকে। স্থানের অভাবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ঘরের ভেতর এ ধরনের আয়োজন করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। ছাদটা তো ফাঁকাই পড়ে থাকে। তাই টিনের ছাউনি বা খড় দিয়ে ছাদের মধ্যে খাবার পরিবেশনার আয়োজন করা যেতে পারে। বসার জন্য মাদুর বিছিয়ে দিতে পারেন মেঝেতে। তবে বিশেষ দিনে তো টেবিল-চেয়ারের আয়োজন লাগবেই। টেবিল-চেয়ারের নকশায় থাকতে পারে শৈল্পিকতার ছোঁয়া। যেমন বসার ঘরের চেয়ারে যোগ করতে পারেন টেরাকেটার নকশা। টেবিল সাজাতে রং-বেরঙের মোম, ফলের ঝুড়ি, গাছের ডাল আর নানা ফলের সমন্বয়ে আনতে পারেন নান্দনিকতার পরশ।