দেশের নারী আন্দোলনের অন্যতম অগ্রদূত কবি সুফিয়া কামালের ১০৯তম জন্মবার্ষিকী আজ ২০ জুন। ১৯১১ সালের এই দিনে বরিশালের শায়েস্তাবাদে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। বহুমাত্রিক প্রতিভাময়ী এই নারী আমৃত্যু মুক্তবুদ্ধির চর্চার পাশাপাশি সাম্প্রদায়িকতা ও মৌলবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন।
কবি সুফিয়া কামালের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল শুক্রবার এক বাণীতে বলেন, কবি বেগম সুফিয়া কামালের সৃজনশীলতা ছিল অবিস্মরণীয়। দেশ, প্রকৃতি, গণতন্ত্র, সমাজসংস্কার, নারীমুক্তি, শিশুতোষ রচনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর লেখনী আজও পাঠককে আলোড়িত ও অনুপ্রাণিত করে।
সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি দীর্ঘ কর্মজীবনে কবি সুফিয়া কামাল মহান মুক্তিযুদ্ধ, স্বৈরাচারবিরোধী গণ-আন্দোলন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে আন্দোলন, নারী মুক্তির আন্দোলনসহ বিভিন্ন আন্দোলন- সংগ্রামে সক্রিয় ও সাহসী ভূমিকা রেখেছেন।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, ছায়ানটসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন কবি সুফিয়া কামাল। একুশে পদক, স্বাধীনতা পদকসহ ৫০টির বেশি পুরস্কার তিনি পেয়েছেন। ১৯৯৯ সালের ২০ নভেম্বর মারা যান তিনি।
কয়েক বছর ধরে কবি সুফিয়া কামালের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ছায়নাট তাঁকে উৎসর্গ করে ‘সুফিয়া কামাল স্মারক বর্ষার অনুষ্ঠান’ আয়োজন করে আসছে। কিন্তু এবার বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে অনুষ্ঠানটি হচ্ছে না বলে গতকাল এক বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেছে ছায়ানট।
সুফিয়া কামালের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ শনিবার বিকেল ৪টায় ‘সংকটে–দুর্যোগে নারীর চ্যালেঞ্জ: উত্তরণের পথ ও কবি সুফিয়া কামাল’ শীর্ষক এক অনলাইন আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। এ ছাড়া কবি সুফিয়া কামালকে নিয়ে আজ সন্ধ্যা ৭টায় অনলাইন আলোচনা, আবৃত্তি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে সুফিয়া কামাল সংস্কৃতি প্রাঙ্গণ ও সাঁঝের মায়া ট্রাস্ট।
এদিকে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ) ২১ জুন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ‘দুঃসময়ে সুফিয়া কামাল’ শীর্ষক অনলাইনে আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।